মেদিনীপুর, 1 অক্টোবর : বার কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ল কলেজ । প্রতি মাসে কলেজের শিক্ষকদের বেতন থেকে মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে ফান্ডের নাম করে । মেদিনীপুর ল কলেজের বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ আনলেন কলেজেরই এক প্রাক্তন শিক্ষক ৷ যার পর আশঙ্কিত পড়ুয়ারা । এই বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানান হয়েছে অভিযোগ । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ।
2013-14 বর্ষেই বার কাউন্সিলের অনুমোদন ফুরিয়েছে ৷ এরপরেও প্রতিবছর নতুন পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট কোর্সে ৷ পড়ুয়াদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মেদিনীপুর ল কলেজ ৷ অভিযোগ এমনটাই ৷ মেদিনীপুর রেল স্টেশনের কাছেই রয়েছে আইন কলেজ । যেখানে 3 বছরের LLB ও 5 বছরের BA. LLB কোর্স করানো হয় । ল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক সমিত কুমারমাইতি দত্ত সম্প্রতি ল কলেজের "অবৈধ" অ্যাফিলিয়েশন বা অনুমোদন নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন । সমিতবাবু আরও অভিযোগ করেন, কলেজ তাঁদের মতো শিক্ষকদের বেতন থেকে প্রতিমাসে 7-10 হাজার টাকা করে কেটে নেয় ৷ বলা হয়, অবসর নেওয়ার পর ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে । কিন্তু যখন যাঁরা চাকরি ছেড়েছেন তাঁদের থেকে ওই টাকা ডোনেশন হিসেবে নিয়ে নেওয়া হয়েছে ।
সমিতকুমার মাইতি দত্ত বলেন, "মেদিনীপুর ল কলেজের ডিরেক্টর, প্রিন্সিপাল একাধিক অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । আমরা RTI করে জানতে পারি, কলেজের অ্যাফিলিয়েশন শেষ হয়েছে 2013-14 বর্ষেই । যদিও প্রতি বছর ছাত্র ভরতি করে কোর্স করানো হচ্ছে ৷ তাঁদের সার্টিফিকেট দেওয়াও হচ্ছে ৷ এই ছাত্ররা ভবিষ্যতে বিরাট সমস্যায় পড়বেন ৷
সমিতকুমার মাইতি দত্তর অভিযোগ, "কলেজের অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করাতেই আমার সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সমস্যা হয় ৷ এরপরই চাকরি থেকে ইস্তফা দিই ।"
কলেজ তাঁর বেতন থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা নিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ সমিতবাবুর ৷ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি ৷
যদিও ল কলেজের ডিরেক্টর মুকুল রঞ্জন রায় যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি জানান, এইসব অভিযোগ সত্য নয় । ওই টিচারকে আমরা অনেক দিন আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সরিয়ে দিই ।