ETV Bharat / state

Woman Complain Against BDO: বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ মহিলার - তাঁকে ঘরে বন্ধ করে রেখে রোজার সময়েও তাঁকে ছাড়া

বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দ্বারস্থ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মহিলা। অভিযোগ, তাঁকে ঘরে বন্ধ করে রেখে রোজার সময়েও তাঁকে ছাড়া হয়নি ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক ৷

Etv Bharat
Woman Complain
author img

By

Published : Apr 15, 2023, 11:10 PM IST

মেদিনীপুর, 15 এপ্রিল: মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দ্বারস্থ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মহিলা। অভিযোগ, প্রায় আধঘণ্টা তাঁকে ঘরে বন্ধ করে রাখা হয় তাঁকে ৷ এমনকি রোজার সময়েও তাঁকে ছাড়া হয়নি বলেও বিষ্ফোরক অভিযোগ ওই মহিলার। শনিবার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক ৷

জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর ব্লক প্রশাসন নির্মিত একটি স্টল ভাড়া নিয়ে কম্পিউটার দোকান চালান শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ুয়ার রেহানা খাতুন (30)। গত তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকার অভিযোগে মার্চ মাসের শেষে তাঁকে নোটিশ ধরানো হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে। যদিও ওই তরুণীর অভিযোগ, সমস্ত বকেয়া ভাড়া মেটানোর জন্য গত 31 মার্চ পর্যন্ত একাধিকবার বিডিও অফিস গিয়েও তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছে ।

শেষমেশ গত সোমবার ওই তরুণী ফের বিডিও'র সঙ্গে দেখা করতে যান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গেলেও অভিযোগ বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি ৷ উলটে প্রায় আধঘণ্টা তাঁকে দাঁড় করিয়ে রাখেন ৷ এমনকী, বিডিওর গেটের বাইরে থাকা নিরাপত্তাকর্মী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেন রেহানা খাতুন নামে ওই তরুণী।

তরুণীর দাবি, নিরাপত্তাকর্মীকে বারবার বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চান জানানোর পরও কর্ণপাত করেনি সে। এরপর সরাসরি বিডিও'র দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চান ওই তরুণী। যার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে আসেন বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র। অভিযোগ, তরুণীকে বকাঝকার পাশাপাশি বিডিও তাঁকে তাঁর নিজের অফিস ঘরের মধ্যে আটকে রেখে কোতোয়ালি থানায় ফোন করেন বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার পুলিশও বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর।

কিন্তু, এর মধ্যেই প্রায় সাড়ে 6টা বেজে যাওয়ায়, যুবতী রোজা ভাঙার অনুমতি চান। কিন্তু অনুমতি না মেলায় ওই দিন রোজা রেখেও সঠিক সময় রোজা ভাঙতে পারেন না বলেও অভিযোগ তাঁর। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এরপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন ওই যুবতী ৷ পাশাপাশি বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন: গত 54 বছরে উষ্ণতম পয়লা বৈশাখ, আরও 5 দিন চলবে তাপপ্রবাহ

এই বিষয়ে বিডিও অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। তিনি জানিয়েছেন, যা হয়েছে সিসিটিভির আওতায় ও কোতোয়ালি থানার পুলিশের সামনে হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আর কিছু বলবেন না। এবিষয়ে শুক্রবার জেলা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে তিনি সোমবার সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক।

মেদিনীপুর, 15 এপ্রিল: মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দ্বারস্থ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মহিলা। অভিযোগ, প্রায় আধঘণ্টা তাঁকে ঘরে বন্ধ করে রাখা হয় তাঁকে ৷ এমনকি রোজার সময়েও তাঁকে ছাড়া হয়নি বলেও বিষ্ফোরক অভিযোগ ওই মহিলার। শনিবার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক ৷

জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর ব্লক প্রশাসন নির্মিত একটি স্টল ভাড়া নিয়ে কম্পিউটার দোকান চালান শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ুয়ার রেহানা খাতুন (30)। গত তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকার অভিযোগে মার্চ মাসের শেষে তাঁকে নোটিশ ধরানো হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে। যদিও ওই তরুণীর অভিযোগ, সমস্ত বকেয়া ভাড়া মেটানোর জন্য গত 31 মার্চ পর্যন্ত একাধিকবার বিডিও অফিস গিয়েও তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছে ।

শেষমেশ গত সোমবার ওই তরুণী ফের বিডিও'র সঙ্গে দেখা করতে যান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গেলেও অভিযোগ বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি ৷ উলটে প্রায় আধঘণ্টা তাঁকে দাঁড় করিয়ে রাখেন ৷ এমনকী, বিডিওর গেটের বাইরে থাকা নিরাপত্তাকর্মী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেন রেহানা খাতুন নামে ওই তরুণী।

তরুণীর দাবি, নিরাপত্তাকর্মীকে বারবার বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চান জানানোর পরও কর্ণপাত করেনি সে। এরপর সরাসরি বিডিও'র দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চান ওই তরুণী। যার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে আসেন বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র। অভিযোগ, তরুণীকে বকাঝকার পাশাপাশি বিডিও তাঁকে তাঁর নিজের অফিস ঘরের মধ্যে আটকে রেখে কোতোয়ালি থানায় ফোন করেন বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার পুলিশও বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর।

কিন্তু, এর মধ্যেই প্রায় সাড়ে 6টা বেজে যাওয়ায়, যুবতী রোজা ভাঙার অনুমতি চান। কিন্তু অনুমতি না মেলায় ওই দিন রোজা রেখেও সঠিক সময় রোজা ভাঙতে পারেন না বলেও অভিযোগ তাঁর। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এরপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন ওই যুবতী ৷ পাশাপাশি বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন: গত 54 বছরে উষ্ণতম পয়লা বৈশাখ, আরও 5 দিন চলবে তাপপ্রবাহ

এই বিষয়ে বিডিও অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। তিনি জানিয়েছেন, যা হয়েছে সিসিটিভির আওতায় ও কোতোয়ালি থানার পুলিশের সামনে হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আর কিছু বলবেন না। এবিষয়ে শুক্রবার জেলা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে তিনি সোমবার সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.