বর্ধমান, 22 মে : রবিবার ফের খাগড়াগড় এলাকায় তল্লাশি চালাল এসটিএফ। তল্লাশিতে মিলেছে বাংলাদেশী বই এমনটাই সূত্রের খবর । সেই সঙ্গে এলাকার একটি কারখানাতেও তল্লাশি চালায় এসটিএফ । বাংলাদেশের সঙ্গে এই চক্রের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ (Khagragarh Fake Currency Case) । স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস পাঁচেক আগে খাগড়াগড়ের মাঠপাড়া এলাকায় সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নেয় গোপাল সিং নামে এক ব্যক্তি । সে নিজেকে মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয় দেয় । ওই দিন তার সঙ্গে তিনজন মহিলা ছিলেন যাদের সে নিজের স্ত্রী শাশুড়ি ও পরিচারিকা হিসেবে পরিচয় দেয় ।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশের কাছে খবর ছিল খাগড়াগড় এলাকায় জালনোটের কারবার চলছে । সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে গত তিনদিন আগে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড় পূর্ব মাঠপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে চলা জালনোট কারখানার হদিশ পায় বর্ধমান থানার পুলিশ। সেখান থেকে পুলিশ দীপংকর চক্রবর্তী, গোপাল সিং ও বিপুল সরকারকে গ্রেফতার করে। তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে ।
ওই বাড়ি থেকে পুলিশ 24 টি 500 টাকার জাল নোট, দুটি সোনালী রঙের ধাতব প্লেট উদ্ধার করে । সেই প্লেটে লেখা রয়েছে 1 মিলিয়ন ডলার ও ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা ৷ সেই সঙ্গে আয়োডিন, হাইড্রোজেন সালফাইড ও বেশ কিছু লিকুইড উদ্ধার করে পুলিশ। গতকালও ডলার ছাপার ডাইস, তিনটি ব্যাগ, তিনটি অ্যাটাচি ও বেশ কিছু কৌটো ও কেমিক্যাল বাজেয়াপ্ত করে বর্ধমান থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : জালনোট-কাণ্ডে তিন জনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা যুক্ত আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কারবারে ভিন জেলার দুষ্কৃতীরা যুক্ত আছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সেই সঙ্গে এদিন বাংলাদেশী বইও পাওয়া গিয়েছে ৷ তাহলে কি জালনোট-কাণ্ডে আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে ? তার কিনারায় পুলিশ ৷