বর্ধমান, 14 জুন : 14 দিনের লড়াইয়ের পর মৃত্যু কাছে হেরে গেল কালনার সিরিয়াল কিলারের হামলায় আহত কিশোরী । গতকাল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় । মৃতের পরিবার অভিযোগ তোলে চিকিৎসায় গাফিলতিতে তাদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে ।
এই সংক্রান্ত খবর : খুনের পর ধর্ষণের চেষ্টা করত কালনার সিরিয়াল কিলার
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ খারিজ করেছে । ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, "মৃতের পরিবারের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল না । হাসপাতালের তরফে যতটা চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব সেটাই দেওয়া হয়েছে । কিশোরীর শারীরিক অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না । আমরা ভালো পরিষেবা দিয়েছি বলে তাকে এতদিন চিকিৎসা করতে পেরেছি ।"
এই সংক্রান্ত খবর : খুন করে ছ'মিনিটের মধ্যেই পগার পার হত সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামান !
৩০ মে ক্লাস টেনের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয় । কালনার সিঙ্গেরকোণ এলাকার এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় । সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামান গ্রেপ্তার হওয়ার পরই জানা যায়, সেই ওই কিশোরীকে খুনের চেষ্টা করে । কিশোরীকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখান থেকে তার অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । এরপর থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা চলতে থাকে তার । 14 দিনের লড়াইয়ের পর গতকাল মৃত্যুর কাছে সে হার মানে ।
এই সংক্রান্ত খবর : বয়ানে অসংগতি, আটক 'সিরিয়াল কিলার' কামরুজ্জামানের বিবি
কিশোরীর মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করে, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে । চিকিৎসকরা ঠিকমতো পরিষেবা দেননি । সিটি স্ক্যান, MRI-ও করা হয়নি ।
হাসপাতালে ডেপুটি সুপার অবশ্য অভিযোগ মানতে চাইলেন না । বলেন, "আমি নিজে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা করেছি । এতটাই খারাপ ছিল যে উপর থেকে নিচে নামিয়ে নিয়ে সিটি স্ক্যান, MRI করা সম্ভব হয়নি । ওই কিশোরীর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল ।
গতকাল ওই কিশোরীর মৃত্যু পর সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামানের হামলায় মৃতের সংখ্যা হল 7 । 2 জুন ধরা পড়েছে সে । এই মুহূর্তে জেলে রয়েছে । তার কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে মৃতদের পরিবার ।