ETV Bharat / state

কোরোনার আতঙ্কে কাঁথিতে বন্ধ 900 কাজু কারখানা , কর্মহীন 35 হাজার - 900 cashew factories closed

কাঁথি মহকুমার মাজনা থেকে দিঘার ওড়িশা সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় 900 কাজুবাদাম প্যাকেটজাত করার কারখানা । করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার জেরে প্যাকেটজাত কাজু বিদেশে রপ্তানি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে । এর ফলে কারখানার কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা ।

কোরোনা
corona
author img

By

Published : Mar 17, 2020, 7:26 PM IST

17 মার্চ , কাঁথি : কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁথিতে শতাধিক কাজুবাদামের কারখানায় কাজবন্ধ । প্রায় 36 হাজার কর্মী এক মাস ধরে কর্মহীন । কাঁথি মহকুমার মাজনা থেকে দিঘার ওড়িশা সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় 900 কাজুবাদাম প্যাকেটজাত করার কারখানা । এই কারখানাগুলি থেকে কাজু প্যাকেটজাত করে সরবরাহ করা হয় বিদেশে । মূলত রপ্তানি হত জাপান , USA, ইরান , দুবাই, থাইল্যান্ডে ।

কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে কাজু রপ্তানিতে । বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার জেরে প্যাকেটজাত কাজু বিদেশে রপ্তানি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে । এর ফলে কারখানার কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা ।

কাজু প্যাকেটজাত করার কারখানার কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা । কারখানার এক মহিলা কর্মচারী কল্পনা জানা বলেছেন, " আমরা প্রতিদিন 300 থেকে 350 টাকা মজুরি পেতাম । কিন্তু এখন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের কাজ নেই । "

আর এক মহিলা কর্মচারী অনিমা প্রধান বলেছেন , " কোরোনার ভাইরাসের জন্য গত এক মাস আমাদের কারখানা বন্ধ রয়েছে । আমাদের ফ্যাক্টরি । হল ঘরের মধ্যে অনেকে একসঙ্গে বসে আমরা কাজ করতাম , কিন্তু এখন একসঙ্গে বসে কাজ করা যাবে না । জানি না নিষেধাজ্ঞা কবে উঠবে? কাজ নেই আমরা খুব সমস্যায় আছি । "

কাজু ব্যবসায়ী শেখ বাবুল উদ্দিন বলেন , "আমি এখন বেকার । কারণ কাজু কারখানাগুলোতে এখন কাজ বন্ধ । কাজুর প্যাকেট বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে দিতাম । কারখানা এক মাস ধরে বন্ধ । ফলে আমারও কাজ নেই ।

কাজু কারখানার মালিক ও কাঁথি কাজু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জ়া খালিল বেগ বলেন, " আমরা প্রথমে লোকসানে পড়েছিলাম নোটবন্দির সময় ,তারপর GST চালু হওয়ায় অতিরিক্ত করের বোঝা বইতে হচ্ছে । সেটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার কোরোনা ভাইরাস । এর ফলে বাইরে থেকে কাঁচামালের আমদানি এখন বন্ধ । এদিকে কেরালা থেকে কাজুর রপ্তানিও বন্ধ হয়ে গেছে । এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে । কেউ কাঁথির কাজু নিতে চাইছে না । "

তিনি আরও বলেন, " আমাদের কাছে কাঁচামাল রয়েছে , কিন্তু প্যাকেটজাত কাজুর চাহিদা না থাকায় কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা বাধ্য হয়ে কাজু কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি । কর্মচারীরা বারবার কাজের খোঁজে আসছেন । আমরা বাধ্য হয়েই তাদের না বলে দিচ্ছি । বলেছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কাজ শুরু হবে । আমরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছি । কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানি না । "

17 মার্চ , কাঁথি : কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁথিতে শতাধিক কাজুবাদামের কারখানায় কাজবন্ধ । প্রায় 36 হাজার কর্মী এক মাস ধরে কর্মহীন । কাঁথি মহকুমার মাজনা থেকে দিঘার ওড়িশা সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় 900 কাজুবাদাম প্যাকেটজাত করার কারখানা । এই কারখানাগুলি থেকে কাজু প্যাকেটজাত করে সরবরাহ করা হয় বিদেশে । মূলত রপ্তানি হত জাপান , USA, ইরান , দুবাই, থাইল্যান্ডে ।

কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে কাজু রপ্তানিতে । বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার জেরে প্যাকেটজাত কাজু বিদেশে রপ্তানি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে । এর ফলে কারখানার কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা ।

কাজু প্যাকেটজাত করার কারখানার কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা । কারখানার এক মহিলা কর্মচারী কল্পনা জানা বলেছেন, " আমরা প্রতিদিন 300 থেকে 350 টাকা মজুরি পেতাম । কিন্তু এখন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের কাজ নেই । "

আর এক মহিলা কর্মচারী অনিমা প্রধান বলেছেন , " কোরোনার ভাইরাসের জন্য গত এক মাস আমাদের কারখানা বন্ধ রয়েছে । আমাদের ফ্যাক্টরি । হল ঘরের মধ্যে অনেকে একসঙ্গে বসে আমরা কাজ করতাম , কিন্তু এখন একসঙ্গে বসে কাজ করা যাবে না । জানি না নিষেধাজ্ঞা কবে উঠবে? কাজ নেই আমরা খুব সমস্যায় আছি । "

কাজু ব্যবসায়ী শেখ বাবুল উদ্দিন বলেন , "আমি এখন বেকার । কারণ কাজু কারখানাগুলোতে এখন কাজ বন্ধ । কাজুর প্যাকেট বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে দিতাম । কারখানা এক মাস ধরে বন্ধ । ফলে আমারও কাজ নেই ।

কাজু কারখানার মালিক ও কাঁথি কাজু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জ়া খালিল বেগ বলেন, " আমরা প্রথমে লোকসানে পড়েছিলাম নোটবন্দির সময় ,তারপর GST চালু হওয়ায় অতিরিক্ত করের বোঝা বইতে হচ্ছে । সেটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার কোরোনা ভাইরাস । এর ফলে বাইরে থেকে কাঁচামালের আমদানি এখন বন্ধ । এদিকে কেরালা থেকে কাজুর রপ্তানিও বন্ধ হয়ে গেছে । এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে । কেউ কাঁথির কাজু নিতে চাইছে না । "

তিনি আরও বলেন, " আমাদের কাছে কাঁচামাল রয়েছে , কিন্তু প্যাকেটজাত কাজুর চাহিদা না থাকায় কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা বাধ্য হয়ে কাজু কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি । কর্মচারীরা বারবার কাজের খোঁজে আসছেন । আমরা বাধ্য হয়েই তাদের না বলে দিচ্ছি । বলেছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কাজ শুরু হবে । আমরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছি । কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানি না । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.