ETV Bharat / state

Burdwan Medical College : ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্তের বুকে পেসমেকার বসালেন চিকিৎসকরা - করোনা আক্রান্তকে পেসামেকার বসিয়ে প্রাণ ফেরালেন চিকিৎসকরা

করোনায় আক্রান্ত মহিলাকর বুকে পেসমেকার বসিয়ে জীবন বাঁচালেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা (Burdwan Medical College) ৷ ঘটনায় খুশি রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা।

করোনা আক্রান্তকে পেসামেকার বসিয়ে প্রাণ ফেরালেন চিকিৎসকরা
করোনা আক্রান্তকে পেসামেকার বসিয়ে প্রাণ ফেরালেন চিকিৎসকরা
author img

By

Published : Jan 21, 2022, 9:24 AM IST

বর্ধমান, 21 জানুয়ারি: করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College)। চিকিৎসা চলাকালীন ওই মহিলার হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়ে । এরপর তড়িঘড়ি মেডিক্যাল টিম গঠন করে মহিলার বুকে পেসমেকার বসানোর ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । প্রাণে বাঁচেন মহিলা ৷ চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি হাসপাতাল সুপার থেকে রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা।

জামুড়িয়ার বাসিন্দা আশু বিবি নামে এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি হন। কিন্তু, সেখানে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি ঘনঘন অজ্ঞান হয়ে যেতে থাকেন । চিকিৎসকরা চিকিৎসা করতে গিয়ে বুঝতে পারেন ওই মহিলার হার্টের কোনও সমস্যা রয়েছে । কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পান ওই মহিলার একটা হার্টে ব্লকেজ রয়েছে । তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের উইং অন্য হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মহিলাকে সেখানে ভর্তি করে । অপারেশন থিয়েটার স্যানিটাইজ করে করোনা আক্রান্ত ওই মহিলার বুকে পেসমেকার বসানো হয় । তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন ।

আরও পড়ুন: দলীয় কর্মীদের থেকে হুমকি পেয়ে পুলিশ নিয়ে অফিসে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

এই বিষয়ে আশু বিবির জামাই রাজু আনসারি বলেন, "আমরা কেউ হাসপাতালে ছিলাম না । হাসপাতালের চিকিৎসকরা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে তুলেছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ । বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ বলেন, "আমাদের এখানে কোভিড ওয়ার্ডে কাল আশু বিবি নামে এক মহিলা ভর্তি হন । তাঁর আরটিপিসিআর টেস্ট পজিটিভ হয় । কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর মাঝেমধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন । কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তাঁর হার্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে । পালস রেট একদম কমে যাওয়ায় তিনি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন । সঙ্গে সঙ্গে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কিন্তু তিনি যেহেতু করোনা আক্রান্ত তাই কীভাবে সেটা করা যাবে সেই চিন্তাভাবনা শুরু হয় । এরপর অন্য একটি হাসপাতালে সুপার, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করে সেই হাসপাতালে পাঠানো হয় রোগীকে । সেখানে পেসমেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয় । এই পরিস্থিতিতে মহিলার জীবনহানি হতে পারত । সেখানে চিকিৎসকরা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে মহিলার জীবন বাঁচিয়েছেন তা তারিফযোগ্য ।"

বর্ধমান, 21 জানুয়ারি: করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College)। চিকিৎসা চলাকালীন ওই মহিলার হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়ে । এরপর তড়িঘড়ি মেডিক্যাল টিম গঠন করে মহিলার বুকে পেসমেকার বসানোর ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । প্রাণে বাঁচেন মহিলা ৷ চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি হাসপাতাল সুপার থেকে রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা।

জামুড়িয়ার বাসিন্দা আশু বিবি নামে এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি হন। কিন্তু, সেখানে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি ঘনঘন অজ্ঞান হয়ে যেতে থাকেন । চিকিৎসকরা চিকিৎসা করতে গিয়ে বুঝতে পারেন ওই মহিলার হার্টের কোনও সমস্যা রয়েছে । কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পান ওই মহিলার একটা হার্টে ব্লকেজ রয়েছে । তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের উইং অন্য হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মহিলাকে সেখানে ভর্তি করে । অপারেশন থিয়েটার স্যানিটাইজ করে করোনা আক্রান্ত ওই মহিলার বুকে পেসমেকার বসানো হয় । তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন ।

আরও পড়ুন: দলীয় কর্মীদের থেকে হুমকি পেয়ে পুলিশ নিয়ে অফিসে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

এই বিষয়ে আশু বিবির জামাই রাজু আনসারি বলেন, "আমরা কেউ হাসপাতালে ছিলাম না । হাসপাতালের চিকিৎসকরা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে তুলেছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ । বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ বলেন, "আমাদের এখানে কোভিড ওয়ার্ডে কাল আশু বিবি নামে এক মহিলা ভর্তি হন । তাঁর আরটিপিসিআর টেস্ট পজিটিভ হয় । কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর মাঝেমধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন । কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তাঁর হার্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে । পালস রেট একদম কমে যাওয়ায় তিনি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন । সঙ্গে সঙ্গে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কিন্তু তিনি যেহেতু করোনা আক্রান্ত তাই কীভাবে সেটা করা যাবে সেই চিন্তাভাবনা শুরু হয় । এরপর অন্য একটি হাসপাতালে সুপার, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করে সেই হাসপাতালে পাঠানো হয় রোগীকে । সেখানে পেসমেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয় । এই পরিস্থিতিতে মহিলার জীবনহানি হতে পারত । সেখানে চিকিৎসকরা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে মহিলার জীবন বাঁচিয়েছেন তা তারিফযোগ্য ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.