আসানসোল, 2 জুন: বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তৎপরতায় উদ্ধার করা হল নদীতে ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ ৷ শুক্রবার সকালে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা যুবকের দেহটি উদ্ধার করেন নুনিয়া নদী থেকে ৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, আসানসোলের ঘাঘরবুড়ি মন্দিরের পাশেই নুনিয়া নদী ৷ ছোট্ট সরু নদী হওয়ায় এলাকাবাসীরা হেঁটেই পার হন নদীটি ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও ওই যুবক হেঁটেই নদী পার হচ্ছিলেন ৷ সেই সময়ে স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে নদী পার হতে নিষেধ করলেও ওই যুবক কর্ণপাত করেননি ৷ তাতেই ঘটে বিপত্তি ৷ প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, ওই যুবক অন্ধাকারে হেঁটে নদী পার হতে গিয়েই পড়ে গিয়েছেন ৷
দুর্ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে মন্দিরের সেবাইত সুদীপ্ত চক্রবর্তী বলেন "এই নদীর সংস্কার প্রায় হয় না বললেই চলে । মানুষজনকে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় । এখানে কোনও সেতুও নেই । বহু বছর আগে একবার ছোট একটি সেতু তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল । ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলেও, সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ কী কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না ৷"
প্রসঙ্গত, ঘাঘরবুড়ি মন্দির লাগোয়া নুনিয়া নদীটি দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কার হয় না ৷ ফলে নদীটি আবর্জনা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷ যে কারণে নদীর নাব্যতা ক্রমে কমে আসছে । তার জেরেই এদিন নদী থেকে দেহ তুলতে গিয়ে বেশ সমস্য়ায় পড়তে হয় বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীদের ৷ আসানসোল পৌরনিগমের পক্ষ থেকে পোকল্যান্ড মেশিন এনে, সেই মেশিন নিয়ে আবর্জনা স্তূপ সরিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় ৷ এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানা যায়নি ৷ যুবকের কাঁধে একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে ৷ সেখান থেকে কোনও তথ্য পাওযা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: ভ্রষ্টাচার-বেকারত্ব দূর হোক! কামনায় উত্তরপ্রদেশ থেকে হেঁটে দক্ষিণেশ্বরের পথে দিনমজুর
প্রতিবছরই বর্ষায় দু-কুল ছাপিয়ে বন্যা হয় । বছর দু'য়েক আগে আসানসোলের পরিস্থিতি বিপজ্জনক অবস্থায় চলে গিয়েছিল । কিন্তু তারপরও শিক্ষা নেয়নি আসানসোল পৌরনিগম । ঘাঘরবুড়ি মন্দিরের সামনে এই দুর্ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নদীতে আবর্জনা স্তূপ জমলে তা যে কোনও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে ৷