ETV Bharat / state

Water Problem in Ghatal: প্লাবিত ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা, খাবার জল আনতে ভরসা ডিঙি নৌকা

একটানা বৃষ্টি, সঙ্গে বাঁধের জল, সব মিলিয়ে প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সাবডিভিশন ৷ এতে পরিস্রুত জল পাচ্ছেন না বহু মানুষ ৷ নেই বিদ্যুৎ সংযোগও ৷ খাবার জল পেতে ডিঙি নৌকায় আসছেন, মহিলা, পুরুষ, সবাই ৷

ETV Bharat
ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতিতে জলের সংকট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 7, 2023, 9:37 PM IST

খাবার জল আনতে ঘাটালের ভরসা ডিঙি নৌকা

ঘাটাল, 7 অক্টোবর: পানীয় জলের প্রবল সংকট ঘাটালের বানভাসি নিচু এলাকাগুলিতে ৷ এলাকায় জল বৃদ্ধি পাওয়ায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ৷ বিস্তীর্ণ এলাকায় মিলছে না পানীয় জল ৷ তাই নৌকা বা ডিঙিতে চড়ে দূরদূরান্ত থেকে পানীয় জল নিতে আসছেন প্লাবিত এলাকার বহু মানুষ ৷ তবে এ বিষয়ে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে ৷

লাগাতার বৃষ্টিতে জল বেড়েছে রাজ্যের প্রায় সব নদীতেই ৷ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়া ৷ জোড়া ফলায় বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত ঘাটাল সাব ডিভিশন ৷ এখানে শিলাবতী নদীর জল বেড়েছে ৷ ঘাটাল ব্লকের 12টি অঞ্চলের মধ্যে ন'টি অঞ্চলের 72টি সংসদীয় এলাকা প্লাবিত ৷ ঘাটাল পৌরসভার 16টি ওয়ার্ডের মধ্যে 13টি ওয়ার্ড-সহ নতুন খড়ার পৌর এলাকাও জলের তলায় ৷

ঘাটালের বরদা থেকে খড়ার যাওয়ার রাজ্যসড়কে জল উঠেছে ৷ ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চলাচল করছে ৷ ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, দাসপুরে একাধিক এলাকায় জল আর শুধুই জল ৷ ঘাটাল পৌর এলাকা-সহ গ্রামের নিচু এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে ৷ এখনও জল বাড়ছে ৷ তাই উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন ঘাটালের বানভাসি মানুষ ৷

আরও পড়ুন: ত্রাণশিবিরে থাকায় চুরি গিয়েছিল সব, তাই জেলাশাসকের আবেদনেও এবার ঘর ছাড়তে নারাজ বানভাসিরা

প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকার বাসিন্দারা অন্য জায়গা থেকে ডিঙি বা নৌকায় করে পানীয় জল সংগ্রহ করতে আসছেন ৷ প্লাবিত এলাকাগুলিতে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ ৷ ফলে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ পৌরসভার শুকনো এলাকায় গিয়ে বালতি, কলসি, বোতল-সহ বিভিন্ন পাত্রে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে ওই বাসিন্দাদের ৷

আর জল নিতে ডিঙি পারাপার করছেন পুরুষ, মহিলা, প্রৌঢ়, প্রৌঢ়া-সহ সব বয়সের মানুষ ৷ তাঁদের মুখে একটাই কথা, "খাবার জল তো চাই ৷" গীতা সামন্ত, পদ্ম সামন্তরা বলছেন, "বন্যার জলে আমাদের এলাকা পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে ৷ বাড়িতে জলের লাইন রয়েছে, কিন্তু ইলেকট্রিক না-থাকায় আমরা জল পাচ্ছি না ৷ তাই খাবার জল নিতে বাধ্য হয়ে আমরা ডিঙি করে এখানে এসেছি ৷ আমরা চাই, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক ৷ আমাদের জন্য খাবার জলের ব্যবস্থা করুক ৷"

অন্যদিকে উত্তম সামন্ত বলেন, "এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য লাইন কেটে দিয়েছে প্রশাসন ৷ অনেকের সাবমার্সিবল রয়েছে ৷ সজল ধারা প্রকল্প রয়েছে ৷ জলের কলও আছে ৷ কিন্তু বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জল সংগ্রহ করতে পারছি না ৷" এই অবস্থায় পৌরসভা থেকে জলের গাড়ি দেয়নি বলে আক্ষেপ করেন জল নিতে আসা ব্যক্তি ৷

তবে এই বিষয়ে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর বলেন, "এখনও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে ৷ আমার এলাকায় তেমনটা করা হয়নি ৷ তবে কোথাও পানীয় জলের সমস্যা হলে পিএইচই'র তরফে জলের ব্যবস্থা করা হবে ৷ পানীয় জলের পাউচ প্যাকেট রেডি রাখা আছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ৷"

