ETV Bharat / state

ঐতিহ্য হারিয়ে ঘটপুজোয় দেবীবন্দনা বেলদার দেব পরিবারে - Belda

বেলদা থানার কুশমুড়ির দেব পরিবারের শতবর্ষ প্রাচীন পুজোয় এখন আর দেবী দশভূজার মূর্তিও গড়া হয় না ৷ ঘট বসিয়েই দেবী দুর্গার আরাধনা হয় ৷

বেলদা
author img

By

Published : Sep 28, 2019, 6:56 PM IST

বেলদা : নেই কামানের শব্দ , নেই হাতি-ঘোড়াও, উৎসবের দিনগুলিতে কাছারিবাড়ির প্রাঙ্গণে আর বাজে না নহবৎ ৷ তবুও দুর্গাপূজা এলে অতীতের সেই ঐতিহ্য ফিরে আসে ঢাক, কাঁসরঘণ্টা আর শঙ্খধ্বনিতে ৷ বেলদা থানার কুশমুড়ির দেব পরিবারের শতবর্ষ প্রাচীন পুজোয় এখন আর দেবী দশভূজার মূর্তিও গড়া হয় না ৷ ঘট বসিয়েই দেবী দুর্গার আরাধনা হয় ৷

জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের সাথে সাথে কাছারিবাড়ির জৌলুস কমেছে৷ ঐতিহ্য রক্ষায় অবশ্য দেবপরিবারের বর্তমান প্রজন্ম আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ৷ কাছারিবাড়ি এখন পরিণত হয়েছে পোড়ো বাড়িতে ,আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে বাড়ির অনেকটাই ৷ কিছু আগাছায় নাম না জানা কিছু ফুল ফুটে ক্ষয়িষ্ণু বাড়িটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে ৷ বাড়িতে ঢোকার মুখেই প্রায় ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে একটি তোরণ ৷ এই তোরণ পেরিয়েই একটা সময় ঘোড়া ও হাতির পিঠে চড়ে তৎকালীন রাজারা ও ইংরেজরা আসতেন রাজবাড়িতে ৷

প্রায় দেড়শ বছর আগে বিহার থেকে গুরুপ্রসাদ দেব কুশমুড়ি এলাকায় সুদের ব্যবসা করতে আসেন ৷ সেই সময় ছিল "উদয়াস্ত ঋণ" ব্যবস্থা ছিল । নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের আগে ঋণ শোধ করতে না পারলেই ঋণ গ্রহীতার জমি দখল করে নিতেন ঋণদাতা ৷ গুরুপ্রসাদের দুই সন্তান, রাধামোহন দেব এবং গোলকমোহন দেব চৌধুরি উপাধি লাভ করেন ৷ এরপর তাঁরা পরিবারের কুলদেবতা ব্রজরাজ দেব মহাপ্রভুর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ৷

ভিডিয়োয় দেখুন

কথিত আছে দেবপরিবারের কুলদেবতার এই মন্দির তৈরি করতে প্রায় 12 বছর সময় লেগেছিল ৷ আগে ডাকের সাজের দেবী তৈরির জন্য খরচ হত লক্ষাধিক টাকা । কিন্তু একদিকে জমিদারির পতন আর অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পূজার খরচ কমাতে বাধ্য করেছে ৷ তাই 1972 সাল থেকে কুশমুড়ির প্রাচীন কাছারিবাড়ির অঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঘটপূজা৷

একসময় কুশমুড়ির দেবপরিবারের দুর্গাপুজা ছিল জেলার সেরা পুজো৷ এখানকার জমিদারই কেশিয়াড়ির সর্বমঙ্গলা মন্দিরের জন্য প্রায় 50 বিঘা জমি দান করেছিলেন ৷ দেব পরিবারের দুর্গাপুজা শুরুর আগে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজা দেওয়া হত, এই প্রথা এখনও আছে ৷ সর্বমঙ্গলা মায়ের পুজো হওয়ার পর শুরু হয় দুর্গাপুজোর ৷ আগে দেব পরিবারের দুর্গাপুজা শুরুর আগে কামান দাগা হত৷ সেই কামানের শব্দ শোনার পর অন্যান্য জায়গার পুজা শুরু হত ৷

এখন আর সেই দিন নেই ৷ পুজার আচার মেনে এখান ঘটপুজা শুরু হয় সপ্তমী থেকে ৷ পুজার দিনগুলিতে নিষ্ঠার সঙ্গে আচার মানা হয় ৷ আগে দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসতেন দেবপরিবারের দুর্গাপুজো দেখতে ৷ আগে দুর্গাপুজোর 4 দিন যাত্রা-পালা হত , একদিকে পুজো, হোম, যজ্ঞ হত ,আর অন্যদিকে দানধ্যান করা হত ৷ শুধু থাকা খাওয়া নয়, পুজো দেখতে আসা অগণিত মানুষকে বিভিন্ন সামগ্রী দান করা হত, এখন আর সে সব হয় না, তবুও অনেকে আসেন দেব পরিবারের ঘট পূজা দেখতে ৷ সপ্তমীতে পাত পেড়ে খাওয়ানো হয় অতিথিদের ৷ সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা হাজির হন পুজোর সময়৷ একসঙ্গে দুর্গাপুজোর কটা দিন বেশ আনন্দের সঙ্গে কাটান বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷

বেলদা : নেই কামানের শব্দ , নেই হাতি-ঘোড়াও, উৎসবের দিনগুলিতে কাছারিবাড়ির প্রাঙ্গণে আর বাজে না নহবৎ ৷ তবুও দুর্গাপূজা এলে অতীতের সেই ঐতিহ্য ফিরে আসে ঢাক, কাঁসরঘণ্টা আর শঙ্খধ্বনিতে ৷ বেলদা থানার কুশমুড়ির দেব পরিবারের শতবর্ষ প্রাচীন পুজোয় এখন আর দেবী দশভূজার মূর্তিও গড়া হয় না ৷ ঘট বসিয়েই দেবী দুর্গার আরাধনা হয় ৷

জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের সাথে সাথে কাছারিবাড়ির জৌলুস কমেছে৷ ঐতিহ্য রক্ষায় অবশ্য দেবপরিবারের বর্তমান প্রজন্ম আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ৷ কাছারিবাড়ি এখন পরিণত হয়েছে পোড়ো বাড়িতে ,আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে বাড়ির অনেকটাই ৷ কিছু আগাছায় নাম না জানা কিছু ফুল ফুটে ক্ষয়িষ্ণু বাড়িটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে ৷ বাড়িতে ঢোকার মুখেই প্রায় ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে একটি তোরণ ৷ এই তোরণ পেরিয়েই একটা সময় ঘোড়া ও হাতির পিঠে চড়ে তৎকালীন রাজারা ও ইংরেজরা আসতেন রাজবাড়িতে ৷

প্রায় দেড়শ বছর আগে বিহার থেকে গুরুপ্রসাদ দেব কুশমুড়ি এলাকায় সুদের ব্যবসা করতে আসেন ৷ সেই সময় ছিল "উদয়াস্ত ঋণ" ব্যবস্থা ছিল । নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের আগে ঋণ শোধ করতে না পারলেই ঋণ গ্রহীতার জমি দখল করে নিতেন ঋণদাতা ৷ গুরুপ্রসাদের দুই সন্তান, রাধামোহন দেব এবং গোলকমোহন দেব চৌধুরি উপাধি লাভ করেন ৷ এরপর তাঁরা পরিবারের কুলদেবতা ব্রজরাজ দেব মহাপ্রভুর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ৷

ভিডিয়োয় দেখুন

কথিত আছে দেবপরিবারের কুলদেবতার এই মন্দির তৈরি করতে প্রায় 12 বছর সময় লেগেছিল ৷ আগে ডাকের সাজের দেবী তৈরির জন্য খরচ হত লক্ষাধিক টাকা । কিন্তু একদিকে জমিদারির পতন আর অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পূজার খরচ কমাতে বাধ্য করেছে ৷ তাই 1972 সাল থেকে কুশমুড়ির প্রাচীন কাছারিবাড়ির অঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঘটপূজা৷

একসময় কুশমুড়ির দেবপরিবারের দুর্গাপুজা ছিল জেলার সেরা পুজো৷ এখানকার জমিদারই কেশিয়াড়ির সর্বমঙ্গলা মন্দিরের জন্য প্রায় 50 বিঘা জমি দান করেছিলেন ৷ দেব পরিবারের দুর্গাপুজা শুরুর আগে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজা দেওয়া হত, এই প্রথা এখনও আছে ৷ সর্বমঙ্গলা মায়ের পুজো হওয়ার পর শুরু হয় দুর্গাপুজোর ৷ আগে দেব পরিবারের দুর্গাপুজা শুরুর আগে কামান দাগা হত৷ সেই কামানের শব্দ শোনার পর অন্যান্য জায়গার পুজা শুরু হত ৷

