মেমারি, ২ ডিসেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে উত্তেজনা ছড়াল (Tmc Inner Clash at Memari) পূর্ব বর্ধমানের মেমারি এলাকায়। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ দু'পক্ষের ফের ঝামেলা বাধে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেমারি বাসস্ট্যান্ড এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষালের সঙ্গে মেমারি পুরসভার উপ-প্রশাসক স্বপন বিষয়ীর অনুগামীদের মধ্যেই বুধবার রাত থেকে ঝামেলা শুরু হয়। ঝামেলা মেটানোর জন্য বুধবার রাতেই মেমারি থানায় দু'পক্ষকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তখনকার মতো ঝামেলা মিটে যায়। এরপর ফের বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ মেমারি বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক অফিস দখলের জন্য হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্বপন ঘোষালের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দেয় মেমারি থানার পুলিশ।
মেমারি নিউ বাসস্ট্যান্ডে বাস ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সুকান্ত হাজরা বলেন, "মেমারি টোটো ইউনিয়নের সেক্রেটারি শেখ নাসিরউদ্দিন-সহ পাঁচ-সাতজন বুধবার মেমারি পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় মেমারির তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন ঘোষালের অনুগামীরা নাসিরুদ্দিনকে মারধর করে। বিষয়টা নিয়ে মিটমাট করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পক্ষকে গতকাল রাতে মেমারি থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে ঝামেলা মিটমাট হয়ে যায়। কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।"
আরও পড়ুন: সক্রিয় ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতী দল, ঘুম উড়েছে বর্ধমান শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের
এদিকে আজ ফের স্বপন ঘোষালের নেতৃত্বে বাসস্ট্যান্ডে আইএনটিটিইউসির মেমারির বাস ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর অনুগামীরা হামলা করে বলে অভিযোগ। স্বপন ঘোষাল বলেন, "আমরা যদি মারধর করতাম তাহলে নিশ্চয় আমাদের নামে থানায় অভিযোগ হত। উল্টে স্বপন বিষয়ীর অনুগামীরাই আমাদের ছেলেদের মারধর করে আমাদের নামে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছে।" স্বপন ঘোষালের অনুগামী তৃণমূল কর্মী মিরাজ শেখ বলেন, "সুকান্ত হাজরা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও পদে নেই। সে তার দলবল নিয়ে এসে আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। তার জন্যই দলের বদনাম হচ্ছে।"