ETV Bharat / state

খুন করে ছ'মিনিটের মধ্যেই পগার পার হত সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামান ! - burdwan

তাকে শান্ত, নিরীহ বলে জানত প্রতিবেশীরা । কিন্তু, সে যে সিরিয়াল কিলার তা জেনে হতবাক কামরুজ্জামানের প্রতিবেশীরা ।

গ্রাফিক্স
author img

By

Published : Jun 4, 2019, 9:25 PM IST

Updated : Jun 5, 2019, 11:01 PM IST

কালনা, 4 জুন : 'এক থা ভিলেন' রীতেশ দেশমুখকে মনে পড়ে ? যেখানে শান্ত স্বভাবের রাকেশ ( ছবিতে এটাই ছিল রীতেশের নাম ) একের পর এক সুন্দরীকে খুন করেছিল । কিন্তু একটি বারের জন্য কারোর সন্দেহ তো দূরের কথা, প্রশ্ন জাগেনি মনে । সেই পর্দার রাকেশই যেন বাস্তবের কামরুজ্জামান । আপাত শান্ত, নিরীহ ,ভদ্র বছর তিরিশের কামরুজ্জামানকে দেখে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি । প্রতিবেশীরা বলছেন যে নেশার মধ্যে ছিল শুধুই সিগারেট খাওয়া । এক কথায় চেইন স্মোকার । সব সময় ফিটফাট থাকতে পছন্দ করত সে । বেশ কয়েকদিন শ্বশুরবাড়ি থাকলেও একটি বারের জন্য গলা তুলে কথা বলতে শোনা যায়নি তাকে । রবিবার যখন আপাত শান্ত কামরুজ্জামানের আসল পরিচয় জানা গেল তখন রীতিমতো থ প্রতিবেশীরা ।

শুরুটা হয়েছিল গতবছর ডিসেম্বরে । একের পর এক খুন । টার্গেট হচ্ছিল মহিলারাই । প্রথমে শ্বাসরোধ, তারপর খুনকে নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত । একের পর এক ঘটনা সামনে আসার পরও কোনও ক্লু পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা ।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে দুটি বিষয় 1) লাল বাইক 2) লাল হেলমেট । CCTV ফুটেজের এই সামান্য প্রমাণ নিয়েই তদন্ত শুরু করেছিলেন দুঁদে গোয়েন্দারা । জেলার সব থানাতেই খবর ছিল । রবিবার এমনই লাল বাইক দেখে সন্দেহ হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের । সন্দেহের বসে শুরু হয় জেরাও । আর তখনই সামনে আসে আসল তথ্য । বাইক থামিয়ে হাতের ব্যাগ তল্লাশি করতে মেলে চেন ও লোহার রড ।

এই সংক্রান্ত খবর : খুনের পর ধর্ষণের চেষ্টা করত কালনার সিরিয়াল কিলার

আটক করা হয় সন্দেহভাজন যুবককে । জেরায় ভেঙে পড়ে সে । স্বীকার করে খুনের ঘটনা । এমন কী তদন্তকারীদের অনুমান, শুধু খুন নয় শারীরিক লালসা মেটানোর চেষ্ঠা করত সে । কালনার সুজননগরের কামরুজ্জামান-কে গ্রেপ্তারের পর জল্পনা তুঙ্গে । এলাকার বাসিন্দাদের গুঞ্জন আপাত শান্ত কামরুজ্জামান কী ভাবে একের পর এক খুন করেছে । বিশ্বাস হচ্ছে না কারোর ।

কিন্তু কেন খুন ?


তদন্তকারীদের অনুমান মেয়েদের খুন করার মধ্যে একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি ও আনন্দ কাজ করত তার । বুঝতে অসুবিধা নেই সে আদতে একজন মানসিক রোগী ।

কী ভাবে খুন করত সে ?


তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন মূলত দুপুরবেলা যখন বাড়িতে খুব একটা লোকজন থাকত না সেই সময় বাছত সে । মিটার দেখার নাম করে বাড়িতে ঢুকত । তারপর এক কথায় দুই কথায় গৃহকত্রীর অন্যমনস্কতার সুযোগ নিত । ও খুন করত । মাত্র ছয় থেকে সাত মিনিট, এই সময়ের মধ্যেই খুন করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিত সিরিয়াল কিলার ।

ইদানিং তেমন রোজগার ছিল না কামরুজ্জামানের । মূলত বাতিল লোহা, প্লাস্টিকের ব্যবসা করত সে । মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও কয়েক বছর কালনায় ঘরজামাই ছিল সে । তিন ছেলে , মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মূলত সুখী পরিবার । নামী দামি পোশাক পরতে দেখা যেত তাকে । মাঝে মধ্যেই নামী দামি বাইকে দেখা যেত ।

phpto
অভিযুক্ত কামরুজ্জামান

এর আগে চুরির অভিযোগ ছিল তার নামে । বিষয়টি স্ত্রীর কানে এসেছিল । তবে এভাবে একের পর এক মেয়েদের টার্গেট করে খুন করবে তা টের পাননি তিনি । প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এর পিছনে কোনও মানসিক কারণ থাকতে পারে । আবার প্রেমে প্রত্যাখ্যান ঘটেছিল কি না তাও দেখা হচ্ছে ।

দেখা হচ্ছে পারিবারিক সম্পর্ক কেমন । স্ত্রীর সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক তদন্তের ঊর্ধ্বে নয় । এমল একাধিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজা শুরু হয়েছে।

কালনা, 4 জুন : 'এক থা ভিলেন' রীতেশ দেশমুখকে মনে পড়ে ? যেখানে শান্ত স্বভাবের রাকেশ ( ছবিতে এটাই ছিল রীতেশের নাম ) একের পর এক সুন্দরীকে খুন করেছিল । কিন্তু একটি বারের জন্য কারোর সন্দেহ তো দূরের কথা, প্রশ্ন জাগেনি মনে । সেই পর্দার রাকেশই যেন বাস্তবের কামরুজ্জামান । আপাত শান্ত, নিরীহ ,ভদ্র বছর তিরিশের কামরুজ্জামানকে দেখে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি । প্রতিবেশীরা বলছেন যে নেশার মধ্যে ছিল শুধুই সিগারেট খাওয়া । এক কথায় চেইন স্মোকার । সব সময় ফিটফাট থাকতে পছন্দ করত সে । বেশ কয়েকদিন শ্বশুরবাড়ি থাকলেও একটি বারের জন্য গলা তুলে কথা বলতে শোনা যায়নি তাকে । রবিবার যখন আপাত শান্ত কামরুজ্জামানের আসল পরিচয় জানা গেল তখন রীতিমতো থ প্রতিবেশীরা ।

শুরুটা হয়েছিল গতবছর ডিসেম্বরে । একের পর এক খুন । টার্গেট হচ্ছিল মহিলারাই । প্রথমে শ্বাসরোধ, তারপর খুনকে নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত । একের পর এক ঘটনা সামনে আসার পরও কোনও ক্লু পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা ।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে দুটি বিষয় 1) লাল বাইক 2) লাল হেলমেট । CCTV ফুটেজের এই সামান্য প্রমাণ নিয়েই তদন্ত শুরু করেছিলেন দুঁদে গোয়েন্দারা । জেলার সব থানাতেই খবর ছিল । রবিবার এমনই লাল বাইক দেখে সন্দেহ হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের । সন্দেহের বসে শুরু হয় জেরাও । আর তখনই সামনে আসে আসল তথ্য । বাইক থামিয়ে হাতের ব্যাগ তল্লাশি করতে মেলে চেন ও লোহার রড ।

এই সংক্রান্ত খবর : খুনের পর ধর্ষণের চেষ্টা করত কালনার সিরিয়াল কিলার

আটক করা হয় সন্দেহভাজন যুবককে । জেরায় ভেঙে পড়ে সে । স্বীকার করে খুনের ঘটনা । এমন কী তদন্তকারীদের অনুমান, শুধু খুন নয় শারীরিক লালসা মেটানোর চেষ্ঠা করত সে । কালনার সুজননগরের কামরুজ্জামান-কে গ্রেপ্তারের পর জল্পনা তুঙ্গে । এলাকার বাসিন্দাদের গুঞ্জন আপাত শান্ত কামরুজ্জামান কী ভাবে একের পর এক খুন করেছে । বিশ্বাস হচ্ছে না কারোর ।

কিন্তু কেন খুন ?


তদন্তকারীদের অনুমান মেয়েদের খুন করার মধ্যে একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি ও আনন্দ কাজ করত তার । বুঝতে অসুবিধা নেই সে আদতে একজন মানসিক রোগী ।

কী ভাবে খুন করত সে ?


তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন মূলত দুপুরবেলা যখন বাড়িতে খুব একটা লোকজন থাকত না সেই সময় বাছত সে । মিটার দেখার নাম করে বাড়িতে ঢুকত । তারপর এক কথায় দুই কথায় গৃহকত্রীর অন্যমনস্কতার সুযোগ নিত । ও খুন করত । মাত্র ছয় থেকে সাত মিনিট, এই সময়ের মধ্যেই খুন করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিত সিরিয়াল কিলার ।

ইদানিং তেমন রোজগার ছিল না কামরুজ্জামানের । মূলত বাতিল লোহা, প্লাস্টিকের ব্যবসা করত সে । মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও কয়েক বছর কালনায় ঘরজামাই ছিল সে । তিন ছেলে , মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মূলত সুখী পরিবার । নামী দামি পোশাক পরতে দেখা যেত তাকে । মাঝে মধ্যেই নামী দামি বাইকে দেখা যেত ।

phpto
অভিযুক্ত কামরুজ্জামান

এর আগে চুরির অভিযোগ ছিল তার নামে । বিষয়টি স্ত্রীর কানে এসেছিল । তবে এভাবে একের পর এক মেয়েদের টার্গেট করে খুন করবে তা টের পাননি তিনি । প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এর পিছনে কোনও মানসিক কারণ থাকতে পারে । আবার প্রেমে প্রত্যাখ্যান ঘটেছিল কি না তাও দেখা হচ্ছে ।

