কেশিয়াড়ি, 21 জুন : নীল-সাদা রংয়ের ঝাঁ চকচকে দোতলা বিল্ডিং । বিশাল বিল্ডিংয়ের গায়ে লেখা, সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতর । 2016 সালের 3 নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে এই মার্কেটিং কাম ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী । ফলপ্রসূ, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গড়ে ওঠে দোতলা বিল্ডিং, কর্মতীর্থ । তাই এখন কার্যত ভূতুড়ে বাড়ির চেহারা নিয়েছে (Keshiary Karmatirtha got close due to mismanagement) ৷
জানা গিয়েছে, ব্যবসা ও যাবতীয় কাজের জন্য লটারি করে স্টল বিলি করা হয়েছিল । কিন্তু দীর্ঘদিন কোনও এক কারণে তা চালু করা যায়নি । সেন্টারটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জায়গা নির্বাচন নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে । বাজার এলাকা থেকে কমপক্ষে প্রায় দু'কিলোমিটার দূরে মাঠের মাঝখানে ফাঁকা এলাকায় অবস্থিত মার্কেটিং কাম ট্রেনিং সেন্টারটি । নিরাপত্তা রক্ষীহীন কর্মতীর্থ এখন ভাঙাচোরা ঘর মাত্র ।
আরও পড়ুন : পুকুর খনন হয়নি অথচ টাকা ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে
লুট হয়েছে প্রত্যেকটি সামগ্রী । 114টি স্টলের শাটার-দরজা ভাঙা, দোমড়ানো-মোচড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ লাইট, ফ্যান, ইলেকট্রিকের তার-সহ বাথরুমের যাবতীয় সামগ্রী হাওয়া হয়ে গিয়েছে । চুরি গিয়েছে জলের পাম্পটিও । প্রশাসনের নাকের ডগা থেকে এই চুরিতে হতবাক এলাকাবাসী ৷
প্রহরীহীন খোলা গেট খুলে ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে শাটার ভাঙা ঘরে ভর্তি নেশার সামগ্রী । এদিকওদিক পড়ে রয়েছে ছেঁড়া জামা, দুষ্কৃতীদের দুষ্কর্মের চিহ্ন । জানলার কাচ-দরজা ভাঙা । স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেশিয়াড়ি প্রশাসন সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় কী দায়িত্ব পালন করছে ? কাজ তো পেলই না কেশিয়াড়ির মানুষ, উপরন্তু দুষ্কৃতীদের সরকারি সম্পত্তি লুঠ করার কাজে সহায়তা করা হল ।