মেদিনীপুর,6 ই মে : একগুচ্ছ দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী অনশনে রাজ্য BJP ৷ দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে কোনও রকম দুর্নীতি ছাড়াই রেশন দেওয়া ,কোরোনা সংক্রান্ত -আক্রান্তের এবং মৃতের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা ও BJP কার্যকর্তাদের উপর মিথ্যা মামলা না করা ৷ সামাজিক দূরত্ব মেনে রাজ্যজুড়ে পালিত হল এই কর্মসূচি । গতকাল জেলার প্রতিটি সদর মহকুমা শাসক ও ব্লক অফিসের সামনে খালি থালা নিয়ে চলে এই কর্মসূচি । তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় BJP-র সাত সদস্যকে ৷ অনেক টানাপোড়েনের পর সন্ধ্যায় মুক্তি পায় ওই সাতজন ৷ এই নিয়ে ক্ষোভ BJP মহলে।
গোটা রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে প্রতীকী অনশনে ডাক দিয়েছিল রাজ্য BJP । গোটা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি পালন করল BJP নেতারা । গতকাল জেলার BDO এবং SDO অফিসের সামনে প্রতীকী থালা হাতে নিয়ে অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে জেলার BJP নেতা ও কর্মীরা। সোশাল ডিস্ট্যান্স নিয়ম মেনে প্রথমে সদর মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে পরবর্তীকালে BDO অফিসের সামনে একই অবস্থানে বসে জেলার বিজেপি নেতা কর্মীরা।এই অবস্থান থেকেই পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেন । এই নিয়ে BJP-র মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে । প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে থানায় তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। অবশেষে সন্ধ্যে সাতটা সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁদের আইনজীবীর সঠিক কাগজপত্র দেখালে তাঁদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ।
বিষয়টি নিয়ে BJP নেতা শিবু পানিগ্রাহী বলেন ,"গোটা রাজ্যে এরকম দৃষ্টান্ত হয়নি যা আজ পশ্চিম মেদিনীপুরে হল । পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে এবং সেই দলের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে তারা আমাদেরকে এই সাত ঘণ্টা আটকে রাখল কোনও কারন ছাড়াই । আমরা সমস্ত কিছু নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়েকজন এই প্রতীকী অনশন কর্মসূচি করছিলাম। সেখান থেকে পুলিশ আমাদের তুলে নিয়ে আসে এবং থানায় দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখে। গোটা রাজ্যে যেখানে কোথাও এ ধরনের BJP-র নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করিয়ে বসিয়ে রাখা হয়নি।" সেখানে কেন গ্রেপ্তার করা হল সেই নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন । একই বক্তব্য গ্রেপ্তার হওয়া মহিলা BJP কর্মী পারিজাত সেনগুপ্তের। তিনি বলেন "আমি BJP মহিলা কর্মী হয়েও আমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং দীর্ঘ সাত ঘণ্টা বসিয়ে রেখে রাজ্যের মধ্যে আমাদের জেলাকে অন্যতম দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড় করাল পুলিশ। কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটালো সেই বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু পুলিশ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। আমরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব এই পুলিশের বিরুদ্ধে।"