মেদিনীপুর, 6 নভেম্বর: বিজেপির পার্টি অফিসের মধ্যেই হাতাহাতি ৷ আর তা ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়াল ৷ সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে জেলা সহ-সভাপতিকে চড় মারছেন মণ্ডল সভাপতি । যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ বিজেপি মহলে, তবে এ বিষয়ে তৃণমূল তীব্র কটাক্ষ জানিয়েছে (Slap District Vice President at BJP Office)।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল ঠিক 4টে নাগাদ মেদিনীপুর শহরের সিপাই বাজারে জেলা বিজেপি পার্টি অফিসের মধ্যেই গড়বেতার মণ্ডল সভাপতি ঠাকুর দাস মিদ্যার সঙ্গে প্রথমে বচসায় জড়ান জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি ড.শঙ্কর গুছাইত । এই বচসা থেকেই শুরু হয় হাতাহাতি, পড়ে তা মারধর পর্যন্ত গড়ায় । সন্ধ্যা নাগাদ সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এলে দেখা যায়, জেলা বিজেপি-র এই নেতাকে বেধড়ক মেরে একপ্রকার কুপোকাত করে দিয়েছেন ওই মণ্ডল সভাপতি । এরপরই, 'রঙ্গমঞ্চে' আবির্ভূত হন অন্য দুই জেলা নেতা ৷ তাঁরাই আটকান দু'জনকে । মারধরের ঘটনা আর বাড়তে দেননি । তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির একাংশ কর্মী স্পষ্ট জানাচ্ছেন, মারধরের ঘটনায় অর্থাৎ জেলা সহ-সভাপতির উপর মণ্ডল সভাপতির আক্রমণের ঘটনায় ওই দুই জেলা নেতারও মদত বা ইন্ধন থাকতে পারে । কারণ, তাঁরা তিনজনই নাকি বর্তমান জেলা সভাপতি (তাপস মিশ্র)'র গোষ্ঠী । অন্যদিকে, মার খাওয়া জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি শঙ্কর গুছাইত প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বর্তমান রাজ্য সহ-সভাপতি সমিত দাসের গোষ্ঠী । এই ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি গড়বেতার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা বিজেপির দাপুটে নেতা তথা জেলা সহ সভাপতি ড. শঙ্কর গুছাইত । আর গড়বেতা এলাকারই একটি মণ্ডলের সভাপতি ঠাকুর দাস মিদ্যা । মূলত একটি বৈঠকে দু'জনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত । তারপরই শনিবার বিকেলে দলের জেলা কার্যালয়ের এক তলায় দু'জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয় । ঘটনার পর জেলা বিজেপি'র সহ সভাপতি ড. শঙ্কর গুছাইত জানিয়েছেন, একসঙ্গে থাকলে অনেক সময় এরকম ঘটনা ঘটে । তবে বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে । দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে । এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে চাই না ।
আরও পড়ুন: কেষ্টকে বীরভূমের বাঘ বললেন ফিরহাদ, নাম করে পার্থর জন্য তৃণমূল লজ্জিত বলেও মানলেন
অন্যদিকে, এই ঘটনায় জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি জানান, এটা বিজেপির দলীয় বিষয় । ওরা দিলীপ ঘোষের শিক্ষায় শিক্ষিত । যেখানে দিলীপ ঘোষ নিজে বলেন মেরে ফেলাে, কেটে ফেলো । ঠিক বিজেপি নেতাকর্মীরাও তাই করে বেড়াচ্ছেন । ওদের মানুষের কাছে যাবার কোনও মুখ নেই । এইসব করেই ওরা টিকে থাকতে চাইছে ।