খড়গপুর, 19 জুলাই : এবার 10 টাকায় পাওয়া যাবে সার্জিকাল মাস্ক ৷ সৌজন্যে খড়গপুর IIT ৷ দেশে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ৷ এই পরিস্থিতিতে সমাজে নিম্নমধ্যবিত্তদের কাছে মাস্কের সহজলভ্যতার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ ৷ এমনই জানাচ্ছে খড়গপুর IIT ৷ লক্ষ্য মাসে প্রায় এক লাখ মাস্ক তৈরি করা এবং যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষের হাতে তা তুলে দেওয়া৷
IIT-র সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এন্ত্রেপ্রেনরশিপ পার্ক বিভাগের (STEP) গবেষক দল এনিজিয়েন টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের উদ্যোগে এই ত্রিস্তরীয় সার্জিকাল(P3) মাস্ক তৈরি হয়েছে ৷ IIT- র তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত গুণগত মান বজায় রেখেই এই মাস্ক তৈরি করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি দামও কম রাখা হয়েছে ৷ যাতে নিম্নমধ্যবিত্তদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদেরও এই মাস্ক দেওয়া যেতে পারে ৷ ইতিমধ্যে ফিল্ড স্টাডির কাজ শেষ হয়েছে ৷ আগামী এক মাসের মধ্যে মোট এক লাখ সার্জিকাল মাস্ক তৈরি করা হবে ৷ যার বাজার মূল্য দশ টাকা ৷ এবিষয়ে খড়গপুর IIT-র বায়োটেকনোলজি বিভাগের গবেষণা সহযোগী এবং এনিজিয়েন টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের পরিচালক সত্যব্রত ঘোষ বলেন, "অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষজনের কথা ভেবেই আমাদের এই পদেক্ষেপ ৷ যাতে স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে কোনওরকম আপোস না হয় ৷ আমাদের এই মাস্ক স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সরবরাহ করা হবে ৷"
সম্প্রতি WHO-র তরফে জানানো হয়েছে, কোরোনামুক্ত হতে এখনও দীর্ঘ সময় লাগবে ৷ সুতরাং আগামী কয়েকমাস মাস্ক পরার বিষয়টি এখনকার মতোই বাধ্যতামূলক থাকবে ৷ এই পরিস্থিতিতে নানা জায়াগায় মাস্ক নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছে ৷ বহু জায়গায় মাস্ক চড়া দামে বিক্রি করার অভিযোগও উঠছে ৷ তাই আগামীদিনে মাস্কের চাহিদাও বাড়বে ৷ বলছেন খড়গপুর IIT-র ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি ৷ তাঁর বক্তব্য, "সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণ করা ও সস্তায় তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়ার বিষয়টি এতটা সহজ নয় ৷ এনিজিয়েন টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের এই উদ্যোগ উক্ত চাহিদাকে মেটাতে পারে ৷ গবেষকদের আমার অভিনন্দন ৷ এইরকম একটি উদ্যোগ নিয়ে তাঁরা এগিয়ে এসেছেন এবং দেশকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে সহযোগিতা করছেন৷ "
IIT-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ে ফলের আঁশ থেকে মাস্ক তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে । যা প্রকৃতিবান্ধব হবে ৷ পরিত্যক্ত হলে সহজে প্রকৃতিতে মিশে যেতে পারবে ।