ETV Bharat / state

দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়, এটা কাটমানি নয় ; মন্তব্য পঞ্চায়েত প্রধানের

author img

By

Published : Jul 2, 2021, 7:21 PM IST

দল চালাতে গেলে টাকা লাগে ৷ এটা কাটমানি নয় ৷ বেঁফাস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন গলসির (Galsi) গোহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রিঙ্কু ঘোষ (Rinku Ghosh)।

money is needed for the party, it is not cut money, says tmc leader
দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়, এটা কাটমানি নয় ; বেঁফাস মন্তব্য পঞ্চায়েত প্রধানের

গলসি, 2 জুলাই : দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়, দলের একটা নিজের খরচ আছে, এটা সবাই জানে । এমনই বেফাঁস মন্তব্য করলেন পূর্ব বর্ধমানের গলসির (Galsi) গোহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রিঙ্কু ঘোষ (Rinku Ghosh) । এই টাকা নেওয়া কাটমানি নয় বলে সাফাই দিয়েছেন তিনি । যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা টাকা নেবে তাঁরা ধরা পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

গলসির টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ডামাডোল চলছে । গোহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমল ভক্তের দাবি, গ্রামের প্রধান রিঙ্কু ঘোষ চাইছেন টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে না করে অফলাইনে করা হোক । তিনি বলেন, ‘'প্রধান বলেছেন টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হোক এটা আমরা চাই । কিন্তু প্রধান দাবি করেছেন তাঁকে নাকি বিডিও জানিয়েছেন, অফলাইনে কাজ করলে কাজ তাড়াতাড়ি হবে ৷ যদিও এরপরেই প্রধান কথা ঘুরিয়ে বলেন, বিডিও নন এটা পার্টির কিছু লোক বলেছেন । আসলে অফলাইনে করলে কিছু নেতার সুবিধা আছে । কিছু কন্ট্রাক্টরের কাজ দেওয়া হয় । যেখান থেকে একটা পার্সেন্টেজ নেওয়া হয় । সেই টাকা তাঁরা পকেটে ভরেন । অনলাইনে করলে তাঁদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে । আমরা চাইছি, পঞ্চায়েতের কাজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে হোক । লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারের কাজ পিছিয়ে ছিল । পার্টির কিছু নেতৃত্ব প্রধানকে পরামর্শ দিচ্ছেন, সেইমতো প্রধান চলছেন । তবে সরকারের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার জন্য আমরা চাই টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে হোক ।'’

এরপরেই গ্রাম প্রধান রিঙ্কু ঘোষ বলেন, ‘'দল চালাতে গেলে টাকা লাগে । দলের একটা খরচ আছে । দল চালাতে হলে সব কিছুই দরকার । পার্টি ফান্ডে টাকা রাখা হয় । পার্টির তো অনেক কিছুই দরকার । এটা তো কাটমানি নয় । কাটমানি হচ্ছে কোনও বাড়ি বা কোনও প্রজেক্ট এলে, সেখান থেকে কুড়ি-তিরিশ হাজার টাকা নিলে সেটাকে কাটমানি বলে । এটা তো কাটমানি নয় । এটা দল চালাতে গেলে লাগে, সবাই তা জানে । কে নেয়, কীভাবে নেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না । এইজন্যই কি অফলাইনে করা হচ্ছিল সেটাও জানি না, আমাকে বিডিও সাহেব বলেছিলেন, অনলাইনে করলে দেরি হতে পারে ৷ অফলাইনে করে দিলে তাড়াতাড়ি কাজটা এগিয়ে যাবে । অফলাইন করলে যে টাকা নেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না।'’

রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘'যাঁরা টাকা নেবেন, ধরা পড়লে তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা আছে । এমনকী পদও চলে যেতে পারে । আমার কাছে নীচু লেভেলের খবর এসে পৌঁছয় না । এটা জেলা নেতৃত্ব বলতে পারবে । যদি টাকা নেওয়ার খবর আমার কাছে আসে, তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব ।'’

গলসি, 2 জুলাই : দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়, দলের একটা নিজের খরচ আছে, এটা সবাই জানে । এমনই বেফাঁস মন্তব্য করলেন পূর্ব বর্ধমানের গলসির (Galsi) গোহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রিঙ্কু ঘোষ (Rinku Ghosh) । এই টাকা নেওয়া কাটমানি নয় বলে সাফাই দিয়েছেন তিনি । যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা টাকা নেবে তাঁরা ধরা পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

গলসির টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ডামাডোল চলছে । গোহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমল ভক্তের দাবি, গ্রামের প্রধান রিঙ্কু ঘোষ চাইছেন টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে না করে অফলাইনে করা হোক । তিনি বলেন, ‘'প্রধান বলেছেন টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হোক এটা আমরা চাই । কিন্তু প্রধান দাবি করেছেন তাঁকে নাকি বিডিও জানিয়েছেন, অফলাইনে কাজ করলে কাজ তাড়াতাড়ি হবে ৷ যদিও এরপরেই প্রধান কথা ঘুরিয়ে বলেন, বিডিও নন এটা পার্টির কিছু লোক বলেছেন । আসলে অফলাইনে করলে কিছু নেতার সুবিধা আছে । কিছু কন্ট্রাক্টরের কাজ দেওয়া হয় । যেখান থেকে একটা পার্সেন্টেজ নেওয়া হয় । সেই টাকা তাঁরা পকেটে ভরেন । অনলাইনে করলে তাঁদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে । আমরা চাইছি, পঞ্চায়েতের কাজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে হোক । লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারের কাজ পিছিয়ে ছিল । পার্টির কিছু নেতৃত্ব প্রধানকে পরামর্শ দিচ্ছেন, সেইমতো প্রধান চলছেন । তবে সরকারের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার জন্য আমরা চাই টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে হোক ।'’

এরপরেই গ্রাম প্রধান রিঙ্কু ঘোষ বলেন, ‘'দল চালাতে গেলে টাকা লাগে । দলের একটা খরচ আছে । দল চালাতে হলে সব কিছুই দরকার । পার্টি ফান্ডে টাকা রাখা হয় । পার্টির তো অনেক কিছুই দরকার । এটা তো কাটমানি নয় । কাটমানি হচ্ছে কোনও বাড়ি বা কোনও প্রজেক্ট এলে, সেখান থেকে কুড়ি-তিরিশ হাজার টাকা নিলে সেটাকে কাটমানি বলে । এটা তো কাটমানি নয় । এটা দল চালাতে গেলে লাগে, সবাই তা জানে । কে নেয়, কীভাবে নেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না । এইজন্যই কি অফলাইনে করা হচ্ছিল সেটাও জানি না, আমাকে বিডিও সাহেব বলেছিলেন, অনলাইনে করলে দেরি হতে পারে ৷ অফলাইনে করে দিলে তাড়াতাড়ি কাজটা এগিয়ে যাবে । অফলাইন করলে যে টাকা নেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না।'’

রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘'যাঁরা টাকা নেবেন, ধরা পড়লে তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা আছে । এমনকী পদও চলে যেতে পারে । আমার কাছে নীচু লেভেলের খবর এসে পৌঁছয় না । এটা জেলা নেতৃত্ব বলতে পারবে । যদি টাকা নেওয়ার খবর আমার কাছে আসে, তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব ।'’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.