ETV Bharat / state

তড়িঘড়ি উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের, রেলব্রিজে লোহার গার্ডওয়াল দিল রেল

তড়িঘড়ি করে বর্ধমানে রেলব্রিজ উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তার আগে রেলের তরফে রেলব্রিজে ওঠার মুখে লোহার গার্ডওয়াল লাগানো হয়েছে ৷

বর্ধমান
author img

By

Published : Sep 24, 2019, 2:18 PM IST

Updated : Sep 24, 2019, 7:16 PM IST

বর্ধমান, 24 সেপ্টেম্বর : এশিয়ার বৃহত্তম ঝুলন্ত রেলব্রিজের উদ্বোধন নিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক । রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, 30 সেপ্টেম্বর এই রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল । অথচ তার আগেই 24 ঘণ্টা সময়ের প্রস্তুতিতে রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় । ফলে উদ্বোধনকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সংঘাতে জড়াচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।

rail
উড়ালপুলে লোহার গার্ডওয়াল দিয়েছে রেল

বর্ধমান পৌরসভার সামনে যেখান থেকে রেলব্রিজের শুরু তার নিচে মঞ্চ বেঁধে চলছে রাজ্য সরকারের উদ্বোধনের প্রস্তুতি । কিন্তু ঠিক তার উপরে ব্রিজে ওঠার মুখেই রেলের তরফ থেকে লোহার গার্ডওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে । ফলে কেউ ব্রিজে প্রবেশ করতে পারবে না । এবং সেখানে রীতিমতো বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের কাজ চলছে । কেউ প্রবেশ করবেন না । প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ব্রিজের কাজ শেষ হয়নি, সেখানে কী ভাবে রাজ্য সরকার উদ্বোধন করতে পারেন ।

rail
উড়ালপুল

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, সাধারণ মানুষের হয়রানির কথা ভেবে আমরা দ্রুত রেলব্রিজ খোলার জন্য রেলের কাছে আবেদন করেছিলাম ৷ তাই, ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার আর্জি জানানো হয় ৷ আর যেহেতু ব্রিজের বেশিরভাগ খরচ করেছে রাজ্য, তাই রাজ্যের তরফ থেকে মানুষের কথা ভেবে ব্রিজের উদ্বোধন করা হচ্ছে । রাজ্যের দাবি, এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকার বেশি খরচ করেছে। অথচ কেন্দ্র দাবি করছে, রেলব্রিজ নির্মাণে দুই তরফেই 50 শতাংশ করে খরচ হয়েছে ।

ভিডিয়োয় শুনুন দেবু টুডুর বক্তব্য

দীর্ঘদিন জমি জটে আটকে থাকার পর 2011 সালে এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এই ঝুলন্ত ব্রিজের কাজ শুরু হয় । দুটি পিলারের মাধ্যমে 188.43 মিটার এই সেতু তৈরি করা হয়েছে । বর্ধমান পৌরসভা ,মেহেদিবাগান, কাটোয়া ও কালনার দিকে মোট চারটি অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হয়েছে । সেই সেতুর উদ্বোধন ঘিরেই দেখা দিয়েছে নতুন করে বিতর্ক ।

বর্ধমান, 24 সেপ্টেম্বর : এশিয়ার বৃহত্তম ঝুলন্ত রেলব্রিজের উদ্বোধন নিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক । রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, 30 সেপ্টেম্বর এই রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল । অথচ তার আগেই 24 ঘণ্টা সময়ের প্রস্তুতিতে রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় । ফলে উদ্বোধনকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সংঘাতে জড়াচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।

rail
উড়ালপুলে লোহার গার্ডওয়াল দিয়েছে রেল

বর্ধমান পৌরসভার সামনে যেখান থেকে রেলব্রিজের শুরু তার নিচে মঞ্চ বেঁধে চলছে রাজ্য সরকারের উদ্বোধনের প্রস্তুতি । কিন্তু ঠিক তার উপরে ব্রিজে ওঠার মুখেই রেলের তরফ থেকে লোহার গার্ডওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে । ফলে কেউ ব্রিজে প্রবেশ করতে পারবে না । এবং সেখানে রীতিমতো বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের কাজ চলছে । কেউ প্রবেশ করবেন না । প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ব্রিজের কাজ শেষ হয়নি, সেখানে কী ভাবে রাজ্য সরকার উদ্বোধন করতে পারেন ।

