কেশপুর, 3 অগস্ট: রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল পশ্চিম মেদিনীপুর ৷ বৃহস্পতিবার সকালে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেশপুরের চরকা এলাকা । তৃণমূলের উপর আক্রমণের অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে । ঘটনায় গুরুতর জখম 4 তৃণমূল কর্মী ৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম । পালটা শাসকদলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ স্থানীয় সিপিএম নেতার ৷
রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় বরাবরই শিরোনামে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এলাকা ৷ বৃহস্পতিবারের সিপিএম- তৃণমূল সংঘর্ষ চোখে আঙুল দিয়ে আবারও সেটাই দেখিয়ে দিল ৷ এদিন স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী ৷ অভিযোগ, সেই সময়েই হঠাৎ তাদের উপর আচমকা চড়াও হয় স্থানীয় সিপিএম আশ্রিত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ অভিযোগ, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে তাদের ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম 4 তৃণমূল কর্মী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ আহতদের মধ্যে একজন মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর রক্ষাকবচে চিড় ! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর করে ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা ৷ তাঁর কথায়," এটি শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল ৷ ঘটনার সঙ্গে সিপিআইএম কোনওভাবেই জড়িত নয় । একটা হাস্যকর অভিযোগ । এটা তৃণমূলের শেষের শুরু । যতই পঞ্চায়েত গঠন এগিয়ে আসবে ততই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাড়বে ।"
আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মোহনপুর থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর
সিপিএম নেতার এই অভিযোগ না মেনে তৃণমূলের জেলা পরিষদের মহম্মদ রফিক বলেন, "কেশপুরের এই ঘটনায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়নি ৷ তবে আসল ঘটনা কি ঘটেছিল তা জানতে ইতিমধ্যেই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ তদন্তের পরেই আসল সত্য সামনে আসবে ৷ আমরা পুলিশকে বলেছি এর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ।" তিনি আরও জানান, কেশপুরের এই সংঘর্ষের ঘটনায় সিপিএম দায়ী । সিপিএমের লোকজন এ দিন আক্রমণ করে এই তৃণমূল কর্মীদের উপর ।