ETV Bharat / state

দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২৫ - bus

পর্যটক বোঝাই বাসের সাথে প্রাইভেট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২৫।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস
author img

By

Published : Mar 21, 2019, 12:55 PM IST

চণ্ডীপুর, ২১ মার্চ : পর্যটক বোঝাই বাসের সাথে প্রাইভেট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২৫। ঘটনাটি চণ্ডীপুর থানার দক্ষিণ নরঘাট এলাকার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের। আহত যাত্রীদের প্রথমে চণ্ডীপুর ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়। পরে আটজন যাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে আজ সকালে নন্দকুমার থেকে একটি প্রাইভেট গাড়ি দিঘার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় দিঘা থেকে কলকাতাগামী একটি ভলভো বাস দ্রুতগতিতেই আসছিল। তখনই দক্ষিণ নরঘাট এলাকায় একটি বাঁকের মুখে গাড়ি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে থাকা নয়নজুলিতে পড়ে যায়। কিন্তু নয়নজুলিতে জল কম থাকায় বড়সড় বিপদ থেকে মুক্তি পায় যাত্রীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফলে বিভিন্ন জায়গাতেই পড়ে রয়েছে গুটি ও স্টোনচিপ। তা সত্ত্বেও যাত্রী নিরাপত্তার কথা না ভেবেই দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে। তাই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালাচ্ছেন চালকেরা। পুলিশি নজরদারি বাড়লে দুর্ঘটনা কমবে।

নন্দকুমারের সার্কেল ইন্সপেক্টর রঞ্জিত ঘোষ বলেন, "দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ঘটনায় প্রাণহানির কোনও খবর নেই। বাসটিকে আপাতত ক্রেন দিয়ে নয়নজুলি থেকে তোলা হয়েছে।"

চণ্ডীপুর, ২১ মার্চ : পর্যটক বোঝাই বাসের সাথে প্রাইভেট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২৫। ঘটনাটি চণ্ডীপুর থানার দক্ষিণ নরঘাট এলাকার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের। আহত যাত্রীদের প্রথমে চণ্ডীপুর ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়। পরে আটজন যাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে আজ সকালে নন্দকুমার থেকে একটি প্রাইভেট গাড়ি দিঘার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় দিঘা থেকে কলকাতাগামী একটি ভলভো বাস দ্রুতগতিতেই আসছিল। তখনই দক্ষিণ নরঘাট এলাকায় একটি বাঁকের মুখে গাড়ি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে থাকা নয়নজুলিতে পড়ে যায়। কিন্তু নয়নজুলিতে জল কম থাকায় বড়সড় বিপদ থেকে মুক্তি পায় যাত্রীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফলে বিভিন্ন জায়গাতেই পড়ে রয়েছে গুটি ও স্টোনচিপ। তা সত্ত্বেও যাত্রী নিরাপত্তার কথা না ভেবেই দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে। তাই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালাচ্ছেন চালকেরা। পুলিশি নজরদারি বাড়লে দুর্ঘটনা কমবে।

নন্দকুমারের সার্কেল ইন্সপেক্টর রঞ্জিত ঘোষ বলেন, "দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ঘটনায় প্রাণহানির কোনও খবর নেই। বাসটিকে আপাতত ক্রেন দিয়ে নয়নজুলি থেকে তোলা হয়েছে।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.