চন্দ্রকোনা,15 ই মে : চন্দ্রকোনার মল্লেশ্বরপুরে কোরোনার থাবা । আক্রান্ত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী । তিনি কর্মসূত্রে কলকাতায় ছিলেন । বাড়িতে দেখা করতে এলে এক দুর্ঘটনায় পা ভাঙে । প্রথমে চন্দ্রকোনায় একটি নার্সিংহোমের পরে ঘাটালের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় । এরপর একই দিনে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । সেইখানেই তাঁর কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে । ওই পুলিশ কর্মীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজ চালাচ্ছে চন্দ্রকোনা পুলিশ প্রশাসন ।
চন্দ্রকোনা পৌরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ড মল্লেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা ওই পুলিশকর্মীর কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে । ওই ব্যক্তি কর্মসূত্রে কলকাতায় ছিলেন । পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে কর্মরত । 11মে চন্দ্রকোনায় নিজের বাড়িতে ফেরেন । পরেরদিন 12 মে দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় । প্রথমে চন্দ্রকোনায় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় । পরে ওইদিনই তাঁকে ঘাটালের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় । সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে একই দিনে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয় । 13 মে কোরোনা পরীক্ষার জন্য সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । গতকাল তাঁর কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর ।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে , গতকাল ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে তাঁর সংস্পর্শে কে কে এসেছেন সে সম্বন্ধে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে । আপাতত তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয়েছে । আগামীকাল তাঁদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে । 11 মে থেকে 12 মে-এর মধ্যে ওই পুলিশ কর্মীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজ চালাচ্ছে চন্দ্রকোনা পুলিশ প্রশাসন । জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন "ওই পুলিশকর্মী কলকাতায় কর্মরত ছিলেন । বাড়ি ফিরে আসার পর দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় । এরপর তাঁকে স্থানীয় নার্সিংহোমে দেখানোর পর কলকাতায় ট্রিটমেন্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে নিয়ে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করার আগে কোরোনা টেস্ট করলে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এই ঘটনায় আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েছি । তাছাড়া স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিকারিককে বলেছি এলাকায় গিয়ে যাঁদের যাঁদের সংস্পর্শে কনস্টেবল এসেছিলেন তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে রাখার পাশাপাশি টেস্ট করাতে হবে ।"