ETV Bharat / state

দক্ষিণবঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, খরা কাটিয়ে দিঘায় উঠল 15 টন ইলিশ - rain

বুধবার থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে । এরপর থেকেই ইলিশের ঝাঁক দেখা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরের মোহনাগুলোতে । আজ দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ১৫ টন ইলিশ । যা পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা ৷

খরা কাটিয়ে দিঘায় উঠল ১৫ টন ইলিশ
author img

By

Published : Jul 26, 2019, 9:46 PM IST

Updated : Jul 26, 2019, 10:06 PM IST

দিঘা, ২৬ জুলাই : ঝিরিঝিরি বৃষ্টি সঙ্গে পুবালি বাতাস মানেই সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের আনাগোনা । আর বর্ষা-পুষ্ট ভরা নদীর ঘোলা জল সমুদ্রে মেশা মাত্র মোহনামুখী হবে ইলিশের ঝাঁক । বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই ইলিশের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য । কিন্তু, ১৫ জুন থেকে ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হলেও সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের । তাই শ্রাবণ পেরিয়ে আষাঢ় পড়লেও বাজারগুলিতে দেখা মেলেনি টাটকা ইলিশের । কয়েক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো অপেক্ষারত ছিলেন মৎস্যজীবীরা । বুধবার থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে । এরপর থেকেই ইলিশের ঝাঁক দেখা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরের মোহনাগুলোতে । আজ দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ১৫ টন ইলিশ । যা পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা ৷

এই বিশাল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে মাত্র ২০টি ফিসিং লঞ্চের জালে ৷ এবার সমুদ্র থেকে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ সর্বাধিক পরিমাণ ধরা গেছে । এর আগে দিঘা মোহনায় পাইকারি দাম ছিল কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা । এছাড়া, ৭০০-৮০০ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০-১০০০ টাকায় । মূলত বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব দিক বরাবর সমুদ্রে যাওয়া লঞ্চগুলিতেই মূলত ধরা পড়েছে এই ইলিশগুলি ৷ মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, গত দু'দিন ধরে ইলিশ উপযোগী ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এবং পুবালি বাতাস ছিল । আর সে জন্যই জালে পড়েছে 15টন ইলিশ ।

Digha ilish
দিঘায় উঠল ১৫ টন ইলিশ


অনন্ত মাঝি নামে এক লঞ্চ মালিকের জালে উঠেছে দেড়টন ইলিশ । মুখে প্রাণবন্ত হাসি নিয়ে তিনি বলেন, "পরিবেশ ইলিশ ধরার অনুকূল হতে শুরু করেছে । ভোজন রসিক বাঙালির পাতে সেরা ইলিশ তুলে দিতে আর বেশি সময় লাগবে না ।" গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস । দুর্যোগ আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে তারা । সেজন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । তাছাড়া, গভীর সমুদ্রে থাকা সিংহভাগ লঞ্চ-ট্রলারকেও ফিরে আসতে বলা হয়েছে । তাই ইলিশের জোগান বাড়ার আশায় আছেন ব্যবসায়ীরাও । দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডারস অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর নবকুমার পয়্যারা বলেন, "অনুকূল আবহাওয়া ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামলেই সমুদ্রে ইলিশের দেখা মেলে । আপাতত সমুদ্রে এই দুটোর উপস্থিতি আছে । তাই ইলিশও ধরা পড়ছে । শুক্রবার ১৫টন ইলিশ নিলাম হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূল থাকলে পরের সমুদ্রযাত্রায় আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ পাব বলে আমরা আশাবাদী । আর মাছের জোগান বাড়লে দামও কমবে ।"

দিঘা, ২৬ জুলাই : ঝিরিঝিরি বৃষ্টি সঙ্গে পুবালি বাতাস মানেই সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের আনাগোনা । আর বর্ষা-পুষ্ট ভরা নদীর ঘোলা জল সমুদ্রে মেশা মাত্র মোহনামুখী হবে ইলিশের ঝাঁক । বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই ইলিশের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য । কিন্তু, ১৫ জুন থেকে ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হলেও সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের । তাই শ্রাবণ পেরিয়ে আষাঢ় পড়লেও বাজারগুলিতে দেখা মেলেনি টাটকা ইলিশের । কয়েক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো অপেক্ষারত ছিলেন মৎস্যজীবীরা । বুধবার থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে । এরপর থেকেই ইলিশের ঝাঁক দেখা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরের মোহনাগুলোতে । আজ দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ১৫ টন ইলিশ । যা পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা ৷

এই বিশাল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে মাত্র ২০টি ফিসিং লঞ্চের জালে ৷ এবার সমুদ্র থেকে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ সর্বাধিক পরিমাণ ধরা গেছে । এর আগে দিঘা মোহনায় পাইকারি দাম ছিল কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা । এছাড়া, ৭০০-৮০০ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০-১০০০ টাকায় । মূলত বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব দিক বরাবর সমুদ্রে যাওয়া লঞ্চগুলিতেই মূলত ধরা পড়েছে এই ইলিশগুলি ৷ মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, গত দু'দিন ধরে ইলিশ উপযোগী ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এবং পুবালি বাতাস ছিল । আর সে জন্যই জালে পড়েছে 15টন ইলিশ ।

Digha ilish
দিঘায় উঠল ১৫ টন ইলিশ


অনন্ত মাঝি নামে এক লঞ্চ মালিকের জালে উঠেছে দেড়টন ইলিশ । মুখে প্রাণবন্ত হাসি নিয়ে তিনি বলেন, "পরিবেশ ইলিশ ধরার অনুকূল হতে শুরু করেছে । ভোজন রসিক বাঙালির পাতে সেরা ইলিশ তুলে দিতে আর বেশি সময় লাগবে না ।" গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস । দুর্যোগ আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে তারা । সেজন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । তাছাড়া, গভীর সমুদ্রে থাকা সিংহভাগ লঞ্চ-ট্রলারকেও ফিরে আসতে বলা হয়েছে । তাই ইলিশের জোগান বাড়ার আশায় আছেন ব্যবসায়ীরাও । দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডারস অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর নবকুমার পয়্যারা বলেন, "অনুকূল আবহাওয়া ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামলেই সমুদ্রে ইলিশের দেখা মেলে । আপাতত সমুদ্রে এই দুটোর উপস্থিতি আছে । তাই ইলিশও ধরা পড়ছে । শুক্রবার ১৫টন ইলিশ নিলাম হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূল থাকলে পরের সমুদ্রযাত্রায় আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ পাব বলে আমরা আশাবাদী । আর মাছের জোগান বাড়লে দামও কমবে ।"

Intro:হাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঝিরঝিরে বৃষ্টি, আর তাতেই খরা কাটিয়ে দিঘায় উঠল ১৫ টন ইলিশ



দিঘা, ২৬ জুলাই: ঝিরিঝিরি বৃষ্টি সঙ্গে পুবালি বাতাস মানেই সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের আনাগোনা । আর বর্ষা পুষ্ট ভরা নদীর ঘোলা জল সমুদ্রে মিশা মাত্র মোহনামুখী হবে ইলিশের ঝাঁক। বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই ইলিশের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।কিন্তু ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হলেও বারবার সমুদ্রে সরাসরি ট্রলার গিয়েও ফিরে এসেছে খালি হাতে।তাই শ্রাবন পেরিয়ে আষাঢ়ে পড়লেও বাজার গুলিতে দেখা মেলেনি টাটকা ইলিশের। কয়েক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো অপেক্ষারত ছিলেন মৎস্যজীবীরা।Body:হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো বুধবার থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষণিবঙ্গের জেলাগুলোতে।আর তাতেই ইলিশের ঝাঁক দেখা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরের মোহনাগুলোতে।শুক্রবার দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ১৫ টন ইলিশ।আর এই বিশাল পরিমাণ ইলিশ শিকার হয়েছে মাত্র ২০ টি ফিসিং লঞ্চের জালে ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন দিঘা মোহনার মৎস্য ব্যবসায়ীরা । তবে সমুদ্র থেকে এবারে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ সর্বাধিক পরিমাণ শিকার করা গেছে।যার এদিন দীঘা মোহনায় পাইকারি দাম ছিল কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা।এছাড়া ৭০০-৮০০ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০-১০০০ টাকায়। মূলত বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব দিক বরাবর সমুদ্রে ইলিশ শিকারে যাওয়া লঞ্চগুলোই মূলত ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন,গত দুদিন ধরে ইলিশ উপযোগী ঝিরঝিরে বৃষ্টি এবং পুবালি বাতাস ছিল।আর সে জন্যই জালে পড়েছে ইলিশ।
Conclusion:অনন্ত মাঝি নামের এক লঞ্চ মালিকের জালে উঠেছে দেড়টন ইলিশ।মুখে প্রাণবন্ত হাসি নিয়ে তিনি বলেন, " পরিবেশ ইলিশ ধরার অনুকূল হতে শুরু করেছে।ভোজনরসিক বাঙালির পাতে সেরা ইলিশ তুলে দিতে আর বেশি সময় লাগবে না।"গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হওয়া অফিস।দুর্যোগ আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে তারা।সে জন্য আগামী ২৪ ঘন্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।তাছাড়া গভীর সমুদ্রে থাকা সিংহভাগ লঞ্চ-ট্রলারকেও ফিরে আসতে বলা হয়েছে।তাই ইলিশের জোগান বাড়ার আশায় আছেন ব্যবসায়ীরাও।দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডারস অ্যাসোসিয়েশনের ডাইরেক্টর নবকুমার পয়ড়্যা বলেন,"অনুকূল আবহাওয়া ও ঝিরঝিরে বৃষ্টি নামলেই সমুদ্রে ইলিশের দেখা মেলে। আপাতত সমুদ্রে এ দুটোর উপস্থিতি আছে।তাই ইলিশও ধরা পড়ছে।শুক্রবার ১৫ টন ইলিশ নিলাম হয়েছে।আবহাওয়া অনুকূল থাকলে পরের সমুদ্রযাত্রায় আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ পাব বলে আমরা আশাবাদী।আর মাছের জোগান বাড়লে দামও আরও কমবে।"
Last Updated : Jul 26, 2019, 10:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.