বর্ধমান, 23 আগস্ট : যাদবপুরকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে বুধবার অ্যান্টি র্যাগিং অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের আয়োজন করেছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি এদিন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে যোগ দেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সুজিত চৌধুরী-সহ অন্যান্যরা ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে 15-16 জন ছাত্রর ব্যবহার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিরক্ত । তাদের আচার-আচরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে । পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি র্যাগিং কিংবা ওই জাতীয় কিনা তা নিয়ে পুলিশ কিছু বলতে চায়নি । এদিন মঞ্চ থেকে পুলিশ সুপার স্পষ্ট ভাবে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা কেরিয়ার করতে এসেছে । সেটা মনে রাখা দরকার । ভালো করে পড়াশোনা কর, আনন্দ কর ৷ কিন্তু কোনওভাবেই যেন অ্যাডভেঞ্চার করার চেষ্টা করবে না । কলেজ গুলিতে ডিসিপ্লিনারি কমিটি গড়তে আবেদন করা হয়েছে । র্যাগিং বা এই ধরনের কাজকর্ম থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে ।"
জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন আরও জানান, কোনও ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে একবার যদি কেস কিংবা এফ আই আর হয়ে যায় আইন থেকে রক্ষা পাওয়া কিন্তু খুব কঠিন । তাই ছাত্রছাত্রীদেরও বিষয়টি গভীরভাবে ভাবা দরকার । তিনি কখনই চান না কারও বিরুদ্ধে এই ধরনের কেস কিংবা চার্জশিট হোক । একজনের কেরিয়ার শেষ হয়ে যাক সেটা কখনোই কাম্য নয় । তাই কোনও ছাত্র-ছাত্রীই যেন কোনওভাবেই এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকে । পাশাপাশি নিজের ছাত্র জীবনের কথাও তুলে ধরেন ৷ তিনিও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিলেন । তাই কলেজ গুলোতে কী ঘটে সেটা তিনি ভালোভাবেই জানি । তাই যদি কোন অভিযোগ আসে তবে আইনত পুলিশ ব্যবস্থা নেবে ।
আরও পড়ুন: র্যাগিং ঠেকাতে স্কুলে শুরু পাঠ, নাটকের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা
সরকারের তরফে অ্যান্টি র্যাগিং নম্বর দেওয়া হয়েছে সেখানে কোন অভিযোগ এলে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে । এছাড়া রেজিস্টারকে বলা হয়েছে কলেজগুলিতে প্রচার চালাতে যাতে কোনভাবেই কোন ছাত্রছাত্রী র্যাগিং এর সাথে যুক্ত হতে না পারে।