আউশগ্রাম, 13 জুন: তির-ধনুক, টাঙি হাতে নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম 1 ব্লকের ঘটনা। সিপিএমের দাবি তৃণমূল ও প্রশাসনকে চাপে রাখতেই আদিবাসীরা নিজেদের অস্ত্র নিয়ে পথে নেমেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, সিপিএম আগের মতোই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে ৷
আউশগ্রাম 1 ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। এদিন তারা তির-ধনুক, টাঙি হাতে নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য যান। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেইজন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। অস্ত্র হাতে মনোনয়ন জমা কেন, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, সিপিএমের সন্ত্রাস আজও মানুষ মনে রেখেছে। এত বছর পরেও তারা যে বদলায়নি সেটা এদিন ফের প্রমাণিত হয়েছে ৷
অন্যদিকে সিপিএমের দাবি, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করতে চাইছে। তাই তাঁদের চাপে রাখতে এই ধরণের প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া এই অস্ত্র আদিবাসীদের জীবন জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিপিএমের গুসকরা এরিয়া কমিটির সদস্য সুব্রত মজুমদার বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে আউশগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের যে সাতটা পঞ্চায়েত আছে সেই পঞ্চায়েত গুলিতে যাঁরা তৃণমূলের মতো চোরেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি। তির ধনুক তো নিয়ে আসতেই হবে। কারণ প্রতিরোধ ছাড়া এই তৃণমূলকে হটানো যাবে না।তৃণমূল পুলিশ প্রশাসনকে হাতে নিয়ে কাজ করছে। তাই প্রশাসনকে চাপে রাখতে গেলে প্রতিরোধ করার জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হয়েছে।"
আরও পড়ুন: অভিষেকের নির্দেশের পরও বিক্ষুব্ধদের মনোনয়ন জমা, উত্তর 24 পরগনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল
আউশগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অরূপ সরকার বলেন, "সিপিএমের সন্ত্রাস আগেও মানুষ দেখেছে। তাঁরা যে বদলায়নি ফের আউশগ্রামের সাধারণ মানুষ সেটা দেখেছে ৷ ফের সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সেই প্রলোভনে পা দেয়নি। আমাদের দলের নির্দেশ আছে যাতে বিরোধীরা নির্বিঘ্নে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। এমনকী, তাঁদের কোনও প্ররোচনায় যাতে আমাদের কর্মীরা পা না দেন সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।"