-
শতাব্দী প্রাচীন গেট তৈরির ক্রেডিট নিতে চায় তৃণমূল pic.twitter.com/CSncDuZoib
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) January 5, 2024 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">শতাব্দী প্রাচীন গেট তৈরির ক্রেডিট নিতে চায় তৃণমূল pic.twitter.com/CSncDuZoib
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) January 5, 2024শতাব্দী প্রাচীন গেট তৈরির ক্রেডিট নিতে চায় তৃণমূল pic.twitter.com/CSncDuZoib
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) January 5, 2024
বর্ধমান, 5 জানুয়ারি: "বারো বছর আগে বর্ধমান শহরে এই গেট ছিল ?" ভরা জনসভায় প্রশ্ন তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের ৷ 3 জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের কার্জন গেটে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল, জনসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল ৷ এই সভা থেকেই তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী দাবি করেন, বারো বছরে এলাকায় যে উন্নতি হয়েছে, তা আগে ছিল না ৷ এমনকী তিনি 'এই গেট' বলতে কার্জন গেটের কথাই উল্লেখ করেছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের ৷ এ দিকে, তাঁর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "শতাব্দী প্রাচীন গেট তৈরির ক্রেডিট নিতে চায় তৃণমূল ৷"
সায়নীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, সায়নী ঘোষ তাঁর বক্তব্যে কখনও কার্জন গেটের নাম উল্লেখ করেননি ৷ বর্ধমান স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিক বরাবর প্রায় দু'কিলোমিটার গেলে ডানদিকে মিলবে কার্জনগেট ৷ বর্ধমানে বিজয়চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে এই গেট তৈরি করা হয় ৷ 1904 সালে লর্ড কার্জনের সফর উপলক্ষে গেটের নামকরণ করা হয় কার্জনগেট ৷ স্বাধীনতার পর সেই নাম বদলে করা হয় বিজয় তোরণ ৷ তবে বর্ধমানবাসী তথা অন্য রাজ্য থেকে আসা পর্যটকদের কাছেও এই গেট 'কার্জনগেট' বলেই পরিচিত ৷
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেলে উল্লাস মোড় থেকে কার্জনগেট পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল ৷ মিছিলে নেতৃত্ব দেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ ৷ সেখান থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল যুব নেত্রী ৷
জনসভা থেকে কার্জন গেটের নাম না করে গেট দেখিয়ে সায়নী ঘোষ বলেন, "মানুষের বাড়ি বাড়ি যান তাঁদেরকে গিয়ে বোঝান ৷ বারো বছর আগে কী ছিল, আর কী ছিল না ৷ এই 12 বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের জন্য কী কী কাজ করেছে, সেটাও তুলে ধরতে হবে ৷" এরপরেই তিনি প্রশ্ন ছোড়েন, "বারো বছর আগে ছিল ওই গেট ছিল ? এই আলো ছিল ? ঝকঝকে রাস্তা, এত হাসপাতাল ছিল ? কিচ্ছু ছিল না ৷"
সায়নী ঘোষের এই মন্তব্য ভাইরাল হয় ৷ শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা ৷ জেলা বিজেপি নেতা পুষ্পজিৎ সাঁই বলেন, "কী অদ্ভুত ধরনের কথাবার্তা, উনি তো কার্জন গেটের সামনেই সভা করেছেন ৷ উনি গেট বলতে কোন গেটের কথা বলছেন ৷ সেখানে তো একটাই গেট, সেই কার্জন গেটের কথা উল্লেখ করে উনি যে কথা বলতে চাইছেন তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে উনি বর্ধমান কেন পশ্চিমবাংলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না ৷ তাহলে দু'দিন পরে যখন মুখ্যমন্ত্রী কার্জন গেট চত্বরে কিছু উদ্বোধন করে যান, তখন তো তারা বলতে শুরু করে দেবে কার্জন গেট তারা তৈরি করেছে । সেটারই কি আগাম বার্তা দিয়ে গেলেন সায়নী ? আসলে রাজনৈতিক ভাবে যাঁদের শিক্ষাদীক্ষা নেই, যে নেত্রী শিবঠাকুরকে নিয়ে কুমন্তব্য করতে পারেন, তাঁদের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য ছাড়া আর কী পাওয়া যেতে পারে ৷"
কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, "সায়নী ঘোষ বর্ধমানে সভা করতে এসে বলেছেন এই গেট তৃণমূল আমলে তৈরি হয়েছে ৷ তাহলে এই গেট মানে তো কার্জন গেট ছাড়া আর অন্য কোনও গেট নেই ৷ এদের কাজ শুধুমাত্র ভাইপো আর পিসির চটি চেটে তাঁদের মন জয় করা ৷"
আরও পড়ুন: