কেশিয়াড়ি, 16 জুন : একটা আস্ত পুকুর খননের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল টাকা ৷ কিন্তু সেই পুকুরের এক ঝুড়ি মাটিও খনন হল না অথচ টাকা ঢুকে গেল অ্যাকাউন্টে। এবার বিজেপি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করল বিজেপিকর্মী ৷ আর তা নিয়ে শোরগোল কেশিয়াড়িতে । যদিও এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে তৃণমূল (Keshiary Pond excavation)।
একশো দিনের পুকুর খননের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ । কাজ না-করিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির লালুয়া পঞ্চায়েতের বনচাটুল গ্রামে । অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে । আর এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেশিয়াড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয় ।
আরও পড়ুন : পুকুর বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ, ‘টক টু মেয়রে’ জানিয়েও হয়নি সুরাহা
বনচাটুল গ্রামের মধুসূদন দাসের একটি পুকুর খননের জন্য 2010 সালে কাজ মঞ্জুর হয় । কিন্তু প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও এখনও পুকুর খননের কাজ শুরু হয়নি । অথচ মধুসূদনবাবু দেখেন তাঁর বাড়ির পুকুর খননের কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ একশো দিনের কর্মীর অ্যাকাউন্টে প্রায় 6 মাস আগেই ঢুকে গিয়েছে । এই ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কেশিয়াড়ি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান তিনি । মধুসূদন দাসের বক্তব্য, অবিলম্বে কাজ হোক, যারা টাকা আত্মসাৎ করেছে তারা শাস্তি পাক । অপরদিকে স্থানীয় বিডিও বিপ্লব দত্ত জানিয়েছেন, অভিযোগ জমা পড়েছে । তদন্ত করে দেখা হবে ।
লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সনাতন মান্ডি জানান, পারিবারিক সমস্যার জন্য কাজ করা যায়নি । তবে টাকা ঢোকার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখবেন ৷ অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ প্রধান উপপ্রধান-সহ একাধিক লোক এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ।