ETV Bharat / state

"পাঁচ বছরে পাঁচবারও আসেনি", দেবকে আক্রমণ ভারতীর - tmc

"দেব কিছুই করেননি। পাঁচ বছরে পাঁচবারও আসেননি। কারও সঙ্গে মেশেননি। কারও বাড়ি যাননি। এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি।" পাঁশকুড়ায় প্রচারে গিয়ে মন্তব্য ঘাটালের BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষের।

প্রচারে ভারতী ঘোষ
author img

By

Published : Mar 30, 2019, 4:22 AM IST

Updated : Mar 30, 2019, 4:46 AM IST

পাঁশকুড়া, ৩০ মার্চ : "দেব কিছুই করেননি। পাঁচ বছরেপাঁচবারও আসেননি। কারও সঙ্গে মেশেননি। কারও বাড়ি যাননি। এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি।" পাঁশকুড়ায় প্রচারে গিয়ে মন্তব্য ঘাটালের BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষের।

তিনি বলেন, "ভোটে জিতলে প্রথমেই আমি মানুষের কাছে আসব। এলাকা ভিত্তিক সমস্যার তালিকা তৈরি করব। এরপর কোন কাজ আগে প্রয়োজন, তার তালিকা তৈরি করব। তারপর সংসদে গিয়ে ওইসব সমস্যার কথা বলব। যতক্ষণ না সমস্যার সমাধান হয়, প্রত্যেকদিন বলব। আর মোদিজিকে একদিন বললেই উনি আমাকে প্রকল্প দিয়ে দেবেন। উনি বসেই আছেন উন্নতি করার জন্য। যেরকম আপনারা দেখছেন, গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ অন্য রাজ্যে উন্নতি হয়েছে। এখানেও করতে হবে।"

ভারতীদেবী পাঁশকুড়ার হাউর, রঘুনাথবাড়ি, চৈতন্যপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "মানুষের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি। সবাই বেরিয়ে এসে কথা বলছেন। মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ মার খেয়েছে। সকলে রক্তাক্ত হয়েছে। সিংহভাগ মানুষ মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি।এলাকায় রাস্তা ও জলের সমস্যায় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এমনকী সকাল থেকে এলাকায় ঘুরে একটা শৌচাগার দেখতে চাইলে, মানুষ তা দেখাতে পারেনি। আমি হেঁটে গেলাম এক কিলোমিটার। এই হল বিভিন্ন গ্রামের অবস্থা। রাস্তাঘাট এতটা বেহাল যে বর্ষার দিনে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। পুরো এলাকা জলে ডুবে যায়। এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এখানে শোনার কেউ নেই, বলারও কেউ নেই। তাই মানুষ ঘরে ঘরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। কারণ মানুষের একটা স্বাধীনতা আছে। ভোট দেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু, শাসক দল তাঁদের চেপে ধরেপিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ড্রামা দেখছে। কোনও কোনও সময় তৃণমূল নেতাদের সহায়তা করছে।"

পাঁশকুড়া, ৩০ মার্চ : "দেব কিছুই করেননি। পাঁচ বছরেপাঁচবারও আসেননি। কারও সঙ্গে মেশেননি। কারও বাড়ি যাননি। এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি।" পাঁশকুড়ায় প্রচারে গিয়ে মন্তব্য ঘাটালের BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষের।

তিনি বলেন, "ভোটে জিতলে প্রথমেই আমি মানুষের কাছে আসব। এলাকা ভিত্তিক সমস্যার তালিকা তৈরি করব। এরপর কোন কাজ আগে প্রয়োজন, তার তালিকা তৈরি করব। তারপর সংসদে গিয়ে ওইসব সমস্যার কথা বলব। যতক্ষণ না সমস্যার সমাধান হয়, প্রত্যেকদিন বলব। আর মোদিজিকে একদিন বললেই উনি আমাকে প্রকল্প দিয়ে দেবেন। উনি বসেই আছেন উন্নতি করার জন্য। যেরকম আপনারা দেখছেন, গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ অন্য রাজ্যে উন্নতি হয়েছে। এখানেও করতে হবে।"

ভারতীদেবী পাঁশকুড়ার হাউর, রঘুনাথবাড়ি, চৈতন্যপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "মানুষের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি। সবাই বেরিয়ে এসে কথা বলছেন। মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ মার খেয়েছে। সকলে রক্তাক্ত হয়েছে। সিংহভাগ মানুষ মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি।এলাকায় রাস্তা ও জলের সমস্যায় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এমনকী সকাল থেকে এলাকায় ঘুরে একটা শৌচাগার দেখতে চাইলে, মানুষ তা দেখাতে পারেনি। আমি হেঁটে গেলাম এক কিলোমিটার। এই হল বিভিন্ন গ্রামের অবস্থা। রাস্তাঘাট এতটা বেহাল যে বর্ষার দিনে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। পুরো এলাকা জলে ডুবে যায়। এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এখানে শোনার কেউ নেই, বলারও কেউ নেই। তাই মানুষ ঘরে ঘরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। কারণ মানুষের একটা স্বাধীনতা আছে। ভোট দেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু, শাসক দল তাঁদের চেপে ধরেপিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ড্রামা দেখছে। কোনও কোনও সময় তৃণমূল নেতাদের সহায়তা করছে।"

Intro:ট্রেড ফেয়ার 2018 এসে শিল্প নষ্টের কারণ বামদের আন্দোলন কেই দায়ী করলেন পরিবহন মন্ত্রী ।


Body:আগে একটা বাৎসরিক বনধ হতো আর সেই বনধের দিনে তাস খেলে , হইহুল্লোড় করে , পিকনিক করে একটা কর্মদিবস নষ্ট করে দিত তৎকালীন বাম সরকার সহ তাবড় তাবড় নেতারা । আমরা এসে শিল্পের পরিবেশ তৈরি করেছি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বনধ কড়া হাতে দমন করে আজ শিল্পকে একটা নতুন দিশা দেখিয়েছেন এরকমই মন্তব্য করলেন পরিবহন মন্ত্রী তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী । এদিন তিনি মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গনের এসেছিলেন ন্যাশনাল লেভেল ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম কাম এম এস এম ই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার 2018 উদ্বোধন অনুষ্ঠানে । এই মেলার আয়োজক কনফেডারেশন অফ পূর্ব এন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি , এই মেলা চলবে আগামী কয়েকদিন । এ বছরে মেলা দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল, মূলত কৃষি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কে উৎসাহ দিতেই এ মেলার আয়োজন । এখানে 25 টি প্যাভেলিয়ন সহ মোট 65 টি স্টল রয়েছে , এই স্টলে উৎসাহী যুবক-যুবতীরা যারা পড়াশোনা করে কোন চাকরি পায়নি তারা নিজেদের কর্মদক্ষতা ও কৌশল কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন হস্তশিল্প ও কর্ম শিল্পের নিপুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তাদের ছোট ছোট ব্যবসা পত্রের জিনিস স্টলে রেখেছেন যা নজর কাড়ছে । সেই মেলায় উদ্বোধনে এসে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন বিগত 2-3 বছর আগে বাম সরকার একটা বাৎসরিক বনধ ডাকত , যে বনধ কর্মনাশা বনধ এবং হৈ-হুল্লোড় তাস খেলে তারা একটি দিন কাটিয়ে দিত । সেইটা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বন্ধ করা গেছে , তাছাড়া বিগত বাম সরকারের আমলে বনধ এর জন্য বহু কোম্পানি এই রাজ্য ছেড়ে এবং জেলা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন বনধ কোনোভাবেই করা যাবে না । আগে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ছিল ধু ধু মাঠ সেই মাঠ এখন শিল্পের জন্য উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে গড়ে উঠেছে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । যেকোনো তাবড় তাবড় নেতারা এই বনধ ডেকে দিত এবং গল্প-গুজব পিকনিকের মাধ্যমে বনধ কে তারা উপভোগ করত কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই সব বনধে আমাদের রাজ্য সচল করে রেখেছেন , তাই একটা নেগেটিভ জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছে আমাদের এই রাজ্য তথা জেলা যার অনুপ্রেরণা সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই । আমরা বেরিয়ে এসেছি ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও রাজনীতি থেকে , যা তৎকালীন বামফ্রন্টের সরকার এগুলি করত এবং শ্রমিক সংকট এবং শ্রমিকদের প্রতি হুলিয়া জারি করে এই ধরনের বনধ করতো যাতে করে বহু শিল্পউদ্যোগী পালাতে বাধ্য হয়েছেন । আজ একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রেন্ডলি এনভারমেন্ট তৈরি হয়েছে যা মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরেই , তাছাড়া তিনি বলেন বর্তমানে কেন্দ্র সরকার যে ধরনের জি এস টি ও নোট বন্দি করেছেন তাতে অনেকাংশে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে এম এস এম ই । তবে তা তারা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আমরাও অনেক ভাবে হেল্প করেছি আগামী দিনে আরো ভালোভাবে গড়ে উঠবে শিল্পাঞ্চল । এভাবে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী বলা বাহুল্য এই দিন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলতে গিয়ে শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীর হাতে কিছুটা হেনস্থার শিকার হলেন সাংবাদিকরা । এদিন শুভেন্দু বাবু যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় । বাধার পাশাপাশি কে কতটা ছবি তুলবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বসেন সাংবাদিকদের শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীরা , টিভিতে এতটা দেখাবেন না তো তুলছেন কেন । এই ঘটনায় কিছুটা ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা শুভেন্দু বাবুর মঞ্চ ছাড়েন ।


Conclusion:শিল্প না আসার কারণ বিরোধীদের বনধ কেই দায়ী করলেন শুভেন্দু
Last Updated : Mar 30, 2019, 4:46 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.