খড়্গপুর, 28 অগাস্ট: মানুষের মাথার চুলের থেকেও সরু মাইক্রোনিডিল তৈরি করল খড়্গপুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা ৷ এই মাইক্রোনিডিল ও তার সঙ্গে যুক্ত মাইক্রো পাম্পের দ্বারা খুব সহজেই যন্ত্রনাহীনভাবেই মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো যাবে ওষুধ ৷
খড়্গপুর IIT-র ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রিক্যাল কমিউনিকেশনের ইঞ্জিনিয়াররা এই মাইক্রো পাম্প ও মাইক্রোনিডিল তৈরি করেছে ৷ মূলত যে সমস্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুচ বা ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষের চামড়ার মধ্যে দিয়ে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই মাইক্রোনিডিল ব্যবহার করা হবে ৷ এই পদ্ধতিকে (ট্রান্সডারমাল ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেম) ও বলা হয়ে থাকে ৷ ট্রান্সডারমাল ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেমের ক্ষেত্রে দশক আগে থেকে যন্ত্রণামুক্ত এই পদ্ধতি অ্যামেরিকা ও অন্যান্য অনেক দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে ৷ এই মাইক্রোনিডিলটি 55 মাইক্রোমিটার পুরু ৷ যেখানে মানুষের মাথার চুলের 50 থেকে 70 মাইক্রোমিটার পুরু হয় ৷ এই প্রজেক্টটি চালনা করতে আর্থিক সাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ৷
মাইক্রোনিডিলটি চালনার ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করে তার সঙ্গে যুক্ত একটি মাইক্রো পাম্প ৷ যার সাহায্যে চামড়ার মধ্যে দিয়ে ওষুধ শরীরে প্রবেশ করানো হয় ৷ মাইক্রো পাম্পটি ওযুধটিকে মাইক্রোনিডিলের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করাতে সাহায্যে করে ৷
ইতিমধ্যেই এই ওষুধ শরীরে প্রবেশ করানোর পদ্ধিতিটি মেডিকেল প্রটোকল অনুযায়ী প্রাণী শরীরে টেস্টে সাফল্য লাভ করেছে ৷ সংশ্লিষ্ট এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’ এবং IEEE-তে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে IIT খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ ৷
খড়্গপুর IIT-এর ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রনিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক তরুণকান্তি ভট্টাচার্য জানান, "আমরা একটি শক্তিশালী গ্লাসি কার্বন মাইক্রোনিডিল তৈরি করেছি ৷ এই নিডিল সহজেই মানুষের চামরার প্রতিরোধমূলক শক্তিকে উপেক্ষা না করে প্রবেশ করতে পারে ৷ যার ফলে যন্ত্রণা অনুভব হয় না ৷ এই নিডিলের সঙ্গে যুক্ত শক্তিশালী মাইক্রো পাম্প মাইক্রোনিডিলের মধ্যে দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করানোর ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে ৷ যার জেরে সঠিকভাবে ওযুধের মলিকিউলসগুলিকে শরীরে প্রবেশ করানো যায় ৷"