ভাতার, 2 নভেম্বর : হরি মাঝি । বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বামশোর গ্রামে । জন্ম থেকেই মূক ও বধির । মাঝবয়সি হরি খেতমজুরি করে কোনওরকমে সংসার টানেন । বাড়িতে আছেন বিধবা মা, স্ত্রী, এক মেয়ে আর এক ছেলে । নিজেদের বাড়িঘর নেই । হরির শ্বশুরের একটি ভাঙা ঘরে কোনওমতে রাত কাটাতেন তাঁরা । অভাবের সংসার । সংসারের হাল ধরতে স্ত্রী অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন । ছেলেও দিনমজুরির পেশায় নেমেছে । এভাবেই একরকম দিন কাটছিল হরির । মোড় ঘুরল আজ সন্ধেয় । মুহূর্তের মধ্যে কোটিপতি ।
আর পাঁচটা দিনের মতো আজ সকালেও বাজারে গেছিলেন হরি । সেখানে 30 টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন । সন্ধেয় প্রথম খবরটা আসে । প্রথমটায় যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি । ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে যে... লটারিতে প্রথম পুরস্কার । এক কোটি টাকা । সম্বিত ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা হরি । এই রোজকার অভাব আর দেখতে হবে না । হাড়ভাঙা খাটুনি থেকে কিছুটা মুক্তি মিলবে ।
হরির ছেলে জানিয়েছে, এই টাকা দিয়ে নিজেদের একটা বাড়ি বানাবে তারা । দিদির বিয়েটাও ভালোভাবে দেওয়া যাবে ।
এদিকে খবর জানাজানি হতেই হরির এক চিলতে বাড়ির সামনে ভিড় লেগে যায় । হরি মাঝির মা আঙুরবালা মাঝি বলেন, "ছেলে জন্ম থেকেই মূক ও বধির । কষ্টের সংসার । ঠাকুর মুখ তুলে চেয়েছে ।"