কালনা, 1 জুলাই: "সংকটের সময় সেনাই কাজে আসে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাবাহিনীকে গালাগাল করছে ৷ তাই তার ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত।" পূর্ব বর্ধমানের কালনার বৈদ্যপুরে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে এসে এই কথা বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার কালনার বৈদ্যপুরে বিজেপির পথসভা ও মিছিলে যোগ দেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের বলেন, "মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে সেই তথ্য উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেইজন্য উলুবেড়িয়াতে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। জোর করে মনোনয়ন তোলা করাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা বিডিও, পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীদের কাজে লাগাচ্ছে। আসলে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস যে হারতে চলেছে সেটা তারা বুঝতে পেরে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ নিজেরাই এবার পথে নেমেছেন। তারাই লড়াই করছেন। প্রস্তুতি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর জন্য। বিডিও, ওসি সবাই শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। আমরা সতর্ক আছি। এখন ডবল ডবল ব্যালট পেপার ছাপা হচ্ছে। ওগুলো বাক্সে ঢোকানো হবে। কিন্তু অত সহজে আমরা সেটা করতে দেব না।"
মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিভ্রাট প্রসঙ্গে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উঠতে-বসতে সেনাবাহিনীকে গালাগাল করে ৷ যখন তার হেলিকপ্টার বিপদে পড়ল তখন তিনি সেনার হেলিপ্যাডেই নেমেছেন। সংকটের সময় সেনাই কাজে আসে। তাই তার ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত।" সায়নী ঘোষকে সিবিআই তলব প্রসঙ্গে বলেন, "সিবিআই বারবার ডাকলেও যারা যাচ্ছেন না-তাদের কপালে 'কেষ্ট'র মতো অবস্থা হবে।" রাজ্যপালের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, "যে কাজ মুখ্যমন্ত্রী কিংবা সরকারের করা উচিত ছিল, সাধারণ মানুষকে সাহস দেওয়া উচিত ছিল সেই কাজ তারা করেনি।" তিনি আরও বলেন, "আজ কোথাও গণ্ডগোল হলে রাজ্যপাল সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন। মানুষকে সাহস দিয়ে শান্তির পরিবেশে ভোট করার আর্জি জানাচ্ছেন। এই রকম রাজ্যপাল কেউ কোনওদিন দেখেছে নাকি। সংকটের সময় সেনারাই কাজে আসে তাই ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত ৷"
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার ভাইপোর লোক, অভিযোগ সুকান্ত'র