এখন আর সেই দিন নেই ৷ পুজার আচার মেনে এখান ঘটপুজা শুরু হয় সপ্তমী থেকে ৷ পুজার দিনগুলিতে নিষ্ঠার সঙ্গে আচার মানা হয় ৷ আগে দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসতেন দেবপরিবারের দুর্গাপুজো দেখতে ৷ আগে দুর্গাপুজোর 4 দিন যাত্রা-পালা হত , একদিকে পুজো, হোম, যজ্ঞ হত ,আর অন্যদিকে দানধ্যান করা হত ৷ শুধু থাকা খাওয়া নয়, পুজো দেখতে আসা অগণিত মানুষকে বিভিন্ন সামগ্রী দান করা হত, এখন আর সে সব হয় না, তবুও অনেকে আসেন দেব পরিবারের ঘট পূজা দেখতে ৷ সপ্তমীতে পাত পেড়ে খাওয়ানো হয় অতিথিদের ৷ সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা হাজির হন পুজোর সময়৷ একসঙ্গে দুর্গাপুজোর কটা দিন বেশ আনন্দের সঙ্গে কাটান বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷

Intro:এক সময়ে কামান দেগে পুজো দূর্গাপুজো হতো বেলদা থানার কুশমুড়ির দেব পরিবারে ,প্রায় ১০০ বছর আগে পুরানো এই পুজো প্রায় বিলুপ্তির পথে ,নেই কামানের শব্দ ,এখন হাতিশালায় হাতি আর ঘোড়াশালায় ঘোড়া নেই এখন হয় ঘটপুজা l Body:এক সময়ে কামান দেগে পুজো দূর্গাপুজো হতো বেলদা থানার কুশমুড়ির দেব পরিবারে ,প্রায় ১০০ বছর আগে পুরানো এই পুজো প্রায় বিলুপ্তির পথে ,নেই কামানের শব্দ ,এখন হাতিশালায় হাতি আর ঘোড়াশালায় ঘোড়া নেই এখন হয় ঘটপুজা l

প্রায় ১০০ বছর আগে কামান দেগে শুরু হত দূর্গাপুজা।
কুশমুড়ির দেব পরিবারে মূর্তি নয়, এখন ঘটপুজা হয়
নেই কামানের শব্দ ,এখন হাতিশালায় হাতি আর ঘোড়াশালায় ঘোড়া নেই , উৎসব অনুষ্ঠানে কাছারিবাড়ির প্রাঙ্গণে আর বাজেনা নহবৎ ! তবু দূর্গাপূজা এলে অতীতের সেই ঐতিহ্য ফিরে আসে ডাক কাঁসরঘণ্টা এবং শঙ্খধ্বনীতে l বেলদা থানার কুশমুড়ির দেব পরিবারে l শতবর্ষ প্রাচীন দেব পরিবারের দূর্গাপুজায় এখন আর দেবী দশভূজার মূর্তি গড়া হয়না l ঘট বসিয়েই দেবী দূর্গার আরাধনা হয় l জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের সাথেসাথে কাছারিবাড়ির জৌলুস কমলেও ঐতিহ্য রক্ষায় দেবপরিবারের বর্তমান উত্তরসূরিরা আপ্রাণ প্রয়াসী l এই কাছারিবাড়ি এখন পোড়া বাড়িতে পরিণত হয়েছে ,আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে বাড়ির সমগ্র অংশ l কিছু আগাছায় নাম না জানা কিছু ফুল ফুটে উঠেছে ,যেন সেই ঐতিহ্যের স্মারক ক্ষয়িষ্ণু বাড়িটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে l দেব পরিবারে বাড়িতে ঢোকার মুখেই এখনো রয়েছে প্রায় ভঙ্গুর, তৎকালীন সেই প্রাচীন ঐতিহ্যশালী একটি তোরন ,যার সামনে একসময় ঘোড়ায় ও হাতির পিঠে চড়ে তৎকালীন রাজারা ও ইংরেজরা আসতেন রাজবাড়ীতে l প্রায় দেড়শ বছর আগে বিহারের রাজপুতদের একজন গুরুপ্রসাদ দেব কুশমুড়ি এলাকায় সুদের ব্যবসা করতে আসেন l উদায়স্ত ঋণ ব্যবস্থা ছিল ,সূর্যাস্তের পর ঋণ শোধ করতে না পারলেই ঋণ গ্রহীতার জমি দখল করে নিতেন ঋণ দাতা l এভাবেই অধূনা বেলদা ১ গ্রামপঞ্চায়েতের কুশমুড়িতে দেব পরিবারের প্রতিষ্ঠা করেন l এই পরিবারের দুই সন্তান, রাধামোহন দেব এবং গোলকমোহন দেব l এঁরাই তদানীন্তন রাজার কাছ থেকে চৌধুরী উপাধি লাভ করেন l চৌধুরী রাধামোহন দেব এবং চৌধুরী গোলকমোহন দেব , পরিবারের কুলদেবতা ব্রজরাজ দেব মহাপ্রভুর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন l কথিত আছে দেবপরিবারের কুলদেবতার এই মন্দির তৈরি করতে প্রায় ১২ বছর সময় লেগেছিল l এখন বর্তমান উত্তরসুরিরা দূর্গাপূজার আয়োজন করেন l আর এই কুল দেবতার মন্দির এর কাছেই রয়েছে দুর্গা মন্দির l তবে তার অবস্থা এখন জরাজীর্ণ l বর্তমান যেসকল উত্তরসূরিরা রয়েছেন তারা সবাই মিলে অর্থ দিয়ে এবছর মন্দিরটিকে পুনরায় ঠিক করার পরিকল্পনা নিয়েছেন l সামনে আর কটা দিন পরে পুজো তাই যার কাজও চলছে এখন বেশ জোরকদমে l পরিমল দেব, অমল দেব, ত্রিপুরারি দেব, দীপক দেব, প্রবীর দেব, ঊষারানী দেব, কিরন দেব, অরুন দেব, দিব্যেন্দু দেব এবং সদারানী দেব এই দূর্গাপুজা পরিচালনা করেন l আগে ডাকের সাজের দেবী দশভূজা তৈরির জন্য খরচ হত লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু একদিকে জমিদারির পতন, আর অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুজার খরচ কে সঙ্কুচিত করেছে l তাই ১৯৭২ সাল থেকে কূশমুড়ির প্রাচীন কাছারিবাড়ির অঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঘটপূজা অথচ একসময় কুশমুড়ির দেবপরিবারের দূর্গাপুজা ছিল জেলার সেরা পুজা l এখানকার জমিদারই কেশিয়াড়ির সর্ব্বমঙ্গলা মন্দিরের জন্য প্রায় ৫০ বিঘা জমি দান করেছিলেন l দেব পরিবারের দুর্গাপুজা শুরুর আগে সর্ব্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজা দেওয়া হত ,এই প্রথা এখনো আছে l দেব পরিবারের পুজা আগে সর্ব্বমঙ্গলা মায়ের কাছে দেওয়ার পর শুরু হয় দুর্গােপুজোর l আবার দেব পরিবারের দূর্গাপুজা শুরুর আগে কামান দাগা হত l দেব পরিবারের দূর্গাপুজার সূচনার শব্দ শোনার পর অন্যান্য জায়গার পুজা শুরুহত l এখনো কুলদেবতার মন্দিরে নিত্যপুজা হয় l সেইপুজার খরচ ও সব শরিক মিলে দেন l অতীতে দূর্গাপুজার প্রায় একমাস আগে থাকে সাধুসন্তরা এখানে আসতেন l দেবীর মূর্তি গড়তেন মেদিনীপুর ও ঘাটালের শিল্পীরা l জমিদার পরিবারের লোকজন পালকি ছাড়া বেরতেন না ,এখন আর সেসব নেই l পুজার আচার মেনে এখানে ঘটপুজা শুরু হয় সপ্তমী থেকে l অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় l পুজার দিনগুলিতে নিষ্ঠার সঙ্গে আচার মানা হয় , দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসতেন দেবপরিবারের দূর্গাপুজা দেখতে l আগে দূর্গাপুজার দিন গুলিতে যাত্রা পালা হত , এখন আর এসব হয়না l তবুও ঘট পুজার মাধ্যমে ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করাহচ্ছে l একদিকে পূজা, হোম, যজ্ঞ হত ,আর অন্যদিকে দানধ্যান করাহত l সাধু সন্তদের শুধু থাকা খাওয়া নয় তাঁদের বিভিন্ন সামগ্রী দান করা হত , এখন দান ধ্যানের বালাই নেই l তবু অনেকে আসেন দেব পরিবারের ঘট পূজা দেখতে l সপ্তমীতে পাতপেড়ে খাওয়ানো ও হয় অতিথিদের ,পরিবারের অন্যান্য জায়গায় যারা রয়েছেন আত্মীয়স্বজনরাও হাজির হন ওই দিন l একসঙ্গে দূর্গাপূজার এই কটা দিন বেশ আনন্দের সঙ্গে কাটান বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা l

বর্তমানে দেব বাড়ির সদস্য অরুন দেব জানান আগে কামান দেগে পুজো শুরু হতো ,বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধু-সন্তরা একমাস ধরে থাকত এই পুজোয় l পুজোয় নানা ধরনের আড়ম্বরপূর্ণ পুজো হতো কিন্তু বর্তমানে তা অবলুপ্তির পথে ,আমরা কোনমতে পুজোটা ধরে রেখেছি l Conclusion:এক সময়ে কামান দেগে পুজো দূর্গাপুজো হতো বেলদা থানার কুশমুড়ির দেব পরিবারে ,প্রায় ১০০ বছর আগে পুরানো এই পুজো প্রায় বিলুপ্তির পথে ,নেই কামানের শব্দ ,এখন হাতিশালায় হাতি আর ঘোড়াশালায় ঘোড়া নেই এখন হয় ঘটপুজা l
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.