আরও পড়ুন: পুজোর মুখে টানা বৃষ্টি, বাড়তে পারে সবজির দাম; নয়া আশঙ্কায় মধ্যবিত্ত

খাবার জল আনতে ঘাটালের ভরসা ডিঙি নৌকা

ঘাটাল, 7 অক্টোবর: পানীয় জলের প্রবল সংকট ঘাটালের বানভাসি নিচু এলাকাগুলিতে ৷ এলাকায় জল বৃদ্ধি পাওয়ায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ৷ বিস্তীর্ণ এলাকায় মিলছে না পানীয় জল ৷ তাই নৌকা বা ডিঙিতে চড়ে দূরদূরান্ত থেকে পানীয় জল নিতে আসছেন প্লাবিত এলাকার বহু মানুষ ৷ তবে এ বিষয়ে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে ৷

লাগাতার বৃষ্টিতে জল বেড়েছে রাজ্যের প্রায় সব নদীতেই ৷ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়া ৷ জোড়া ফলায় বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত ঘাটাল সাব ডিভিশন ৷ এখানে শিলাবতী নদীর জল বেড়েছে ৷ ঘাটাল ব্লকের 12টি অঞ্চলের মধ্যে ন'টি অঞ্চলের 72টি সংসদীয় এলাকা প্লাবিত ৷ ঘাটাল পৌরসভার 16টি ওয়ার্ডের মধ্যে 13টি ওয়ার্ড-সহ নতুন খড়ার পৌর এলাকাও জলের তলায় ৷

ঘাটালের বরদা থেকে খড়ার যাওয়ার রাজ্যসড়কে জল উঠেছে ৷ ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চলাচল করছে ৷ ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, দাসপুরে একাধিক এলাকায় জল আর শুধুই জল ৷ ঘাটাল পৌর এলাকা-সহ গ্রামের নিচু এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে ৷ এখনও জল বাড়ছে ৷ তাই উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন ঘাটালের বানভাসি মানুষ ৷

আরও পড়ুন: ত্রাণশিবিরে থাকায় চুরি গিয়েছিল সব, তাই জেলাশাসকের আবেদনেও এবার ঘর ছাড়তে নারাজ বানভাসিরা

প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকার বাসিন্দারা অন্য জায়গা থেকে ডিঙি বা নৌকায় করে পানীয় জল সংগ্রহ করতে আসছেন ৷ প্লাবিত এলাকাগুলিতে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ ৷ ফলে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ পৌরসভার শুকনো এলাকায় গিয়ে বালতি, কলসি, বোতল-সহ বিভিন্ন পাত্রে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে ওই বাসিন্দাদের ৷

আর জল নিতে ডিঙি পারাপার করছেন পুরুষ, মহিলা, প্রৌঢ়, প্রৌঢ়া-সহ সব বয়সের মানুষ ৷ তাঁদের মুখে একটাই কথা, "খাবার জল তো চাই ৷" গীতা সামন্ত, পদ্ম সামন্তরা বলছেন, "বন্যার জলে আমাদের এলাকা পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে ৷ বাড়িতে জলের লাইন রয়েছে, কিন্তু ইলেকট্রিক না-থাকায় আমরা জল পাচ্ছি না ৷ তাই খাবার জল নিতে বাধ্য হয়ে আমরা ডিঙি করে এখানে এসেছি ৷ আমরা চাই, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক ৷ আমাদের জন্য খাবার জলের ব্যবস্থা করুক ৷"

অন্যদিকে উত্তম সামন্ত বলেন, "এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য লাইন কেটে দিয়েছে প্রশাসন ৷ অনেকের সাবমার্সিবল রয়েছে ৷ সজল ধারা প্রকল্প রয়েছে ৷ জলের কলও আছে ৷ কিন্তু বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জল সংগ্রহ করতে পারছি না ৷" এই অবস্থায় পৌরসভা থেকে জলের গাড়ি দেয়নি বলে আক্ষেপ করেন জল নিতে আসা ব্যক্তি ৷

তবে এই বিষয়ে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর বলেন, "এখনও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে ৷ আমার এলাকায় তেমনটা করা হয়নি ৷ তবে কোথাও পানীয় জলের সমস্যা হলে পিএইচই'র তরফে জলের ব্যবস্থা করা হবে ৷ পানীয় জলের পাউচ প্যাকেট রেডি রাখা আছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ৷"

আরও পড়ুন: পুজোর মুখে টানা বৃষ্টি, বাড়তে পারে সবজির দাম; নয়া আশঙ্কায় মধ্যবিত্ত

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.