ETV Bharat / state

প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত লক্ষ্মণ শেঠ - congress

ভোটের প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আক্রান্ত লক্ষ্মণ শেঠ
author img

By

Published : Apr 12, 2019, 10:55 PM IST

সুতাহাটা, 12 এপ্রিল : ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠ। যদিও কংগ্রেসের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আজ সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হলদিয়ার চৈতন্যপুর মোড় এলাকায়।

কংগ্রেসকর্মী ও লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামী প্রণব দাসের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা একটি প্রচার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিল চৈতন্যপুর মোড় থেকে শুরু করে বাজার ঘুরে আবার চৈতন্যপুর মোড়ে ফিরে আসে। সেখানেই পথ সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল লক্ষ্মণবাবুর। মিছিল মোড়ের কাছে ফিরে আসতেই হামলা চালায় তৃণমূল। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পার্থ বটব্যাল। তাঁর নেতৃত্বেই মিছিলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন কংগ্রেসকর্মী। ঠিক সেইসময় পথসভায় যোগদান করতে সেখানে হাজির হন লক্ষ্মণ শেঠ। অভিযোগ, লক্ষ্মণবাবুর গাড়ি ঘিরে তৃণমূল ভাঙচুর চালায়। এমন কী গাড়ি থেকে তাঁকে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করে। দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। জখম হন প্রণব। তাঁকে উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে থাকায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় তৃণমূল কর্মীরা।

লক্ষ্মণ বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। হঠাৎ পার্থ বটব্যালের নেতৃত্বে তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের উপর হামলা চালায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। মারধর করে। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।"

পার্থ বটব্যাল অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামের ঘটনা মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। সাধারণ মানুষই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঁর উপর চড়াও হয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থানে গিয়ে তাঁদের ছাড়ানোর চেষ্টা করি মাত্র। আর সেই কারণেই ওঁরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।"

সুতাহাটা, 12 এপ্রিল : ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠ। যদিও কংগ্রেসের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আজ সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হলদিয়ার চৈতন্যপুর মোড় এলাকায়।

কংগ্রেসকর্মী ও লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামী প্রণব দাসের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা একটি প্রচার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিল চৈতন্যপুর মোড় থেকে শুরু করে বাজার ঘুরে আবার চৈতন্যপুর মোড়ে ফিরে আসে। সেখানেই পথ সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল লক্ষ্মণবাবুর। মিছিল মোড়ের কাছে ফিরে আসতেই হামলা চালায় তৃণমূল। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পার্থ বটব্যাল। তাঁর নেতৃত্বেই মিছিলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন কংগ্রেসকর্মী। ঠিক সেইসময় পথসভায় যোগদান করতে সেখানে হাজির হন লক্ষ্মণ শেঠ। অভিযোগ, লক্ষ্মণবাবুর গাড়ি ঘিরে তৃণমূল ভাঙচুর চালায়। এমন কী গাড়ি থেকে তাঁকে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করে। দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। জখম হন প্রণব। তাঁকে উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে থাকায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় তৃণমূল কর্মীরা।

লক্ষ্মণ বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। হঠাৎ পার্থ বটব্যালের নেতৃত্বে তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের উপর হামলা চালায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। মারধর করে। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।"

পার্থ বটব্যাল অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামের ঘটনা মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। সাধারণ মানুষই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঁর উপর চড়াও হয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থানে গিয়ে তাঁদের ছাড়ানোর চেষ্টা করি মাত্র। আর সেই কারণেই ওঁরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.