বর্ধমান , 2 এপ্রিল : চলছে বাসন্তী পুজো । আজ মহানবমী। মন্দিরের বাইরে পোস্টার ঝোলানো হয়েছে কেউ পুজো দেবেন না, প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে না । মন্দির তালাবন্ধ। ভিতরে তিনজন পুরোহিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজোর আসনে বসেছেন । চিত্রটা বর্ধমান শহরের ঢলদিঘি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন বিশ্বাস পরিবারের বাসন্তী পুজোর ।
শুধু বিশ্বাস পরিবারের নয় বর্ধমান শহরে কালীবাজারে অন্নপূর্ণা পুজোতেও একই চিত্র । মন্দির শুনশান বাইরে থেকে তালা ঝুলছে । বীরহাটা কালীবাড়িতে বাসন্তী পুজোর জন্য সময়সূচি ব্যানারে টাঙানো হয়েছে । কিন্তু ওই পর্যন্তই । মন্দির ফাঁকা । বাইরে থেকে তালা ঝুলছে ।
বিশ্বাস পরিবারের বাসন্তী পুজো 85 বছরের পুরোনো । সারাবছর পরিবারের লোকজন এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন । কিন্তু কোরোনা সংক্রমণ রুখতে সরকারি নির্দেশিকা মেনে এবার পুজোয় কোনও আড়ম্বর করা হয়নি । মন্দিরের বাইরে পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে পুজো গ্রহণ ও প্রসাদ বিতরণ এবার বন্ধ থাকবে । তাই মন্দিরের সামনে অযথা ভিড় না বাড়িয়ে নির্বিঘ্নে তা করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেও অনুরোধ করা হয়েছে । মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল বাড়ির মহিলারাও এবার পুজোয় অংশ নেননি ।
বীরহাটা কালিবাড়ির দুর্গামন্দিরের সামনে বড় ব্যানারে টাঙানো আছে বাসন্তী দুর্গামাতার পুজোর সময় ও নির্ঘণ্ট । প্রতি বছর এই মন্দিরে পুজোর সময় তিল ধারণের জায়গা থাকে না । এ বছর মন্দিরের গেট বন্ধ । মন্দির শুনশান ।
কালীবাজারের অন্নপূর্ণা পুজোতেও একই দৃশ্য । মহাদেব ও অন্নপূর্ণার মূর্তি পুজো হয়েছে শুধুমাত্র নিয়ম মেনে । ভিতরে ঢাকা দিয়ে রাখা পুজোর উপাচার । বাইরে ঝুলছে তালা ।
বিশ্বাস বাড়ির কর্তা দেবাশিস বিশ্বাস বলেন , " সরকারি নিয়ম মেনেই এবার পুজোয় কোনও আড়ম্বর করা হয়নি । অথচ সারা বছর আমাদের পরিবারের সকলেই এই পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকি । এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চারদিন ধরে পুরোহিতেরা পুজো করছেন । তবে পুজো গ্রহণ ও প্রসাদ বিতরণ এবার বন্ধ রাখা হয়েছে ।"