কেতুগ্রাম, 31 জুলাই: বাড়িতে মামা না থাকার সুযোগ নিয়ে মামীকে ধর্ষণের চেষ্টা ভাগনার। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে নালিশ করতে গেলে মামিকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়ার অভিযোগ ভাগনার বিরুদ্ধে ৷ অ্যাসিডের আক্রমণে নির্যাতিতা মামীর হাত ও গা পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ। লজ্জাজনক ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ৷ থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই অভিযুক্ত ও তাঁর বাবা-মাকেও আটক করেছে পুলিশ ৷
আক্রান্ত মহিলা অভিযোগ করে বলেন, "শনিবার আমার স্বামী বাড়ি ছিলেন না। মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরতে রাত হয়েছিল। সেই সময় ভাগনা ঘরে এসে একা থাকার সুযোগ নিয়ে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্তেটা করে। আমি বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি হয়। আমার মুখে গায়ে চোট লাগে। আমার হাতের শাঁখা ভেঙে যায়। কোনও রকমে ছিটকে পালাই। পরে আমার স্বামী বাড়ি ফিরলে ঘটনার কথা বলি। পরের দিন তাঁদের বাড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে আমাদের মারধর করা হয়। আমার গায়ে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়। উলটে আমার ননদ বলে, আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে। কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছি।"
আক্রান্তের স্বামী বলেন, "শনিবার বিকালে মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম তাঁকে নিয়ে আসার জন্য। বাড়িতে স্ত্রী একাই ছিলেন। সেদিন সন্ধে নাগাদ আমার ভাগনা আমাদের বাড়িতে আসে। আমার স্ত্রী-কে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে সে। আমার স্ত্রী বাধা দেন। স্ত্রী তাকে ধাক্কা দিয়ে কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচে। রাতে বাড়ি ফিরে সব কথা শুনি। পরের দিন ভাগনাকে গিয়ে বলি, সে কী ধরনের অন্যায় কাজ করেছে। দিদি জামাইবাবুকেও ঘটনার কথা বলি। দিদিরা তখন আমার স্ত্রীকে দোষারোপ করতে থাকেন। উলটে বলতে থাকেন, আমার স্ত্রীকে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার জন্য। এরপরেই ভাগনা অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। এমনকী, সকলে মিলে আমাদের মারধর করেছে। আমার স্ত্রীর হাত গা পুড়ে যায়। থানায় অভিযোগ করেছি।"
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার কেতুগ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী একাই ছিলেন। অভিযোগ, সেদিন সন্ধে নাগাদ অভিযুক্ত তাঁদের বাড়িতে আসে। মামীকে কুপ্রস্তাব দেয় সে ৷ মামী রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু করে। ঘটনায়, নির্যাতিতার কপালে, হাতে চোট লাগে। তিনি সেখান থেকে কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন।
আরও পড়ুন: তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশীকে 7 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল ঝাড়গ্রাম আদালত
এরপর রাতে তাঁর স্বামী বাড়ি ফিরলে, নির্যাতিতা স্ত্রী সমস্ত ঘটনার কথা বলেন। এরপরেই ভাগনার কুকর্মের অভিযোগ জানাতে বাড়িতে যান নির্যাতিতার স্বামী, তাঁদের মেয়ে ও নির্যাতিতা নিজে ৷ সেখানে গিয়ে গোপালের মা-বাবার কাছে অভিযোগ জানালে তাঁরা তা মানতে অস্বীকার করেন ৷ এরপরেই অভিযুক্ত তাঁর মামীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়ে বলে অভিযোগ ৷ মামাকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।