সুতাহাটা, 12 এপ্রিল : ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠ। যদিও কংগ্রেসের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আজ সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হলদিয়ার চৈতন্যপুর মোড় এলাকায়।
কংগ্রেসকর্মী ও লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামী প্রণব দাসের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা একটি প্রচার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিল চৈতন্যপুর মোড় থেকে শুরু করে বাজার ঘুরে আবার চৈতন্যপুর মোড়ে ফিরে আসে। সেখানেই পথ সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল লক্ষ্মণবাবুর। মিছিল মোড়ের কাছে ফিরে আসতেই হামলা চালায় তৃণমূল। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পার্থ বটব্যাল। তাঁর নেতৃত্বেই মিছিলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন কংগ্রেসকর্মী। ঠিক সেইসময় পথসভায় যোগদান করতে সেখানে হাজির হন লক্ষ্মণ শেঠ। অভিযোগ, লক্ষ্মণবাবুর গাড়ি ঘিরে তৃণমূল ভাঙচুর চালায়। এমন কী গাড়ি থেকে তাঁকে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করে। দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। জখম হন প্রণব। তাঁকে উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে থাকায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় তৃণমূল কর্মীরা।
লক্ষ্মণ বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। হঠাৎ পার্থ বটব্যালের নেতৃত্বে তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের উপর হামলা চালায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। মারধর করে। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।"
পার্থ বটব্যাল অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামের ঘটনা মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। সাধারণ মানুষই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঁর উপর চড়াও হয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থানে গিয়ে তাঁদের ছাড়ানোর চেষ্টা করি মাত্র। আর সেই কারণেই ওঁরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।"