বর্ধমান, ২৯ অক্টোবর : বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ৷সে কারণে বর্ধমান শহরের 27 নম্বর ওয়ার্ডের একাংশকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন। ওই ওয়ার্ডের শ্যামলাল এলাকার বেশকিছু অংশে সাতদিন ধরে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের নেতৃত্বে বর্ধমান পৌরসভা, বর্ধমান থানার পুলিশ-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ওই এলাকা পরিদর্শনে যান ৷
বর্ধমান শহরে ক্রমে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত বর্ধমান শহরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ জন। এর মধ্যে ২৭ নং ওয়ার্ডের শ্যামলাল এলাকায় ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই ওই এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান বর্ধমান সদরের (উত্তর) মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, পুরসভার উপ-প্রশাসক আইনুল হক, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ওই এলাকায় যাতে কোন ভিড় না হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরের কেউ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। সাতদিন ধরে এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। থাকবে পুলিশি নজরদারি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় আশা কর্মীদের দিয়ে সার্ভে করা হচ্ছে। তারা খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন এলাকার মানুষের করোনা টিকাকরণ কী অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন : Fund Allotment for Schools : ফের পঠন-পাঠন শুরুর আগে স্কুল সংস্কারে অর্থিক অনুদান রাজ্যের
এলাকার প্রতিটি মানুষ যাতে ভ্যাকসিন পান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরও আরটিপিসিআর টেস্ট বাড়ানোর জন্য। বর্ধমান পৌরসভা এবং দমকলের তরফ থেকে এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। এবিষয়ে বর্ধমান সদরের (উত্তর) মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, "গত কয়েক দিনে আরটিপিসিআর রিপোর্টে অনেকের কোভিড ধরা পড়েছে। এই কারণে শ্যামলাল এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে অনেক বাইরের লোকজন আসে।"