rail
উড়ালপুল

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, সাধারণ মানুষের হয়রানির কথা ভেবে আমরা দ্রুত রেলব্রিজ খোলার জন্য রেলের কাছে আবেদন করেছিলাম ৷ তাই, ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার আর্জি জানানো হয় ৷ আর যেহেতু ব্রিজের বেশিরভাগ খরচ করেছে রাজ্য, তাই রাজ্যের তরফ থেকে মানুষের কথা ভেবে ব্রিজের উদ্বোধন করা হচ্ছে । রাজ্যের দাবি, এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকার বেশি খরচ করেছে। অথচ কেন্দ্র দাবি করছে, রেলব্রিজ নির্মাণে দুই তরফেই 50 শতাংশ করে খরচ হয়েছে ।

ভিডিয়োয় শুনুন দেবু টুডুর বক্তব্য

দীর্ঘদিন জমি জটে আটকে থাকার পর 2011 সালে এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এই ঝুলন্ত ব্রিজের কাজ শুরু হয় । দুটি পিলারের মাধ্যমে 188.43 মিটার এই সেতু তৈরি করা হয়েছে । বর্ধমান পৌরসভা ,মেহেদিবাগান, কাটোয়া ও কালনার দিকে মোট চারটি অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হয়েছে । সেই সেতুর উদ্বোধন ঘিরেই দেখা দিয়েছে নতুন করে বিতর্ক ।

Intro:
রাজ্য করবে উদ্বোধন, লোহার গার্ড ওয়াল দিল রেল

পুলক যশ, বর্ধমান


উড়ালপুল উদ্বোধন নিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে 30 সেপ্টেম্বর নতুন উড়ালপুল উদ্বোধন করতে আসবেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অথচ তার আগেই 24 ঘন্টা সময়ের প্রস্তুতিতে উড়ালপুল উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ।ফলে উদ্বোধন কে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সংঘাতে জড়ানো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে বর্ধমান পৌরসভার সামনে যেখান থেকে উড়ালপুলের শুরু তার নিচে তার নিচেই মঞ্চ চলছে রাজ্য সরকারের উদ্বোধনের প্রস্তুতি ।কিন্তু ঠিক তার উপরে ব্রিজে ওঠার মুখেই রেলের তরফ থেকে লোহার গার্ডওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে কেউ ব্রিজে প্রবেশ করতে পারবে না ।এবং সেখানে রীতিমত বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের কাজ চলছে ।কেউ প্রবেশ করবেন না। নতুন করে প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্রিজের কাজ শেষ হয়নি সেখানে কিভাবে রাজ্য সরকার উদ্বোধন করতে পারেন ।


Body:পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন সাধারণ মানুষ হয়রানির কথা ভেবে আমরা রেলের কাছে আবেদন করেছিলাম ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করে তা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য। আর যেহেতু ব্রিজের বেশিরভাগ খরচ করেছে রাজ্য তাই রাজ্যের তরফ থেকে মানুষের কথায ভেবে ব্রিজের উদ্বোধন করা হচ্ছে ।রাজ্যের দাবি এই ঝুলন্ত সেতু এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকার বেশি খরচ করেছে।অথচ কেন্দ্র দাবি করছে রেলব্রিজ নির্মাণে দুই তরফেই 50 শতাংশ করে খরচ হয়েছে।


Conclusion:দীর্ঘদিন জমি জটে আটকে থাকার পর 2011 সালে এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এই ঝুলন্ত ব্রিজের কাজ শুরু হয়। দুটি পিলারের মাধ্যমে 188.43 মিটার এই সেতু তৈরি করা হয়েছে । বর্ধমান পৌরসভা ,মেহেদিবাগান, কাটোয়া ও কালনার দিকে মোট চারটি এ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হয়েছে। সেই সেতুর উদ্বোধন ঘিরেই দেখা দিয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
Last Updated : Sep 24, 2019, 7:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.