বর্ধমান, 25 মার্চ : ডেপুটেশন দেওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও এবিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া ও সময়মতো ফল প্রকাশের দাবিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। সৌমী ঘোষ নামে এক পড়ুয়া বলেন, "B.A, B.C.A, বায়োটেকনোলজিসহ বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সে পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৯ দিন আগে আমাদের রুটিন দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যেদিন ফর্ম ফিলাপ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তার পরের দু'দিন দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল। ফলে দূর থেকে যারা ফর্ম ফিলাপ করতে আসবে তারা কোনও কারণে পৌঁছাতে না পারলে তাদের একবছর নষ্ট হবে। আবার ফর্ম ফিলাপ করার পরে অ্যাডমিট কার্ড আসতে সময় লেগে যাবে ২৯ কিংবা ৩০ মার্চ। ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু। ফলে কোনও কারণে অ্যাডমিট কার্ডে ভুলত্রুটি থাকলে পরীক্ষায় বসার জন্য আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে তৃতীয় বর্ষের প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা ১৫ দিনের জন্য পিছিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও ফর্ম ফিলাপ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে হবে, ভুল ত্রুটিহীন অ্যাডমিট কার্ড ও ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। আজ আমরা পরীক্ষা পিছোনোর দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলাম সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও বহিরাগত ছাত্রছাত্রীরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। মারধর করে গলা ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাফাজ্জল হোসেন বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছিল। আজ ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে তাদের উপরে হামলার ব্যাপারে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।"