বর্ধমান, 9 অগস্ট: "ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে বার্তা দেওয়া হচ্ছে অথচ হাসপাতাল সংলগ্ন পুকুরই কচুরিপানায় ভরতি ! এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। কীভাবে পুকুর সাফ করা যায় সেটা সকলেরই ভাবা উচিত।" বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মা ক্যান্টিনের সূচনা করতে এসে এই বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
বুধবার হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মা ক্যান্টিন চালু করা হয় । রোগীর আত্মীয় থেকে শুরু করে অন্যরা পাঁচ টাকার কুপন কেটে নিয়ে ডাল,ভাত, তরকারি ও ডিম খেতে পাবেন । সেই অনুষ্ঠানে এসে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দেখেন হাসপাতাল সংলগ্ন পুকুরে কচুরিপানা রয়েছে। এদিকে কচুরিপানা পরিস্কার করার দায়িত্ব বর্ধমান পৌরসভা নাকি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই উদ্যোগী হয়ে পুকুর পরিস্কার করা উচিত বলে মন্ত্রী মনে করেন । যদিও হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, "বর্ধমান পৌরসভা কচুরিপানা পরিস্কার করতে উদ্যোগী হয়েছে । দু-একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে ।"
মন্ত্রীর কথায়, 'আমরা ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলছি। কিন্তু এই কচুরিপানাই মশার জন্ম দেয়। তাই বিষয়টি নিয়ে সকলেই ভাবতে হবে।কচুরিপানা অনেক কাজে লাগে ঠিকই তেমনি মশারও জন্ম দেয়। তই শুধু ডেঙ্গি নিয়ে সবাই মিলে চেয়ারে বসে সচেতনতার বার্তা দিলেই হবে না ৷ পুকুরকে কচুরিপানা মুক্ত রাখতে হবে ৷"
বিষয়টি বোঝাতে মন্ত্রী একটি উদাহরণ দেন ৷ অনেক সময় দেখা যায়, কারও মাথা ফেটে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ঝরছে। কিন্তু তাঁর মধুমেহ রোগ আছে। সেক্ষেত্রে ক্ষত স্থানে সেলাই করা খানিকটা সমস্য়ার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু শেষমেশ চিকিৎসককে সেই কাজটা করতেই হয়। মন্ত্রী মনে করেন, ঠিক সেভাবে হাসপাতালের পাশের পুকুরে জমে থাকা কচুরিপানা অন্য কেউ সাফ না করলেও সেই কাজটা সুপারকেই করতে হবে। পাশাপাশি, ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে সমস্যার খানিকটা সমাধান সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি রোধে ছাত্রছাত্রীদের ফুলহাতা জামা-প্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়ার নির্দেশিকা কলকাতা পৌরনিগমের