ঘাটাল, ২৯ মার্চ : প্রার্থীকে নিয়ে ফের BJP-র অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশ্যে এল। এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষকে নিয়ে অসন্তোষ। ভারতী বিরোধী পোস্টার দেখা গেল ঘাটালের জলসরা ও সিংডাঙ্গা এলাকায়। পোস্টারে লেখা হয়েছে, "ঘাটালের BJP প্রার্থী গোরু চুরি, সোনা চুরি এবং বালি পাচারে অভিযুক্ত। তৃণমূলের দালাল ভারতী ঘোষকে আমরা মানছি না, মানব না। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে,"হয় প্রার্থী বদল চাই, নয়তো ভোট NOTA-য় চাই।" BJP যুব মোর্চার নামেই সবকটি পোস্টার দেওয়া হয়েছে ঘাটালের ওইসব এলাকায়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকাকালীন এই ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধেই বিরোধীরা অভিযোগ করত তৃণমূলের হয়ে কাজ করার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন IPS ভারতী ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর কোপে পড়ায় জেলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। চাকরি থেকে ইস্তফা দেন ভারতী। তারপর তাঁর নাম জড়ায় সোনা পাচার মামলায়। CID তদন্ত করছে ভারতী ঘোষ ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। তারই মধ্যে BJP-তে যোগ দিয়েই এবার নির্বাচনে টিকিট পান ঘাটাল লোকসভা আসনে।
প্রার্থী ঘোষণার পরই তাঁর লোকসভা আসনে প্রচার শুরু করে দেন ভারতী ঘোষ। দাসপুর, ঘাটাল, ডেবরা সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি প্রচার ও কর্মিসভাও সারেন। তারই মাঝে ভারতী বিরোধী পোস্টার দেখা যাওয়ায় জল্পনা ঘাটালে। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার এবং তা যুব মোর্চার নাম করেই। এই বিষয়ে BJP-র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পোস্টারকে নকল এবং চক্রান্ত বলে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলছেন।
BJP-র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি রাজু আড়ির বলেন, "তৃণমূলের চক্রান্ত এটা। প্রার্থী নিয়ে দলের কর্মী, সমর্থক এবং নেতৃত্বের কোনও ক্ষোভ বা অসন্তোষ নেই। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভারতী ঘোষকে দলের প্রার্থী হিসাবে পেয়ে আমরা খুশি। উনি জেলায় প্রশাসনিক পদে থাকাকালীন বন্যার সময় ঘাটালবাসীর জন্য অনেক করেছেন যা তৃণমূল করেনি। ঘাটালবাসী তা ভোলেনি। এসব থেকে ভয় পেয়েই তৃণমূল এখন ঘৃণ্য রাজনীতিতে নেমেছে। ওই পোস্টার দেখলেই তা বোঝা যায়। ভারতীদি ঘাটাল লোকসভা আসনে জিতছেন এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
অপরদিকে BJP-র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দলুই বলেন, "এই পোস্টার পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। BJP যাকে প্রার্থী করেছে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। পদে থেকে জেলায় কী কী করতেন, ঘাটাল কেন জেলাবাসীও জানেন সব। আর সোনা চুরি, বালি পাচারকারী মহিলাকে প্রার্থী করলে BJP কেন কেউই মেনে নিতে পারবে না। এতে তৃণমূলের কোনও হাত নেই। শুধু ঘাটাল কেন, ওদের প্রার্থী নিয়ে তো রাজ্যে এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এটাও তার মধ্যে একটা।"