বর্ধমান, 15 নভেম্বর : কলকাতার ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হল শেখ জাভেদ নামে এক দুষ্কৃতিকে । পুলিশ জানতে পেরেছে জাভেদ সুপারি কিলার দলের সদস্য ছিল । আজ তাকে বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয় ।
এর আগে ওই খুনের ঘটনায় জেলা পুলিশ মহম্মদ সাদ্দাম ও মহম্মদ জানিসর আলম ওরফে রিকি নামে দুই সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করেছে । তাদের কাছ থেকে জাভেদের নাম জানতে পারে পুলিশ । এরপর রবিবার গভীর রাতে কলকাতার ময়দান থানা এলাকা থেকে জাভেদকে গ্রেফতার করে ।
আরও পড়ুন : Burdwan Medical College : হাসপাতালের বেড থেকে পড়ল সদ্যোজাত, নার্সের বিরুদ্ধে কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগ
ইতিমধ্যেই সাদ্দাম ও রিকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার দিন সাদ্দামের মামা ঘটনাস্থলে ছিল । পুলিশের ধারণা সাদ্দামের মামা ধরা পড়লে খুনের কারণ অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে । কিন্তু কারা তাদের সুপারি দিয়েছিল, সেটাও খুঁজে দেখছে তদন্তকারী অফিসারেরা ।
রিকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে সব্যসাচীকে খুনের ঘটনার দিনেই তার ঘনিষ্ঠ লোকেরা অষ্ট্রেলিয়া কিংবা অন্য দেশে পালিয়ে গিয়েছে । ইতিমধ্যেই বর্ধমান সংশোধানাগারে টি আই প্যারেডে রিকিকে সনাক্ত করেছে সব্যসাচীর বন্ধু রাজবীর সিং । রিকি পুলিশকে জানিয়েছে, টাকার লোভেই সে এই কাজ করেছে ।
আরও পড়ুন : Mysterious Death : একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যুতে মন্তেশ্বরে চাঞ্চল্য
অন্যদিকে পুলিশকে আরও একটা বিষয় ভাবাচ্ছে । ঘটনার দিন সব্যসাচী খুন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সব্যসাচী তাঁর মেয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন । সেই সময় সব্যসাচীর গাড়ির চালক আনন্দ সাহু এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে উপরে আসেন । আনন্দ তাঁকে অফিসার বলে সম্বোধন করেন । ওই অফিসারের সঙ্গে সব্যসাচী নিচে নেমে আসেন । কিছুক্ষণের মধ্যেই সকলে গুলির শব্দ শুনতে পান ।
তাহলে ওই অফিসার কে ছিলেন ? তিনি কি তাহলে সব্যসাচীর পূর্ব পরিচিত ? না হলে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গেই বা কেন সব্যসাচী নিচে নেমে গেলেন, তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ । এদিকে ঘটনার দিন একটা বাইক আততায়ীদের পথ দেখিয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ । সেই বাইকটিও কলকাতার সোনারপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ।
আরও পড়ুন : Rayna Businessman Murder : রায়নার বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হাওড়ার ব্যবসায়ী
বাইকের মালিক পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁকে রায়নার দেশের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেছিল সব্যসাচীর খুড়তুতো ভাই সোমনাথ । কিন্তু তাঁকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দাঁড় করিয়ে সোমনাথ নিজের বাড়িতে যায় । ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি খুনের পরিকল্পনার কথা জানতেন না । তিনি পুলিশকে যথাযথ সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন ।
এদিকে পুলিশের অনুমান জাভেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের ঘটনার আরও অগ্রগতি হবে । এদিন জাভেদকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।