ETV Bharat / state

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার সময় পড়ুয়াদের উপর হামলা - university

তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা ডেপুটেশন জমা দিতে এলে তাঁদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও বহিরাগত ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে।

তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা
author img

By

Published : Mar 25, 2019, 7:51 PM IST

Updated : Mar 25, 2019, 8:24 PM IST

বর্ধমান, 25 মার্চ : ডেপুটেশন দেওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও এবিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া ও সময়মতো ফল প্রকাশের দাবিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। সৌমী ঘোষ নামে এক পড়ুয়া বলেন, "B.A, B.C.A, বায়োটেকনোলজিসহ বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সে পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৯ দিন আগে আমাদের রুটিন দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যেদিন ফর্ম ফিলাপ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তার পরের দু'দিন দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল। ফলে দূর থেকে যারা ফর্ম ফিলাপ করতে আসবে তারা কোনও কারণে পৌঁছাতে না পারলে তাদের একবছর নষ্ট হবে। আবার ফর্ম ফিলাপ করার পরে অ্যাডমিট কার্ড আসতে সময় লেগে যাবে ২৯ কিংবা ৩০ মার্চ। ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু। ফলে কোনও কারণে অ্যাডমিট কার্ডে ভুলত্রুটি থাকলে পরীক্ষায় বসার জন্য আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে তৃতীয় বর্ষের প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা ১৫ দিনের জন্য পিছিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও ফর্ম ফিলাপ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে হবে, ভুল ত্রুটিহীন অ্যাডমিট কার্ড ও ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। আজ আমরা পরীক্ষা পিছোনোর দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলাম সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও বহিরাগত ছাত্রছাত্রীরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। মারধর করে গলা ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাফাজ্জল হোসেন বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছিল। আজ ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে তাদের উপরে হামলার ব্যাপারে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।"

বর্ধমান, 25 মার্চ : ডেপুটেশন দেওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও এবিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া ও সময়মতো ফল প্রকাশের দাবিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। সৌমী ঘোষ নামে এক পড়ুয়া বলেন, "B.A, B.C.A, বায়োটেকনোলজিসহ বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সে পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৯ দিন আগে আমাদের রুটিন দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যেদিন ফর্ম ফিলাপ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তার পরের দু'দিন দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল। ফলে দূর থেকে যারা ফর্ম ফিলাপ করতে আসবে তারা কোনও কারণে পৌঁছাতে না পারলে তাদের একবছর নষ্ট হবে। আবার ফর্ম ফিলাপ করার পরে অ্যাডমিট কার্ড আসতে সময় লেগে যাবে ২৯ কিংবা ৩০ মার্চ। ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু। ফলে কোনও কারণে অ্যাডমিট কার্ডে ভুলত্রুটি থাকলে পরীক্ষায় বসার জন্য আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে তৃতীয় বর্ষের প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা ১৫ দিনের জন্য পিছিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও ফর্ম ফিলাপ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে হবে, ভুল ত্রুটিহীন অ্যাডমিট কার্ড ও ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। আজ আমরা পরীক্ষা পিছোনোর দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলাম সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও বহিরাগত ছাত্রছাত্রীরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। মারধর করে গলা ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাফাজ্জল হোসেন বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছিল। আজ ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে তাদের উপরে হামলার ব্যাপারে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।"

Intro:সন্তোষ দাস, পূর্ব বর্ধমান
- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্ধোপ্যাধায়ের নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের সাথে প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও স্কুল পোশাক এবং জুতো দেবার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই সুয়োগ সুবিধা কোনটাই জুটছে না খোদ বর্ধমান শহরের নামী স্কুল সিএমএসের প্রাথমিক বিভাগের ছাত্রদের। আর এই ঘটনায় অভিভাবকেরা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলছেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই। এমনকি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। এই ঘটনার সম্পূর্নভাবে তদন্ত হোক চাইছে অভিভাবকই সহ খোদ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও, তদন্ত চেয়ে তারা আবেদন জানিয়েছেন সরকারী সমস্ত দপ্তরে। আর এই ঘটনার জেরেই রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে শহরজুরে। যদিও সমস্ত অভিযোগকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন প্রধান শিক্ষক সুভাষ চৌধুরী। Body:জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছেন। এব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারী নির্দেশ সকলকেই মেনে চলতে হবে। বর্ধমান শহরের বিসিরোডের খ্যাতনামা স্কুল সিএমএস। আর সেই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগকে নিয়ে গত ২০১৬ সাল থেকেই শুরু হয়েছে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে বর্তমান প্রধান শিক্ষক সুভাষ চৌধুরীর বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু তারপর সুভাষবাবু দায়িত্ব নেবার পর থেকেই কার্যত স্বেচ্ছাচার চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলে - এমনটাই অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। Conclusion:স্কুলের অভিভাবক দীপক কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দাবী, আগের প্রধান শিক্ষক চলে যাবার সময় সুভাষবাবুকে ৩৭ হাজার টাকা সহ স্কুলের ফাণ্ডের যাবতীয় হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে যান। সুভাষবাবু তা লিখিতভাবে গ্রহণও করেন। কিন্তু তারপর আর ওই টাকার কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। এমনকি রাজ্য সরকার স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য, খাতা, ব্যাগ, পোশাক, জুতো প্রভৃতি একাধিক সুবিধা দিচ্ছে - যা অন্য স্কুলগুলিতে ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারী সেই টাকা এই স্কুলে এলেও অজ্ঞাত কারণে তা ছাত্রদের মধ্যে বণ্টন করা হয়নি বিগত কয়েকবছর ধরেই।
Last Updated : Mar 25, 2019, 8:24 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.