ETV Bharat / state

সাড়ে ছ'বছর পেরিয়ে কেমন আছে খাগড়াগড় ?

author img

By

Published : Mar 11, 2021, 8:05 PM IST

একটা সময় ছিল যখন এখানকার লোকেরা বাইরে সেভাবে কাজ পেতেন না ৷ সবাই সন্দেহের চোখে দেখতেন ৷ ভিসা পেতে গেলেও সমস্যা হত ৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে ৷ বিস্ফোরণের পর ধীরে ধীরে অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে খাগড়াগড় ৷

Khagragarh Blast 2014
ছবি

বর্ধমান, 11 মার্চ : খাগড়াগড় ৷ নামটা শুনলেই সেই বিভীষিকা মনে পড়ে যায় ৷ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বর্ধমান ৷ বেশ কিছু নথিও পাওয়া গিয়েছিল সেখান থেকে ৷ সেদিনের পর সাড়ে ছয় বছর কেটে গিয়েছে ৷ পুলিশের ভারী বুটের আওয়াজও আজ আর নেই ৷ এতগুলি বছর পেরিয়ে আসার পর কেমন আছে খাগড়াগড় ?

খাগড়াগড়ের সেই বাড়িটার বাইরে আজও সিল করা তালা ঝুলছে ৷ বিস্ফোরণের পর থেকে খাগড়াগড় নাম শুনলেই অনেকে সন্দেহের নজরে দেখতেন ৷ পরিস্থিতি যে আগের থেকে স্বাভাবিক হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন খাগড়াগড়ের অনেকেই ৷ আগে বাইরে কোথায় নিজেদের এলাকার নাম বলতে পারতেন না এখানকার বাসিন্দারা ৷ বললেই, বাইরের লোকেরা জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করত ৷ বাইরে কোথায় কাজ করার সুযোগ পেতেন না এখানকার লোকেরা ৷ কিন্তু এখন সেই সব পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে ৷

বিস্ফোরণের বিভীষিকা কাটিয়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে খাগড়াগড়

2014 সালের পর থেকে নির্বাচন এগিয়ে এলেই বর্ধমানে বিরোধীদের অন্যতম ইস্যু হয়ে ওঠে খাগড়াগড় । সামনেই বিধানসভা নির্বাচন । বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে খাগড়াগড় । ভোটের আগে কেমন আছে খাগড়াগড় ? কি বলছেন সেখানকার মানুষজন ।

আরও পড়ুন : খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ও জেএমবি...

রাজ্যের বিরোধী নেতারা বর্ধমানে জনসভা করতে এলেই খাগড়াগড় প্রসঙ্গ তুলে ধরেন । খাগড়াগড়কে ঘিরে জেএমবি মডিউল শাখা তৈরি হয়েছিল সেই শাখা মুর্শিদাবাদ বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের ।

2014 সালের 2 অক্টোবর ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড় । ঘটনায় 2 জনের মৃত্যু হয়েছিল । বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক ।

এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পারেন খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে আইইডি তৈরির কারবার শুরু করেছিল জামাত জঙ্গিরা । যার মাথা ছিল জামাত উল মুজাহিদিনের ভারতীয় শাখার প্রধান কওসর । রাষ্ট্রদোহিতাসহ একাধিক মামলায় জামাত জঙ্গি কওসর ওরফে বোমা মিজ়ানকে 29 বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত । এছাড়া 10 বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সইদুল ইসলাম, শেখ রহমতউল্লাহ, তারিকুল ইসলাম, মহম্মদ রুবেল, সাদিক ওরফে সুমন, জাহিদুর ইসলামদের ।

আরও পড়ুন : খাগড়াগড়কাণ্ড : 4 বাংলাদেশির 10 বছরের কারাবাস, বাকিদেরও কারাদণ্ডের নির্দেশ

খাগড়াগড়ের বাসিন্দাদের আক্ষেপ কোথাও কোনও বিস্ফোরণ হলে কিংবা জঙ্গি ধরা পড়লে খাগড়াগড়ের নাম জড়িয়ে যেত । এখানকার ছেলেরা বাইরে কাজে যেতে পারত না । খাগড়াগড়ের ঠিকানা শুনলেই তাদের কাজে নেওয়া হত না । এমনকি কেউ পাসপোর্ট বা ভিসা বানাতে গেলে সেটাও বাতিল করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ ছিল । কিন্তু এখন খাগড়াগড়ে আগের মতো শান্তির পরিবেশ ফিরে আসছে বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা ।

