বর্ধমান, 31 মে: তামাক সেবনেjর ফলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়ে সচেতন করতে পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসে তার ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। পাশাপাশি রঙিন ছবির মাধ্যমে ভয়াবহ দিকগুলিও তুলে ধরা উচিত । এমনটাই বলছেন স্কুলশিক্ষকরা। আজ, অর্থাৎ 31 মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। প্রতিবছর এই দিন পালন করা হলেও তামাক সেবন কি কমানো গিয়েছে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। সিগারেটের প্যাকেটে কিংবা সিনেমাহলে এই বিষয়ে সচেতন করা হয়। তবে এই বিষয়ে আর কীভাবে সচেতন করা যায় তা জানালেন স্কুলশিক্ষকরা ৷
স্কুল শিক্ষকদের মতে, বাড়িতে বাবা মায়ের কাছ থেকে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হয় । তারপর সে স্কুলে ভরতি হয়। সেই শিশু যখন ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণিতে ওঠে তাদের মধ্যে একটা পরিবর্তন শুরু হয়। তাদের মধ্যে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নকল করার একটা প্রবণতাও দেখা যায়। ফলে স্কুলের পাঠ্যবইতে যদি তামাক সেবনে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আলোচনা করতে পারেন তাহলে একটা প্রজন্ম কিছুটা হলেও প্রথম থেকে সচেতন হবে ৷ পাশাপাশি রঙিন ছবির মাধ্যমে যদি তুলে ধরা যায় তাহলে শিশুদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।
বর্ধমান আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবীর কুমার দে বলেন, "তামাক একটা সর্বনাশা নেশা। দিনে দিনে তামাকের ব্যবহার এত বেড়েছে যে টিনেজেই ছেলেরা এই নেশায় আসক্ত হতে শুরু করছে। সুতরাং স্কুল থেকেই আমদের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে ৷ বিষয়টি যদি পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করা যায় তাহলে তো আরও ভালো হয়। তবে সরকার থেকে একটা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একশো গজের মধ্যে সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটা একটা ভালো পদক্ষেপ।"
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রয়াস ! জেনে নিন বিশেষ দিনটির গুরুত্ব
বর্ধমান কৃষ্ণপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনার বলেন, "আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখেছি অনেক ছাত্রই অল্প বয়স থেকেই ধূমপানে আসক্ত। এমনকী ষষ্ঠ সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির ছাত্ররাও এই ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের আমরা সচেতন করার পাশাপাশি কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও করে থাকি। তামাক সেবন করলে কোন ধরনের রোগ হয় সেই সব ছবি বইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা উচিত। মূলত ষষ্ঠ, সপ্তম কিংবা অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসে যুক্ত করলেই উপকার হবে।"