ETV Bharat / state

4 লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, বর্ধমান থেকে শিশুকে উদ্ধার করল পুলিশ - যৌনকর্মী

পেশায় যৌনকর্মী হওয়ায় নিজের তিন বছরের মেয়েকে রেখেছিলেন এক পরিচিতের কাছে ৷ মেয়ের ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকাও পাঠাতেন তিনি। কিন্তু মেয়েকে নিজের কাছে ফিরে পেতে চাইতেই পরিচিত মহিলা দিতে রাজি হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ জানালে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে ৷

abduction
বর্ধমান থেকে শিশুকে উদ্ধার করল পুলিশ
author img

By

Published : Aug 11, 2020, 6:25 AM IST

কলকাতা, 10 অগাস্ট : তিনি পেশায় যৌনকর্মী । তাই নিজের তিন বছরের মেয়েকে রেখেছিলেন পরিচিতের কাছে। তার জন্য মাসে মাসে দিতেন টাকা। লকডাউনের আগে শিশুকে নিজের কাছে আনতে চাইলেই বাঁধে গোলমাল। বলা হয়, শিশুকে নিতে হলে দিতে হবে চার লাখ টাকা। শেষে গত শনিবার লালবাজারের উইমেন্স গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ দায়ের করেন ওই যৌনকর্মী। তদন্তে নেমে পুলিশ আজ বর্ধমান থেকে উদ্ধার করে ওই শিশুকন্যাকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবতির আদতে বাড়ি উত্তর 24 পরগনায়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। 2019 সালে কলকাতায় আসেন কাজের জন্য। শোভাবাজার এলাকায় পান পরিচারিকার কাজ। সেই সময় থাকতে শুরু করেন পরিচিত এক যুবতির সঙ্গে। যেখানে থাকতেন সেটি সোনাগাছি এলাকা। ধীরে ধীরে ওই যুবতি নাম লেখান যৌনপেশায়। গতবছর শেষের দিকে পরিচিত ওই যুবতির কাছে মেয়েকে রাখেন অভিযোগকারিণী। পরিচিত ওই যুবতি মেয়েটিকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি নবদ্বীপে নিয়ে চলে যায়। অভিযোগকারিণীর দাবি, মেয়ের জন্য প্রতি মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকা পাঠাতেন তিনি। কিন্তু তাল কাটে গত মার্চ মাসে। মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চান অভিযোগকারিণী। তখন পরিচিত ওই যুবতি চার লাখ টাকা দিলে মেয়েকে ছাড়া হবে বলে হুমকি দেয়। না দিলে শিশু বিক্রির মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে উইমেন্স গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ জানান ওই যৌনকর্মী।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নবদ্বীপে নেই শিশুকন্যা। এবার শুরু হয় খোঁজ। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে আজ বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক পুরুষ-সহ অভিযুক্তকে।

কলকাতা, 10 অগাস্ট : তিনি পেশায় যৌনকর্মী । তাই নিজের তিন বছরের মেয়েকে রেখেছিলেন পরিচিতের কাছে। তার জন্য মাসে মাসে দিতেন টাকা। লকডাউনের আগে শিশুকে নিজের কাছে আনতে চাইলেই বাঁধে গোলমাল। বলা হয়, শিশুকে নিতে হলে দিতে হবে চার লাখ টাকা। শেষে গত শনিবার লালবাজারের উইমেন্স গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ দায়ের করেন ওই যৌনকর্মী। তদন্তে নেমে পুলিশ আজ বর্ধমান থেকে উদ্ধার করে ওই শিশুকন্যাকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবতির আদতে বাড়ি উত্তর 24 পরগনায়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। 2019 সালে কলকাতায় আসেন কাজের জন্য। শোভাবাজার এলাকায় পান পরিচারিকার কাজ। সেই সময় থাকতে শুরু করেন পরিচিত এক যুবতির সঙ্গে। যেখানে থাকতেন সেটি সোনাগাছি এলাকা। ধীরে ধীরে ওই যুবতি নাম লেখান যৌনপেশায়। গতবছর শেষের দিকে পরিচিত ওই যুবতির কাছে মেয়েকে রাখেন অভিযোগকারিণী। পরিচিত ওই যুবতি মেয়েটিকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি নবদ্বীপে নিয়ে চলে যায়। অভিযোগকারিণীর দাবি, মেয়ের জন্য প্রতি মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকা পাঠাতেন তিনি। কিন্তু তাল কাটে গত মার্চ মাসে। মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চান অভিযোগকারিণী। তখন পরিচিত ওই যুবতি চার লাখ টাকা দিলে মেয়েকে ছাড়া হবে বলে হুমকি দেয়। না দিলে শিশু বিক্রির মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে উইমেন্স গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ জানান ওই যৌনকর্মী।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নবদ্বীপে নেই শিশুকন্যা। এবার শুরু হয় খোঁজ। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে আজ বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক পুরুষ-সহ অভিযুক্তকে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.