কালনা, 28 জুন : ঘুরতে এসে মেয়ে-জামাই উধাও হয়ে গেছিল । পরে মেয়ে অঞ্জুর দেহ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় । অঞ্জুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অঞ্জুর স্বামী কৃষ্ণলাল রজককে গ্রেপ্তার করে । এরপর গতকাল অঞ্জুকে খুনের দায়ে কৃষ্ণলাল রজককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কালনা মহকুমা আদালত । বিচারক তপনকুমার মণ্ডল কৃষ্ণলালের সঙ্গেই তার মা বেলু রজককেও দোষীসাব্যস্ত করেন । তাকে তিন বছরের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।
কৃষ্ণলালের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার কসা গ্রামে । 2017 সালের 20 অগাস্ট স্বামী কৃষ্ণলালের সঙ্গে মন্তেশ্বর থানার দেনুর গ্রামে বাবারবাড়ি আসেন অঞ্জু । রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তারা পাশের ঘরে ঘুমোতে যায় ওইদিন । পরে ভোরের দিকে দু'জনকেই আর ঘরে খুঁজে পাওয়া যায়নি । তিনদিন পর 23 অগাস্ট ওই বাড়ির কাছেই টেরা দিঘিতে অঞ্জুর মৃতদেহ ভেসে ওঠে । অঞ্জুর মা সন্তোষী মণ্ডল তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য কৃষ্ণলাল ও মাকে দায়ি করেন এবং তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন । সেই মামলায় 18 জনের সাক্ষ্যদানের পর বুধবার কৃষ্ণলাল ও বেলু রজককে দোষীসাব্যস্ত করা হয় । পরে গতকাল আদালত তাদের এই সাজা ঘোষণা করে ।
প্রসঙ্গত, 2017 সালের 8 এপ্রিল মন্তেশ্বর থানায় সন্তোষী মণ্ডল একটি অভিযোগ করেন । সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়ে অঞ্জু ভালোবেসে বিয়ে করেছে কৃষ্ণলাল রজককে । কিন্তু এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি কৃষ্ণলালের মা বেলু রজক । ফলে অঞ্জুর উপর তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে । তারপরই ঘটে এই দুর্ঘটনা । বুধবার ভারতীয় দণ্ডবিধির বধূ নির্যাতন (498 A), হত্যা (302) এবং প্রমাণ লোপাট (201) নম্বর ধারায় কৃষ্ণলাল রজককে ও বধূ নির্যাতন (498 A ) ধারায় তার মা বেলু রজককে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত ।