বর্ধমান, 24 সেপ্টেম্বর : এশিয়ার বৃহত্তম ঝুলন্ত রেলব্রিজের উদ্বোধন নিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক । রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, 30 সেপ্টেম্বর এই রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল । অথচ তার আগেই 24 ঘণ্টা সময়ের প্রস্তুতিতে রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় । ফলে উদ্বোধনকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সংঘাতে জড়াচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
বর্ধমান পৌরসভার সামনে যেখান থেকে রেলব্রিজের শুরু তার নিচে মঞ্চ বেঁধে চলছে রাজ্য সরকারের উদ্বোধনের প্রস্তুতি । কিন্তু ঠিক তার উপরে ব্রিজে ওঠার মুখেই রেলের তরফ থেকে লোহার গার্ডওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে । ফলে কেউ ব্রিজে প্রবেশ করতে পারবে না । এবং সেখানে রীতিমতো বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের কাজ চলছে । কেউ প্রবেশ করবেন না । প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ব্রিজের কাজ শেষ হয়নি, সেখানে কী ভাবে রাজ্য সরকার উদ্বোধন করতে পারেন ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, সাধারণ মানুষের হয়রানির কথা ভেবে আমরা দ্রুত রেলব্রিজ খোলার জন্য রেলের কাছে আবেদন করেছিলাম ৷ তাই, ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার আর্জি জানানো হয় ৷ আর যেহেতু ব্রিজের বেশিরভাগ খরচ করেছে রাজ্য, তাই রাজ্যের তরফ থেকে মানুষের কথা ভেবে ব্রিজের উদ্বোধন করা হচ্ছে । রাজ্যের দাবি, এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকার বেশি খরচ করেছে। অথচ কেন্দ্র দাবি করছে, রেলব্রিজ নির্মাণে দুই তরফেই 50 শতাংশ করে খরচ হয়েছে ।
দীর্ঘদিন জমি জটে আটকে থাকার পর 2011 সালে এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এই ঝুলন্ত ব্রিজের কাজ শুরু হয় । দুটি পিলারের মাধ্যমে 188.43 মিটার এই সেতু তৈরি করা হয়েছে । বর্ধমান পৌরসভা ,মেহেদিবাগান, কাটোয়া ও কালনার দিকে মোট চারটি অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হয়েছে । সেই সেতুর উদ্বোধন ঘিরেই দেখা দিয়েছে নতুন করে বিতর্ক ।