দেখা হচ্ছে পারিবারিক সম্পর্ক কেমন । স্ত্রীর সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক তদন্তের ঊর্ধ্বে নয় । এমল একাধিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজা শুরু হয়েছে।

Intro:শান্ত স্বভাবের কামরুজ্জামান সিরিয়াল কিলার, অবাক বাসিন্দারা

পুলক যশ, কালনা


ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে ছয় জন মহিলাকে খুনের ঘটনা। গতকাল অর্থাৎ রবিবার ফের মেমারির দেবীপুর এলাকায় ফের এক মহিলাকে খুনের চেষ্টা করেছিল অপরাধী। কিন্তু ওই বাড়িতে একাধিক লোকজন থাকায় এ যাত্রায় রক্ষা পেয়ে যান এক মহিলা। মেমারির দেবীপুর থেকে ফেরার পথে রবিবার দুপুরে কালনার কাঁকুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় সিভিক ভলেন্টিয়াররা ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরেন। একের পর এক খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে খুনি লাল রঙের মোটর বাইক চালায়। মাথায় হেলমেট পড়ে থাকে। এবং তার বাইক এর মধ্যে সব সময় বাজার করার জন্য একটা নাইলনের থলি থাকতো। এদিকে ধৃতের সঙ্গে পুলিশ যাকে খুঁজছে তার মিল থাকায় থানায় খবর দেওয়া হয়।ধৃতের কাছে থাকা নাইলনের দুটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় লোহার শাবল সহ খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি চেন।এরপরেই মাথায় হেলমেট থাকা ওই লাল মোটরবাইক চালক কামরুজ্জামান সরকারকে কালনা থানার পুলিশ প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে মুর্শিদাবাদ এলাকায় তার বাড়ি হলেও স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে নাদনঘাট থানার সুজননগরের শ্বশুরবাড়ি এলাকায় থাকে । পুলিশ ওই টিনের চালা দেওয়া ঘরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে ইমিটেশন,রূপো ও সোনার গহনা উদ্ধার করেন।পুলিশসূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন থানা এলাকায় এখনো পর্যন্ত প্রায় বারোজন মহিলাকে সে খুন করেছে বলে জেরায় উঠে আসে।যদিও ধৃতের কথাবার্তায় বেশকিছু অসংগতি থাকার কারণে এই তথ্যের বাইরে আরো কোথায় কি ধরনের ঘটনা সে ঘটিয়েছে পুলিশ তার তদন্তে নেমেছেন।
শুধুমাত্র এই মহিলাদের খুন করার মধ্যেই যেন একটা আত্মতৃপ্তি ও আনন্দের নেশা তৈরী হয়েছিলো ওই কামরুজ্জামান সরকারের মধ্যে।বছরের পর বছর ধরে শ্বশুরবাড়িতে থেকে ঠান্ডা মাথায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একাধিক খুনে হাত রক্তাক্ত করে সে সিরিয়াল কিলার হয়ে ওঠে।কখনো বৈদ্যুতিক মিটার দেখার নাম করে,কখনো বা সরকারি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে কোনো মহিলা একা থাকার সুযোগে সে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়তো।এরপর তাকে লোহার শাবল দিয়ে পিছন দিক থেকে আঘাত করে পরে গলায় চেন পেঁচিয়ে খুন করতো বলে পুলিশকে সে জানায়।অনেক ক্ষেত্রে সে ব্যর্থও হয়।এই ধরনের মানসিকতা ও ঘটনার নেপথ্যে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এই ঘটনা সহ দু-তিন ধরনের তথ্য পুলিশ জানতে পারলেও পুলিশ তা খতিয়ে দেখছেন।সুজননগরের বাসিন্দারা জানান,স্থির ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি শান্ত স্বভাবের এলাকার জামাই কামরুজ্জামান সেইভাবে কারো সাথে ওই এলাকায় মেলামেশা করতো না।সর্বদা নামীদামী কোম্পানির পোশাক পড়ে সে সুটেড-বুটেড হয়ে থাকতো।নতুন-নতুন মোটরবাইকে চাপতেও তাকে দেখা যেতো।দিনে তিন-চার প্যাকেট সিগারেট তো কথাই ছিলোনা।সিরিয়াল চেন কিলারের মতো সে চেন স্মোকারও সে ছিলো।ওই বাড়িতেই থাকা তার স্ত্রী ফুলমণি বিবি স্বামীর চুরি করার বিষয় জানলেও একাধিক খুনের ঘটনার সম্পর্কে সে কিছুই জানে না বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের তিনি জানিয়েছেন।Body:শান্ত স্বভাবের কামরুজ্জামান Conclusion:সিরিয়াল কিলার
Last Updated : Jun 5, 2019, 11:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.