খাগড়াগড়েরই এক বাসিন্দা শেখ সাহবুদ্দিন বলেন, আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে খাগড়াগরের নাম শুনলেই মানুষজন মুখ ঘুরিয়ে নিত । কিন্তু জঙ্গিরা শাস্তি পাওয়ার পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করেছে । আমরাও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছি । ভোটেও আর কোন প্রভাব পড়বে না ।

বর্ধমান, 11 মার্চ : খাগড়াগড় ৷ নামটা শুনলেই সেই বিভীষিকা মনে পড়ে যায় ৷ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বর্ধমান ৷ বেশ কিছু নথিও পাওয়া গিয়েছিল সেখান থেকে ৷ সেদিনের পর সাড়ে ছয় বছর কেটে গিয়েছে ৷ পুলিশের ভারী বুটের আওয়াজও আজ আর নেই ৷ এতগুলি বছর পেরিয়ে আসার পর কেমন আছে খাগড়াগড় ?

খাগড়াগড়ের সেই বাড়িটার বাইরে আজও সিল করা তালা ঝুলছে ৷ বিস্ফোরণের পর থেকে খাগড়াগড় নাম শুনলেই অনেকে সন্দেহের নজরে দেখতেন ৷ পরিস্থিতি যে আগের থেকে স্বাভাবিক হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন খাগড়াগড়ের অনেকেই ৷ আগে বাইরে কোথায় নিজেদের এলাকার নাম বলতে পারতেন না এখানকার বাসিন্দারা ৷ বললেই, বাইরের লোকেরা জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করত ৷ বাইরে কোথায় কাজ করার সুযোগ পেতেন না এখানকার লোকেরা ৷ কিন্তু এখন সেই সব পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে ৷

বিস্ফোরণের বিভীষিকা কাটিয়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে খাগড়াগড়

2014 সালের পর থেকে নির্বাচন এগিয়ে এলেই বর্ধমানে বিরোধীদের অন্যতম ইস্যু হয়ে ওঠে খাগড়াগড় । সামনেই বিধানসভা নির্বাচন । বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে খাগড়াগড় । ভোটের আগে কেমন আছে খাগড়াগড় ? কি বলছেন সেখানকার মানুষজন ।

আরও পড়ুন : খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ও জেএমবি...

রাজ্যের বিরোধী নেতারা বর্ধমানে জনসভা করতে এলেই খাগড়াগড় প্রসঙ্গ তুলে ধরেন । খাগড়াগড়কে ঘিরে জেএমবি মডিউল শাখা তৈরি হয়েছিল সেই শাখা মুর্শিদাবাদ বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের ।

2014 সালের 2 অক্টোবর ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড় । ঘটনায় 2 জনের মৃত্যু হয়েছিল । বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক ।

এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পারেন খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে আইইডি তৈরির কারবার শুরু করেছিল জামাত জঙ্গিরা । যার মাথা ছিল জামাত উল মুজাহিদিনের ভারতীয় শাখার প্রধান কওসর । রাষ্ট্রদোহিতাসহ একাধিক মামলায় জামাত জঙ্গি কওসর ওরফে বোমা মিজ়ানকে 29 বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত । এছাড়া 10 বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সইদুল ইসলাম, শেখ রহমতউল্লাহ, তারিকুল ইসলাম, মহম্মদ রুবেল, সাদিক ওরফে সুমন, জাহিদুর ইসলামদের ।

আরও পড়ুন : খাগড়াগড়কাণ্ড : 4 বাংলাদেশির 10 বছরের কারাবাস, বাকিদেরও কারাদণ্ডের নির্দেশ

খাগড়াগড়ের বাসিন্দাদের আক্ষেপ কোথাও কোনও বিস্ফোরণ হলে কিংবা জঙ্গি ধরা পড়লে খাগড়াগড়ের নাম জড়িয়ে যেত । এখানকার ছেলেরা বাইরে কাজে যেতে পারত না । খাগড়াগড়ের ঠিকানা শুনলেই তাদের কাজে নেওয়া হত না । এমনকি কেউ পাসপোর্ট বা ভিসা বানাতে গেলে সেটাও বাতিল করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ ছিল । কিন্তু এখন খাগড়াগড়ে আগের মতো শান্তির পরিবেশ ফিরে আসছে বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা ।

খাগড়াগড়েরই এক বাসিন্দা শেখ সাহবুদ্দিন বলেন, আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে খাগড়াগরের নাম শুনলেই মানুষজন মুখ ঘুরিয়ে নিত । কিন্তু জঙ্গিরা শাস্তি পাওয়ার পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করেছে । আমরাও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছি । ভোটেও আর কোন প্রভাব পড়বে না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.