ঘাটাল, 10 অগস্ট : প্রায় দেড় সপ্তাহ অতিক্রান্ত ৷ ঘাটালের বেশিরভাগ এলাকা এখনও জলের তলায় ৷ আজ দুপুরে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ হেলিকপ্টারে করে ঘুরে দেখলেন ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ৷
দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হাঁটু-জলে নেমে পড়েন ৷ বন্যার কোপে মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন ৷ ত্রাণ বিলি করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ঘাটাল ।
আজ দুপুর 1 টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে স্টেডিয়াম মাঠে আসেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখান থেকে তিনি গাড়িতে করে যান ময়রাকাটা আড়াগোড়া রাজ্য সড়কের কাছে ৷ দুর্গত মানুষদের ত্রাণ বিলি করেন। পাশাপাশি বন্যায় মৃত 19 জনের মধ্যে চার জনের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন ।
উল্লেখ্য ঘাটালে 17 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 11 টি ওয়ার্ড এখনও জলমগ্ন ৷ 12 টি ব্লক থেকে এখনও জল নামেনি । বহু বাড়ি জলের তলায় ৷ জলের তলায় ঘাটাল থানাও । আপাতত ঘাটাল থানা অস্থায়ীভাবে উঠে গিয়েছে ভাড়া বাড়িতে । সেখানেও যান মুখ্যমন্ত্রী ।
ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যক্ষভাবে দায়ী করলেন কেন্দ্র এবং ডিভিসিকে । তিনি বলেন, "ডিসিভি রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছেড়েছে ৷ ফলে এলাকা প্লাবিত হয়েছে । এবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কেশপুরের 14 টি অঞ্চল । জল নামছিল, কিন্তু ফের নতুন করে বৃষ্টিতে আবার জলমগ্ন কেশপুর, ঘাটাল ।"
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এর আগে ঘাটালে এসেছেন সাংসদ জেলার চার মন্ত্রী এবং পুলিশ আধিকারিকরা । এরপর আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসেন ৷ আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূঁইঞা, শিউলি সাহা, হুমায়ূন কবির । এছাড়াও ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, উত্তরা সিং হাজরা, বিধায়িকা-অভিনেত্রী জুন মাল্য ও সাংসদ-অভিনেতা দেব ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রাকৃতিক বিপর্যয়, করোনা বিপর্যয় এবং সঙ্গে এবারে বন্যা বিপর্যয় ঘাটালকে ডোবাচ্ছে ৷ এর সঙ্গে কেন্দ্রও দায়ী ৷ ইচ্ছে মতো জল ছেড়ে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে । আমরা বিভিন্ন চেক ড্যাম তৈরি করেছি ৷ নতুন, নতুন করে পরিকল্পনা তৈরি করছি ।