গুসকরা, 7 ফেব্রুয়ারি : তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরেই আনন্দে আপ্লুত হয়ে ফেসবুকে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন গুসকরা পৌরসভার চার বারের কাউন্সিলর মল্লিকা চোংদার (Offended TMC leader At Guskhara)। তারপরেই তিনি যখন জানতে পারেন 3নং ওয়ার্ডে তাঁর নাম বাদ দিয়ে শিপ্রা চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে তখন তিনি ক্ষোভ উগরে দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধেই।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, "1998 সাল থেকে চারবার আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর রয়েছি। অথচ, অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূল নেতা হিসেবে দাপট দেখাতে শুরু করেছেন 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে।" গুসকরা পৌরসভার জন্য প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল 3নং ওয়ার্ডে মল্লিকা চোংদারের নাম ছিল। এরপরেই ফেসবুকে মল্লিকা চোংদার পোস্ট করেন, "আমাকে দলের প্রার্থী করার জন্য আমি দলের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমি আরও কৃতজ্ঞ আমাদের নেতা অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্টদার কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ।"
তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পরেই দেখা যায় সেই তালিকায় নাম নেই মল্লিকা চোংদারের। সেই জায়গায় নাম রয়েছে শিপ্রা চৌধুরীর। অথচ, বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডল যখন তৃণমূলের প্রার্থীদের জেলা কার্যালয়ে আসতে বলেন সেখানে দেখা যায় শিপ্রা চৌধুরীর জায়গায় এসেছেন তাঁর আত্মীয় পূর্ণিমা চৌধুরী। রবিবার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার পিছনে অনুব্রত মণ্ডলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মল্লিকা চোংদার।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার প্রতিবাদে বর্ধমানে কর্মীদের বিক্ষোভ
তিনি আরও বলেন, "1998 সাল থেকে আমি চারবার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর হয়েছি। এবারে আমি তো প্রার্থী হতে চাইনি। তাহলে আমার নাম কে রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠাল আর কে আমার নাম বাদ দিল সেটা আমি জানতে চাই। কেন আমাকে এইভাবে অপমান করা হল। এর পিছনে অনুব্রত মণ্ডলের হাত আছে বলে আমি মনে করি। বিষয়টি নিয়ে ফোনে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছি।"