বীরসিংহ, 8 অগস্ট: নিজেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বংশধর পরিচয় দিয়ে ফাঁপরে এক ব্যক্তি ৷ ঘটনাস্থল মনীষীর জন্মস্থল বীরসিংহ গ্রাম। তবে শেষরক্ষা হল না ! অবশেষে প্রকাশ্যে এল সত্যিটা ৷ ওই ব্যক্তির নাম অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শেষমেশ তিনি জানান, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই ৷ ভুল করে যা করেছেন, আগামী দিনে তা আর করবেন না ।
অভিযোগ, গত বেশ কয়েক বছর নিজেকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বংশধর বলে দাবি করে আসছেন অমিতাভ। বীরসিংহ গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া পোষ্টারে দাবি করা হয়েছে অমিতাভ, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বংশধর। বিষয়টি ধীরে ধীরে জানাজানি হয় ৷ তা নিয়েই ক্ষুব্ধ বিদ্যাসাগরের পরিবার। এবার প্রতিবাদে সরব হলেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবাররে এক সদস্য প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অমিতাভ, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বংশের কেউ নন । উনি যা দাবি করছেন তার সবটাই মিথ্যা। প্রসাদের কথায় ,"বিদ্যাসাগর প্রচার বিমুখ ছিলেন বলে আমাদের পরিবারও কখনও প্রচারে আসেনি। আজ তাঁর অনুরাগীদের সামনে এই মিথ্যাটাকে প্রকাশের জন্য এসেছি। উনি বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন! এটা লজ্জাজনক বিষয়। আমাদের অনুরোধ, এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।"
আরেক সদস্য ডঃ পরমেশ ভট্টাচার্য বলেন,"অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চার মেয়ের কোনও পরিবারের সদস্যও নন । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বংশ তালিকার কোনও অংশে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেই । তাহলে উনি কি করে বংশধর হতে পারেন? তাই আমরা সত্যিটা প্রকাশ্যে আনতে চাই। যদি পরবর্তী ক্ষেত্রে অমিতাভ, নিজেকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বংশধর হিসেবে পরিচয় দেন তাহলে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেব ৷" অন্যদিকে, অমিতাভ বন্দ্যোপধ্যায়ের দাবি তিনি বিদ্যাসাগরের মেজ মেয়ের দিক থেকে দূর সম্পর্কের আত্মীয়। 2018 সাল থেকে বিদ্যাসাগরের ভাবধারাকে প্রচার করছেন ৷ তবে এবার থেকে জানান নিজেকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের উত্তরপুরুষ বলে পরিচয় দেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপিকা সহ-3