খড়্গপুর , 25 জুন : শুক্রবার জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খড়্গপুরে কালা দিবস পালন করে বিজেপি । উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি , রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় সহ অন্য নেতারা । কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন , " ভ্যাকসিন নেই, জল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে । দুর্ভাগ্যের বিষয় এক সাংসদকেও ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৷ আমার মনে হয় কলকাতার অ্যাডমিনিসিট্রেটর (ফিরহাদ হাকিম) এই কাটমানি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছেন ৷ অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত । অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা উচিত ৷ "
তিনি আরও বলেন , "এই ভ্যাকসিন-কাণ্ডের টাকা নিশ্চয়ই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও গিয়েছে ৷ তাই অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি । বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যা অবস্থা তা কংগ্রেসের জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ঙ্কর । " খড়গপুর ছাড়াও মেদিনীপুরে একাধিক কর্মসূচিতে যোগদান করেন দিলীপ ঘোষ । শালবনি এবং নারায়ণগড় এ গিয়ে দুস্থ মানুষকে খাবার পরিবেশনও করেন তিনি ।
সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগের পর সামনে আসে ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড ৷ এ নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ৷ কসবায় একটি শিবির থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী । তিনি এবং অনেক সাধারণ মানুষ ওই শিবির থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৷ কিন্তু গোল বাধে যখন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মিমি চক্রবর্তীর মোবাইলে সার্টিফিকেট না আসায় । এরপর তিনি খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখেন তাঁকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি ।
আরও পড়ুন : কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
তিনি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং একের পর এক তথ্য সামনে আসে । মিমি চক্রবর্তীকে যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তা আদতে করোনার ভ্যাকসিন নয় । পৌরনিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয় ওই ইঞ্জেকশন আদপে অন্য একটি ওষুধ । এদিকে এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজক দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসাররা একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন । এই ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।