ETV Bharat / state

মেলেনি স্বাস্থ্যসাথির কার্ড, "দিদিকে বলো"-য় ফোন করায় সাড়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

গোড়ালির ওপর থেকে বেঁকে গেছে পা । হাঁটতে গেলে এখন ভরসা একজোড়া ক্রাচ । পাঁচ বছর আগেও ছবিটা ছিল অন্যকরম । স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে আর পাঁচজন সুস্থ মানুষের মতোই জীবন কাটাতেন ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা অম্বদীশ চট্টোপাধ্যায় । এখন রোজগারের পথ বলতে গৃহশিক্ষকতা ও যজমানি । তাও যা আয়, তাতে তিনজনের সংসার চালিয়ে নিজের পায়ের চিকিৎসা করানো প্রায় অসম্ভব । এই অবস্থায় সরকারের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়কের কাছে । মেলেনি সাড়া । অগত্যা 'দিদিকে বলো'-র ফোন নম্বরে ফোন করেন তিনি । কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে । মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কলকাতায় এসে দেখা করতে বলেন । আর তা করতেই তিনি ভাঙা পায়ে সাইকেল চালিয়ে রওনা দিলেন 'দিদি'-র উদ্দেশ্যে ।

didi k bolo
author img

By

Published : Aug 20, 2019, 7:14 PM IST

Updated : Aug 20, 2019, 9:37 PM IST

বর্ধমান, 20 অগাস্ট : গোড়ালির ওপর থেকে বেঁকে গেছে পা । হাঁটতে গেলে এখন ভরসা একজোড়া ক্রাচ । পাঁচ বছর আগেও ছবিটা ছিল অন্যকরম । স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে আর পাঁচজন সুস্থ মানুষের মতোই জীবন কাটাতেন ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা অম্বদীশ চট্টোপাধ্যায় । এখন রোজগারের পথ বলতে গৃহশিক্ষকতা ও যজমানি । তাও যা আয়, তাতে তিনজনের সংসার চালিয়ে নিজের পায়ের চিকিৎসা করানো প্রায় অসম্ভব । এই অবস্থায় সরকারের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথির কার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়কের কাছে । মেলেনি সাড়া । অগত্যা 'দিদিকে বলো'-র ফোন নম্বরে ফোন করেন তিনি । কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে । মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কলকাতায় এসে দেখা করতে বলেন । আর তা করতেই তিনি ভাঙা পায়ে সাইকেল চালিয়ে রওনা দিলেন 'দিদি'-র উদ্দেশে ।

2014 সালে সাইকেলে করে যাওয়ার সময় অন্ধকারে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায় অম্বদীশ চ্যাটার্জির । গৃহশিক্ষকতা ও যজমানি করে যা আয়, তা দিয়ে পায়ের চিকিৎসা করানো অসম্ভব । চিকিৎসার অভাবে ভাঙা পা ক্রমশ বেঁকে যেতে শুরু করে । চিকিৎসার জন্য তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বিধায়ক, প্রায় সকলের কাছেই স্বাস্থ্যসাথি কার্ডের জন্য আবেদন করেন । কিন্তু প্রতিবারই ফিরে আসেন নিরাশ হয়ে । কেউই সাহায্য করেনি ।

শুনুন বক্তব্য

এরপরই তিনি জানতে পারেন রাজ্য সরকারের 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি সম্পর্কে । ওই নম্বরে ফোন করেন তিনি । কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে । অম্বদীশ চ্যাটার্জির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কলকাতায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন । আর তাই তিনি ভাঙা পা নিয়েই সাইকেল চালিয়ে রওনা দেন নবান্নের উদ্দেশে । কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের উত্তরে অম্বদীশ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে সমস্ত ঘটনা বলব । উনি যদি সবটা শুনে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করেন ভালো, না হলে আমি যাতে আত্মহত্যা করতে পারি সেই অনুমতি যেন মুখ্যমন্ত্রী দেন ।"

বর্ধমান, 20 অগাস্ট : গোড়ালির ওপর থেকে বেঁকে গেছে পা । হাঁটতে গেলে এখন ভরসা একজোড়া ক্রাচ । পাঁচ বছর আগেও ছবিটা ছিল অন্যকরম । স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে আর পাঁচজন সুস্থ মানুষের মতোই জীবন কাটাতেন ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা অম্বদীশ চট্টোপাধ্যায় । এখন রোজগারের পথ বলতে গৃহশিক্ষকতা ও যজমানি । তাও যা আয়, তাতে তিনজনের সংসার চালিয়ে নিজের পায়ের চিকিৎসা করানো প্রায় অসম্ভব । এই অবস্থায় সরকারের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথির কার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়কের কাছে । মেলেনি সাড়া । অগত্যা 'দিদিকে বলো'-র ফোন নম্বরে ফোন করেন তিনি । কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে । মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কলকাতায় এসে দেখা করতে বলেন । আর তা করতেই তিনি ভাঙা পায়ে সাইকেল চালিয়ে রওনা দিলেন 'দিদি'-র উদ্দেশে ।

2014 সালে সাইকেলে করে যাওয়ার সময় অন্ধকারে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায় অম্বদীশ চ্যাটার্জির । গৃহশিক্ষকতা ও যজমানি করে যা আয়, তা দিয়ে পায়ের চিকিৎসা করানো অসম্ভব । চিকিৎসার অভাবে ভাঙা পা ক্রমশ বেঁকে যেতে শুরু করে । চিকিৎসার জন্য তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বিধায়ক, প্রায় সকলের কাছেই স্বাস্থ্যসাথি কার্ডের জন্য আবেদন করেন । কিন্তু প্রতিবারই ফিরে আসেন নিরাশ হয়ে । কেউই সাহায্য করেনি ।

শুনুন বক্তব্য

এরপরই তিনি জানতে পারেন রাজ্য সরকারের 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি সম্পর্কে । ওই নম্বরে ফোন করেন তিনি । কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে । অম্বদীশ চ্যাটার্জির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কলকাতায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন । আর তাই তিনি ভাঙা পা নিয়েই সাইকেল চালিয়ে রওনা দেন নবান্নের উদ্দেশে । কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের উত্তরে অম্বদীশ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে সমস্ত ঘটনা বলব । উনি যদি সবটা শুনে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করেন ভালো, না হলে আমি যাতে আত্মহত্যা করতে পারি সেই অনুমতি যেন মুখ্যমন্ত্রী দেন ।"

Intro:
মেলেনি স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড, ভাঙা পায়ে সাইকেল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি

পুলক যশ, বর্ধমান


দীর্ঘদিন ধরে পা ভেঙে পড়ে আছেন পেশায় গৃহশিক্ষক এক ব্যক্তি । আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় তিনি পায়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি। ফলে তিনি সোজা হয়ে দাড়াতেও পারেন না। ক্রাচে ভর দিয়ে হাটা চলা করতে হয় ।অথচ চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে অনেক টাকা খরচ হয় ।সেই জন্য স্বাস্থ্য বীমা কার্ড এর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন। স্থানীয় বিধায়ক এর কাছেও কিন্তু কোনো সুরাহা মেলেনি। অগত্যা দিদিকে বল ফোন নাম্বারে ফোন করে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী কাকে কলকাতায় এসে দেখা করতে বলেন ।আর তাই তিনি ভাঙ্গা পায়ে ক্র্যাচ নিয়ে সাইকেলে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

অম্বদীশ চ্যাটার্জী ।বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামে । 2014 সাল নাগাদ সাইকেলে করে যাওয়ার সময় অন্ধকারে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে যায়। তিনি সামান্য টিউশনি এবং পূজাআচ্চা করেন। ফলে তার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসা করাতে পারেননি। তার পা বেঁকে যায় ।ফলে ক্রাচে ভর নিয়ে তিনি চলাচল করেন চলাফেরা করেন ।এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে বিধায়ক সকলের কাছেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য দরবার করেছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে ব্যবস্থা করে দেয় নি ।এদিকে দিদিকে বল এই ফোন নাম্বার পাওয়ার পর তিনি সরাসরি ওই নাম্বারে ফোন করেন। অম্বদীশ চ্যাটার্জির দাবি মুখ্যমন্ত্রী তাকে কলকাতায় তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তাই তিনি সাইকেল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে সমস্ত ঘটনা কথা বলব। উনি যদি সব শুনে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেন চিকিৎসার জন্য তাহলে ভালো ।না হলে তিনি যেন আত্মহত্যা করতে পারেন সে অনুমতি যেন মুখ্যমন্ত্রী দেন।


Body:মেলেনি স্বাস্থ্য সাথীর


Conclusion:কার্ড
Last Updated : Aug 20, 2019, 9:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.