ETV Bharat / state

সকাল-সন্ধে তুলসী পাতা, তেঁতুলের রস খান; দিলীপ ঘোষকে বললেন মানস - তেঁতুল রস

আজ মেদিনীপুরের কর্মিসভা থেকে দিলীপ ঘোষকে প্রতিদিন তুলসী পাতা ও তেঁতুলের রস খেতে বললেন মানস ভুঁইঞা।

মানস ভুঁইঞা
author img

By

Published : Mar 25, 2019, 11:33 PM IST

Updated : Mar 25, 2019, 11:56 PM IST

মেদিনীপুর, 25 মার্চ : দিলীপ ঘোষকে প্রতিদিন সকাল-সন্ধে তুলসী পাতা ও তেঁতুলের রস খাওয়ার কথা বললেন মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইঞা। আজ মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থেকে ভোটের প্রচার শুরু করেন তিনি। BJP-কে কটাক্ষ করে বলেন, "পদ্মফুল চাষিদের জন্য এই রাজ্যে কোনও জায়গা নেই।"

প্রসঙ্গত গতকাল BJP-র মহিলা মোর্চার সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, "তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়ে এই নির্বাচনে কোনও আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। কারণ তিনি যেখানেই দাঁড়াবেন, সেখানেই হারবেন।" আজ মানস ভুঁইঞার সামনে সেই প্রসঙ্গ তোলা হলে দিলীপ ঘোষকে তিনি তুলসী পাতা ও তেঁতুলের রস খেতে বলেন।

ভিডিয়োয় শুনুন মানস ভুঁইঞার বক্তব্য

আজ নারায়ণগড় রাইস মিলের মাঠে রাজনৈতিক কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের জলসম্পদ বিভাগের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ সহ অন্যান্য নেতা ও কর্মী, সমর্থকরা। সভামঞ্চে মানসবাবুর বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু ছিল গত পাঁচ বছরে BJP-র শাসনে দেশে কোনও উন্নতিই হয়নি। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "নির্বাচন একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দান। এখানে কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে আমি বিশেষ একটা চিন্তাভাবনা করি না। আমার দলও করে না। এখানে যাঁরাই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে আমি তাঁদের প্রত্যেককেই প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করে জিতব। এটাই আমার লক্ষ্য।"

কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মানসবাবু বলেন, "আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে 33টা নির্বাচন করেছি। অনেক কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও হুমকি দিয়ে এই সংবেদনশীল রাজ্যের সচেতন ভোটারদের মানসিকতায় বদল আনতে পারবে না।" তাঁর দাবি, খড়গপুর রেল হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বাস্তব রূপায়ণ সম্ভব হয়নি শুধুমাত্র BJP-র জন্য। এছাড়াও খড়গপুর, মেদিনীপুরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ শুধুমাত্র BJP-র বিরোধিতার কারণেই করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়গুলোকেই হাতিয়ার করে প্রচারের ময়দানে নেমেছেন মানস ভুঁইঞা।

মেদিনীপুর, 25 মার্চ : দিলীপ ঘোষকে প্রতিদিন সকাল-সন্ধে তুলসী পাতা ও তেঁতুলের রস খাওয়ার কথা বললেন মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইঞা। আজ মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থেকে ভোটের প্রচার শুরু করেন তিনি। BJP-কে কটাক্ষ করে বলেন, "পদ্মফুল চাষিদের জন্য এই রাজ্যে কোনও জায়গা নেই।"

প্রসঙ্গত গতকাল BJP-র মহিলা মোর্চার সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, "তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়ে এই নির্বাচনে কোনও আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। কারণ তিনি যেখানেই দাঁড়াবেন, সেখানেই হারবেন।" আজ মানস ভুঁইঞার সামনে সেই প্রসঙ্গ তোলা হলে দিলীপ ঘোষকে তিনি তুলসী পাতা ও তেঁতুলের রস খেতে বলেন।

ভিডিয়োয় শুনুন মানস ভুঁইঞার বক্তব্য

আজ নারায়ণগড় রাইস মিলের মাঠে রাজনৈতিক কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের জলসম্পদ বিভাগের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ সহ অন্যান্য নেতা ও কর্মী, সমর্থকরা। সভামঞ্চে মানসবাবুর বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু ছিল গত পাঁচ বছরে BJP-র শাসনে দেশে কোনও উন্নতিই হয়নি। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "নির্বাচন একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দান। এখানে কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে আমি বিশেষ একটা চিন্তাভাবনা করি না। আমার দলও করে না। এখানে যাঁরাই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে আমি তাঁদের প্রত্যেককেই প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করে জিতব। এটাই আমার লক্ষ্য।"

কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মানসবাবু বলেন, "আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে 33টা নির্বাচন করেছি। অনেক কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও হুমকি দিয়ে এই সংবেদনশীল রাজ্যের সচেতন ভোটারদের মানসিকতায় বদল আনতে পারবে না।" তাঁর দাবি, খড়গপুর রেল হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বাস্তব রূপায়ণ সম্ভব হয়নি শুধুমাত্র BJP-র জন্য। এছাড়াও খড়গপুর, মেদিনীপুরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ শুধুমাত্র BJP-র বিরোধিতার কারণেই করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়গুলোকেই হাতিয়ার করে প্রচারের ময়দানে নেমেছেন মানস ভুঁইঞা।

Intro:ট্রেড ফেয়ার 2018 এসে শিল্প নষ্টের কারণ বামদের আন্দোলন কেই দায়ী করলেন পরিবহন মন্ত্রী ।


Body:আগে একটা বাৎসরিক বনধ হতো আর সেই বনধের দিনে তাস খেলে , হইহুল্লোড় করে , পিকনিক করে একটা কর্মদিবস নষ্ট করে দিত তৎকালীন বাম সরকার সহ তাবড় তাবড় নেতারা । আমরা এসে শিল্পের পরিবেশ তৈরি করেছি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বনধ কড়া হাতে দমন করে আজ শিল্পকে একটা নতুন দিশা দেখিয়েছেন এরকমই মন্তব্য করলেন পরিবহন মন্ত্রী তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী । এদিন তিনি মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গনের এসেছিলেন ন্যাশনাল লেভেল ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম কাম এম এস এম ই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার 2018 উদ্বোধন অনুষ্ঠানে । এই মেলার আয়োজক কনফেডারেশন অফ পূর্ব এন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি , এই মেলা চলবে আগামী কয়েকদিন । এ বছরে মেলা দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল, মূলত কৃষি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কে উৎসাহ দিতেই এ মেলার আয়োজন । এখানে 25 টি প্যাভেলিয়ন সহ মোট 65 টি স্টল রয়েছে , এই স্টলে উৎসাহী যুবক-যুবতীরা যারা পড়াশোনা করে কোন চাকরি পায়নি তারা নিজেদের কর্মদক্ষতা ও কৌশল কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন হস্তশিল্প ও কর্ম শিল্পের নিপুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তাদের ছোট ছোট ব্যবসা পত্রের জিনিস স্টলে রেখেছেন যা নজর কাড়ছে । সেই মেলায় উদ্বোধনে এসে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন বিগত 2-3 বছর আগে বাম সরকার একটা বাৎসরিক বনধ ডাকত , যে বনধ কর্মনাশা বনধ এবং হৈ-হুল্লোড় তাস খেলে তারা একটি দিন কাটিয়ে দিত । সেইটা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বন্ধ করা গেছে , তাছাড়া বিগত বাম সরকারের আমলে বনধ এর জন্য বহু কোম্পানি এই রাজ্য ছেড়ে এবং জেলা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন বনধ কোনোভাবেই করা যাবে না । আগে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ছিল ধু ধু মাঠ সেই মাঠ এখন শিল্পের জন্য উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে গড়ে উঠেছে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । যেকোনো তাবড় তাবড় নেতারা এই বনধ ডেকে দিত এবং গল্প-গুজব পিকনিকের মাধ্যমে বনধ কে তারা উপভোগ করত কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই সব বনধে আমাদের রাজ্য সচল করে রেখেছেন , তাই একটা নেগেটিভ জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছে আমাদের এই রাজ্য তথা জেলা যার অনুপ্রেরণা সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই । আমরা বেরিয়ে এসেছি ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও রাজনীতি থেকে , যা তৎকালীন বামফ্রন্টের সরকার এগুলি করত এবং শ্রমিক সংকট এবং শ্রমিকদের প্রতি হুলিয়া জারি করে এই ধরনের বনধ করতো যাতে করে বহু শিল্পউদ্যোগী পালাতে বাধ্য হয়েছেন । আজ একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রেন্ডলি এনভারমেন্ট তৈরি হয়েছে যা মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরেই , তাছাড়া তিনি বলেন বর্তমানে কেন্দ্র সরকার যে ধরনের জি এস টি ও নোট বন্দি করেছেন তাতে অনেকাংশে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে এম এস এম ই । তবে তা তারা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আমরাও অনেক ভাবে হেল্প করেছি আগামী দিনে আরো ভালোভাবে গড়ে উঠবে শিল্পাঞ্চল । এভাবে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী বলা বাহুল্য এই দিন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলতে গিয়ে শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীর হাতে কিছুটা হেনস্থার শিকার হলেন সাংবাদিকরা । এদিন শুভেন্দু বাবু যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় । বাধার পাশাপাশি কে কতটা ছবি তুলবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বসেন সাংবাদিকদের শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীরা , টিভিতে এতটা দেখাবেন না তো তুলছেন কেন । এই ঘটনায় কিছুটা ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা শুভেন্দু বাবুর মঞ্চ ছাড়েন ।


Conclusion:শিল্প না আসার কারণ বিরোধীদের বনধ কেই দায়ী করলেন শুভেন্দু
Last Updated : Mar 25, 2019, 11:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.