কাটোয়া , 3 জুলাই : আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় 20 জনের একই ফোন নম্বর ! আর সেই ফোন নম্বর আবার পৌরসভারই এক কর্মীর । কাটোয়া পৌরসভার ত্রাণ বিভাগে কর্মরত ওই কর্মীর নাম চন্দন মাঝি । যদিও পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, অনেকে ক্ষতিপূরণের আবেদন করার সময় নিজেদের ফোন নম্বর দেননি । তাই তাঁদের যাতে ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে সমস্যা না হয় সেই কারণে চন্দনবাবুর ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে । BJP-র অভিযোগ, কাটোয়া জুড়ে তৃণমূল ত্রাণ বণ্টন নিয়ে দুর্নীতি শুরু করেছে ।
কাটোয়া পৌরসভা সূত্রে খবর, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে 63 জনকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে । অভিযোগ, যাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী । এমনকী যাঁদের দোতলা বাড়ি রয়েছে তাঁরাও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন । এদিকে আমফান দুর্নীতিতে কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপরই একাধিক জায়গায় অনেকে টাকা ফেরতও দিয়েছেন ।
এবার কাটোয়ায় ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় 20 জনের নামের পাশে একই ফোন নম্বর থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ বিষয়টি নিয়ে BJP নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূল নেতারাও তদন্তের দাবি করেছেন ।
কাটোয়া পৌরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকেই আবেদনপত্র জমার সময় ফোন নম্বর দিতে পারেননি । তাঁরা যাতে ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন সেই কারণেই এক পৌর কর্মীর ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে । এর সঙ্গে দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই । কারণ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টেই জমা পড়বে । টাকা কোথায় জমা পড়েছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।
কাটোয়া পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের আর এক সদস্য অমর রাম বলেন, "তালিকা নিয়ে স্বজনপোষণ হয়েছে । পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে । ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।"
BJP-র পক্ষ থেকেও তদন্তের দাবি করা হয়েছে । এই বিষয়ে কাটোয়ার মহকুমাশাসক প্রশান্ত রাজ শুক্ল বলেন, "পৌরসভার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছি । তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।"