কেশিয়াড়ি 11 এপ্রিল: রাজনৈতিক হিংসা নয়, হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ কেশিয়াড়ির মানুষজন। রাতভর পাকা ধানে মই দিতে হাজির হাতির দল, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা চাষিদের।
শনিবার হঠাৎ রাত 11টা থেকে ভোর 4টে পর্যন্ত হাতির দল হানা দিয়েছে কেশিয়াড়ি ব্লকের বেনাকুড়িয়া, মহিষামুড়া, পাথরহুড়ি-সহ বেশ কিছু এলাকায় ৷ বেনাকুড়িয়া-সহ কেশিয়াড়ি বিধানসভার তিলাবনী, পতিবাঁধ, এলাকায় ধান জমিতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে হাতির দল ৷ এখন ধান কাটার সময়, তাই বেশির ভাগ ক্ষেতেই পাকা ধান রয়েছে ৷ সেই ধান খেয়ে গিয়েছে হাতির দল ৷
আরও পড়ুন: আইন হাতে নিতে এলে শীতলকুচি সারা বাংলায় হবে : দিলীপ
স্থানীয় বাসিন্দে সবিতা সিং বলেন, '‘20-25টা হাতি এসে সব ধান খেয়ে গিয়েছে ৷ মাড়িয়েও নষ্ট করে দিয়েছে পাকা ধান ৷’' তাঁর হিসাব অনুযায়ী গ্রামের প্রত্যেকের প্রায় দু-তিন বিঘা জমির পাকা ধান নষ্ট হয়েছে হাতির তাণ্ডবে ৷ এখনও হাতিরা বেনাকুড়িয়ার জঙ্গলে রয়েছে বলে ধারণা তাঁর ৷ আশঙ্কা, ফের আসতে পারে হাতির পাল ৷ তাই সারা রাত জেগেছিলেন গ্রামবাসীরা ৷
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী চাষি প্রভাত সিং বলেন, ‘'গতকাল রাত থেকে 30-40টি হাতির দল এলাকায় ঢুকে পড়ে। তারা উৎপাত চালিয়ে গোটা জমিতে ঢুকে পড়ে পা দিয়ে ফসল মাড়িয়ে দেয় ৷ গোটা এলাকাজুড়ে তাণ্ডব চলে রাতভর। আমরা তাদের তাড়ানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি ।’' এ বিষয়ে বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে, সঙ্গে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছন তাঁরা ৷ না হলে তাঁদের না খেতে পেয়ে মরতে হবে বলে মত প্রভাতবাবুর । বোরো চাষের মরশুমে কার্যত পাকা ধানে মই দিয়ে গেল হাতি, এমনটাই মত চাষিদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাতির পাল পাথরহুড়ির জঙ্গলে রয়েছে । রাতে ফের হামলার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তবে বনদপ্তরের তরফে হাতি তাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।