ঝাড়গ্রাম, 1 সেপ্টেম্বর: কোরোনা সংক্রমণের জেরে অনেকদিন ধরেই ঝুঁকছে পর্যটন শিল্প। সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে জঙ্গলমহল থেকে মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকেরা। তাই পর্যটকদের পুনরায় জঙ্গলমহলে ফেরাতে এবার হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামল ট্রাভেল এজেন্সির সদস্যরা । প্ল্যাকার্ডে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, পৃথিবীকে জানতে ভ্রমণ অপরিহার্য ।
কোরোনা পরিস্থিতি, লকডাউনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে জঙ্গলমহল তথা ঝাড়গ্রামের পর্যটন শিল্প । পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার পর্যটকদের জন্য ভ্রমণবার্তা দিলেন ঝাড়গ্রামের ভ্রমণ শিল্পের কর্মকর্তারা । শাল, মহুয়া, পাহাড়, জঙ্গলের টানে প্রতিবছরেই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে ঝাড়গ্রামে । কিন্তু বিগত ছয় মাস ধরে পর্যটকের দেখা নেই । ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের । আজ ট্রাভেল এজেন্টস এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এর উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম শাখার পক্ষ থেকে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পর্যটকদের ভ্রমণবার্তা দিলেন সেখানকার ভ্রমণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ব্যবসায়ীরা।
ট্যুরিস্ট এজেন্ট, হোটেল মালিক, গাড়ির চালক ও মালিক,ট্যুরিস্ট গাইড এবং গ্রামীণ হোম স্টে এর মালিক এবং কর্মচারীরা সকলেই উপস্থিত হয়ে ঝাড়গ্রাম শহরে প্রবেশের রাস্তায় কলাবনির জঙ্গলে পর্যটকদের আহ্বান জানানোর জন্য একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেন । এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পর্যটকদের ঝাড়গ্রামে আসার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আশ্বস্ত করতে চান কোরোনার সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের সমস্ত পরিষেবা প্রদান করা হবে । পর্যটকদের জন্য থার্মাল স্ক্রীনিং এর ব্যবস্থা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিষেবা প্রদান এবং গাড়ি থেকে শুরু করে থাকার জায়গা সবকিছুই নিয়ম মাফিক সেনিটাইজ়েশন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । গত জুন মাস থেকেই অল্প সংখ্যক পর্যটক ঝাড়গ্রামে আসছেন ৷ তবে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় বহু পর্যটক আসতে পারছেন না । যারা আসছেন তাঁদের বেশিরভাগই নিজের গাড়িতে আসছেন ।
ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজ়মের কর্ণাধার সুমিত দত্ত বলেন, "আমরা পর্যটকদের ঝাড়গ্রামে আসার আহ্বান এর পাশাপাশি তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই কোরোনার সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে পর্যটকদের পরিষেবা প্রদান করা হবে । পর্যটকদের জন্য হোটেলের প্রতিটি রুম সেনিটাইজ় করা হয়েছে ৷ এবং প্রতিদিন সেনিটাইজ়েশনের কাজ করা হবে । এছাড়াও হোটেলের সমস্ত পরিষেবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রদান করার চিন্তা ধারা রয়েছে ।
রাজ্যে সব জেলাগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রামে এখনও পর্যন্ত কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে কম ৷ সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 262 জন । ফলস্বরূপ রাজ্যবাসীর কাছে ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসার একটা আগ্রহ রয়েছে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র গুলির তুলনায় । পুজোর বুকিং এখন থেকে শুরু হওয়া জন্য পর্যটন ব্যবসায়ীরা একটি আশার আলো দেখছেন । ঝাড়গ্রামে পুজোর সময় অন্যান্য জায়গার তুলনায় সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসবে l